সিএসকে: ১৮৮/৭ (২০ ওভার)
দিল্লি ক্যাপিটালস: ১৯০/৩ (১৮.৪)
নেতৃত্বের অভিষেকেই গুরু ধোনিকে হারিয়ে বাজিমাত পন্থের। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ম্যাচেই দিল্লি বুঝিয়ে দিল এবারে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার বিষয়ে হট ফেভারিট তারা। শুরুর ম্যাচেই সিএসকেকে উড়িয়ে দিল দিল্লি। জয় এল ১০ বল বাকি থাকতে, হাতে ৭ উইকেট নিয়ে।
টার্গেট ছিল ১৮৯। তবে সেই টার্গেট তাড়া করতে নেমেই ওপেনিং জুটিতে শিখর ধাওয়ান (৫৪ বলে ৮৫) এবং পৃথ্বী শ (৩৮ বলে ৭২) ১৩৮ তুলে দেওয়ার পর ম্যাচ কার্যত একপেশে হয়ে যায়। জাতীয় দলে দুই তারকাই জায়গা হারিয়েছেন প্রথম একাদশ থেকে। নির্বাচকদের বার্তা দেওয়ার জন্যই যেন এদিন সিএসকে ম্যাচ বেছে নেন দুই ব্রাত্য তারকা। দীপক চাহার থেকে মঈন আলি, স্যাম কুরান- কোনো সিএসকে বোলারই বিব্রত করতে পারেননি দুই দিল্লি ওপেনারকে। নিজের ইনিংসে পৃথ্বী এবং ধাওয়ান দুজনেই হাঁকালেন যথাক্রমে ৯ ও ১০টি বাউন্ডারি। দুজনের ব্যাট থেকে বেরোল পাঁচটা বিশাল ওভার বাউন্ডারিও। ধাওয়ান ও পৃথ্বী শ অল্প রানের ব্যবধানে আউট হয়ে গেলেও বাকি রান তুলে দেন অধিনায়ক ঋষভ পন্থ (১২ বলে ১৫) এবং মার্কাস স্টোয়িনিস (৯ বলে ১৪)।
আরো পড়ুন: ধোনিকে কাঁধে হাত রাখতে দিও না! পন্থকে তোলপাড় করা পরামর্শ গাভাসকারের
পন্থ নেতৃত্বের অভিষেকেই টস জেতেন এদিন। টস জিতে সিএসকেকে ব্যাট করতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। ব্যাট করতে নেমে সিএসকে পাওয়ার প্লে-তে ৭ রানের মধ্যে এদিন জোড়া ওপেনার- ঋতুরাজ গায়কোয়াড (৫) এবং ফাফ ডুপ্লেসিস (০)কে হারিয়েছিল। মঈন আলি ২৪ বলে ৩৬ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলে আউট হলে যাওয়ার পরে সিএসকে ৬০/৩ হয়ে যায়। তারপরেই শুরু হয় রায়নার ধামাকা। জাদেজার সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হওয়ার আগে রায়না দলকে বিপদের হাত থেকে বাঁচিয়ে যান। ৩৬ বলে ৫৪ রানের রায়নার ইনিংস সাজানো ৩টে বাউন্ডারি এবং ৪টে ওভার বাউন্ডারিতে।
আম্বাতি রাইডু (১৬ বলে ২৩) এবং রবীন্দ্র জাদেজা (১৭ বলে ২৬ নটআউট) অবদান রাখার পরে শেষের দিকে ব্যাটে ঝড় তোলেন স্যাম কুরান। ২২৬.৬৬ স্ট্রাইক রেটে স্যাম কুরানের ১৫ বলে ৩৪ রানের ইনিংস সিএসকেকে ১৮৮ পর্যন্ত পৌঁছে দেয়। দিল্লির হয়ে বল হাতে সফল আবেশ খান এবং ক্রিস ওকস। দুজনেই জোড়া শিকার করেছেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন