ব্যাটসম্যানদের যেন ইচ্ছাই ছিল না। কমপক্ষে ৪০-৫০ রান কম করেছেন নাইট ব্যাটসম্যানরা। এমনটাই মনে করছেন কেকেআর অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে কেকেআর ১৩১/৯-এর বেশি তুলতে পারেনি। ক্রিস মরিস বল হাতে ৪ উইকেট নেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ক্যাপ্টেন সঞ্জুর ব্যাটে ভর করে রাজস্থান রয়্যালস মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে সেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।
ম্যাচের পরেই মর্গ্যান জানিয়ে দিলেন, প্রথম থেকেই কেকেআর পিছিয়ে ছিল। "ব্যাটিং আরো একবার আমাদের ডুবিয়ে দিল। আমাদের ইনিংসে ইচ্ছার অভাব বারবারই ধরা পড়ল। ম্যাচের শুরু থেকেই আমরা পিছিয়ে ছিলাম। আমাদের তুলনায় রাজস্থান পিচের পরিস্থিতির সঙ্গে আরও ভালোভাবে মানিয়ে নিয়েছিল। আমরা কমকরে ৪০ রান কম তুলেছি। যেটা টি২০-র বিচারে অনেকটা।" এমনটাই জানালেন তিনি।
আরো পড়ুন: অকারণে বারবার মেজাজ হারিয়ে বিতর্কে ক্রুনাল! সরাসরি জানানো হল, ‘ভদ্র হও’
কেকেআরের দুই ওপেনার শুভমান গিল এবং নীতিশ রানা বাউন্ডারি হাঁকাতে সমস্যায় পড়ছিলেন। রাজস্থানের তিন বাঁহাতি পেসার চেতন সাকারিয়া, জয়দেব উনাদকার এবং মুস্তাফিজুর রহমানদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে কেকেআর বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি। পাওয়ার প্লে-তে স্কোরবোর্ডে কেকেআর ১ উইকেটের বিনিময়ে তোলে মাত্র ২৫ রান। যেটা আসল ফ্যাক্টর হয়ে যায়।
মর্গ্যান জানিয়েছেন, "অন্যদিনের তুলনায় ওয়াংখেড়ের এদিনের পিচ অতটা ভাল ছিল না। এটাই আমাদের কাছে আসল চ্যালেঞ্জ ছিল। যতবার আমরা প্রতিপক্ষের বোলারদের ওপর চড়াও হতে চেয়েছি, ততবার আমরা উইকেট হারিয়েছি।"
মর্গ্যান কোনো বল ফেস করার আগেই নন স্ট্রাইকিং এন্ডে থাকাকালীন রান আউট হয়ে যান। তিনি জানালেন, টপ অর্ডারের ব্যর্থতা লোয়ার অর্ডারে দীনেশ কার্তিক, আন্দ্রে রাসেলদের ওপর চাপ বাড়িয়ে দিয়েছিল। "আমরা চেয়েছিলাম ব্যাটসম্যানরা খোলামেলা শট খেলুক। যা মোটেই হয়নি এদিন।" বলছেন ক্যাপ্টেন মর্গ্যান।
অল্প রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে রাজস্থান পাওয়ার প্লে-তেই দুই ওপেনার জস বাটলার এবং যশস্বী জয়সোয়ালকে হারায়। তবে নিজেদের ইনিংসের নিয়ন্ত্রণ কখনোই হারায়নি মরু রাজ্যের দল। ক্রিস মরিস আরো একবার নিজের জাত চেনালেন ৪ উইকেট দখল করে। সাকারিয়া, উনাদকার এবং মুস্তাফিজুরও দলকে একটি করে উইকেট তুলে নিয়ে সাহায্য করেন। টানা চার ম্যাচ হেরে লিগ টেবিলের তলানিতে আপাতত কেকেআর।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন