বিশ্বের অন্যতম সেরা ফিল্ডার ফাফ ডুপ্লেসিস। সিএসকের জার্সিতেও আইপিএলে ফিল্ডার হিসাবে একাধিক মুহূর্ত স্মরণীয় করে রেখেছেন। গত সংস্করণে বাউন্ডারি লাইনের ধারে দুরন্ত ক্যাচ ধরেছিলেন। একবার নয় দুবার। আর মরুশহরে আরও একবার ফিল্ডার হিসাবে ঝলসে উঠলেন রবিবার কেকেআরের বিরুদ্ধে।
Advertisment
রবিবার মহারণে নেমেছে সিএসকে এবং কেকেআর। আর সেই ম্যাচেই অবিশ্বাস্য ক্যাচে ডুপ্লেসিস ফেরালেন ক্যাপ্টেন মর্গ্যানকে। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মর্গ্যান। অপরিবর্তিত একাদশ খেলাচ্ছে কেকেআর। তবে সিএসকে ডোয়েন ব্র্যাভোকে বিশ্রাম দিয়ে নামিয়েছে স্যাম কুরানকে।
কেকেআর শুরুটা মোটেই এদিন ভাল করতে পারেনি। শুভমান গিল ৯ রানে রান আউট হয়ে ফিরে গিয়েছিলেন। এরপরে ভেঙ্কটেশ আইয়ার এবং রাহুল ত্রিপাঠির ৪০ রানের ভদ্রস্থ পার্টনারশিপ ব্রেক করেন শার্দুল ঠাকুর। ১৮ রানে আইয়ারকে ফিরিয়ে। মর্গ্যান এরপরে ব্যাট করতে নেমে সাবলীল ছিলেন না।
নিজের জড়তা কাটিয়ে জোশ হ্যাজেলউডকে টার্গেট করেন মর্গ্যান। লং অন দিয়ে জোরালো শট হাঁকান মর্গ্যান। তবে সেই বল যে অবিশ্বাস্য ক্ষিপ্রতায় তালুবন্দি করবেন ডুপ্লেসিস, তা ভাবতে পারেননি। প্রথমে বল ধরেও বাউন্ডারি লাইন প্রায় পেরিয়ে গিয়েছিলেন। তবে দুরন্ত রিফ্লেক্সে বল মাঠের দিকে ছুড়ে ফের একবার ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে মাঠের মধ্যে সেই ক্যাচ তালুবন্দি করেন। এই ক্যাচ দেখেই চক্ষু ছানাবড়া ক্রিকেট মহলের।
এদিকে, প্রথমে ব্যাট করে কেকেআর সিএসকেকে ১৭২ রানের টার্গেট দিল। মর্গ্যান আউট হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই রাহুল ত্রিপাঠিকে (৩৩ বলে ৪৫) জাদেজা ফেরানোর পরে কেকেআর ৭৯/৪ হয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে নাইটদের উদ্ধার করেন নীতিশ রানা (২৭ বলে ৩৭), দীনেশ কার্তিক (১১ বলে ২৬) এবং আন্দ্রে রাসেল (১৫ বলে ২০)। শেষদিকে তিন তারকা ঝড় তুলে কেকেআরকে ১৭১/৬-এ পৌঁছে দেন। সিএসকের হয়ে দুটো করে উইকেট দখল করেন জোশ হ্যাজেলউড এবং শার্দূল ঠাকুর। একটা শিকার জাদেজার।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন