খুব জোর বাঁচলেন দীনেশ কার্তিক। রাসেলের শটের মুখে পড়ে বড়সড় চোটের কবলে প্রায় পড়ে গিয়েছিলেন। তবে শেষ মুহূর্তে বাঁচলেন তিনি। আইপিএল শুরুর আগেই সমস্ত দল চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে মগ্ন। মাঠে নামার আগে শেষবারের মত সমস্ত ফ্র্যাঞ্চাইজি-ই নিজেদের শক্তি-দুর্বলতা ঝালিয়ে নিচ্ছে প্রস্তুতির ময়দানে।
১১ এপ্রিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে খেলতে নামছে কেকেআর। তার আগে ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে দু-দলে ভাগ হয়ে নিজেদের মধ্যে প্রস্তুতি ম্যাচে খেলতে নেমেছিল কেকেআর। ইয়ন মর্গ্যান, দীনেশ কার্তিক, আন্দ্রে রাসেল, হরভজন সিং, শুভমান গিলের মত তারকারা প্রত্যেকেই ছিলেন। রাসেল, কার্তিক, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, শুভমান গিল, হরভজন সিং- প্রত্যেকেই এক দিকে ছিলেন।
আরো পড়ুন: করোনায় ছিন্নভিন্ন আইপিএল! এবার আক্রান্ত কোহলির দলের সুপারস্টার
সেই ম্যাচের সিরিয়াসনেস এমন তীব্রতায় ছিল যে আইপিএলে নামার আগে প্রত্যেক ক্রিকেটারই নিজেদের সেরাটা মেলে ধরার চেষ্টা করছিলেন। ব্যাট করার সময়েই ঘটে যাচ্ছিল দুর্ঘটনা। একের পর এক বলে আন্দ্রে রাসেল পরিচিত ভঙ্গিতে বিধ্বংসী মেজাজে ওড়াচ্ছিলেন। তেমনই একটা শট নন স্ট্রাইকিং এন্ডে থাকা দীনেশ কার্তিককে মারাত্মকভাবে আহত করে ফেলেছিল প্রায়। তবে একদম সঠিক সময়ে হাঁটু মুড়ে বসে পড়ে সেই শটের হাত থেকে বাঁচলেন দীনেশ কার্তিক।
(পুরো ম্যাচ দেখুন)
যদি এক সেকেন্ডও এদিক-ওদিক হত, তাহলে কার্তিকের কী হত, তা ভেবেই শিউরে উঠছে নাইট শিবির।
যাইহোক, রাসেলের ব্যাটিংয়ের বরাবরই গুণমুগ্ধ দীনেশ কার্তিক। এক সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি কার্তিক বলে দিয়েছিলেন, "২০১৯ মরশুমে একের পর এক ম্যাচ রাসেল একার হাতে আমাদের জিতিয়েছিল। ওঁর কেরিয়ারের অন্যতম সেরা মরশুম ছিল সেবার। এখনো মনে আছে, একজন বোলারের বলে আহত হতে হয়েছিল ওঁকে। তারপরে ও মার্কাস স্টোয়িনিসকে দিয়ে শুরু করেছিল। তারপরে সাউদির ওপর চড়াও হয়। ১০-১১ বলের মধ্যে ৬-৭ ছক্কা হাকিয়েছিল ও। ১৬ ওভার পর্যন্ত ম্যাচে আরসিবির কর্তৃত্ব ছিল। তারপরে রাসেল একার হাতে খেলা ঘুরিয়ে দেয়।"
রাসেল গত মরশুমে একদমই ছন্দে ছিলেন না। প্রত্যাশিত ঝড় দেখা যায়নি তাঁর ব্যাটিংয়ে। ১০ ম্যাচে করেছিলেন মাত্র ১১৭ রান। তবে এবার সেই ব্যর্থতা ঘুচিয়ে দিতে চাইছেন তিনি। অন্যদিকে, কার্তিকও সেরা ফর্মে ছিলেন না। মরশুমের মাঝপথেই দায়িত্ব ছেড়ে দিতে হয়েছিল মর্গ্যানের হাতে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন