আরসিবি ক্যাম্পে দেবদূত পাডিক্কল সরাসরি যোগ দিয়েছেন কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পরই। এতেই বাকি ফ্র্যাঞ্চাইজিদের মধ্যে দানা বেঁধেছে ক্ষোভ। অভিযোগ বোর্ডের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই পাডিক্কলকে ঢুকিয়ে নেওয়া হয়েছে আরসিবি ক্যাম্পে। নিশানায় কোহলির ফ্র্যাঞ্চাইজি।
বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী, কোভিড পজিটিভ কোনো ব্যক্তি নির্ধারিত সময়ের পরে নেগেটিভ হলেই দলে ঢুকিয়ে নেওয়া যায় না। দলে যোগ দেওয়ার আগে নেগেটিভ অবস্থাতেই আরো অতিরিক্ত সাত দিনের কোয়ারেন্টাইন পর্ব কাটাতে হয়। এই নিয়মেরই অন্যথা করেছেন আরসিবি ওপেনার। এমনটাই অভিযোগ বাকি ফ্র্যাঞ্চাইজিদের। ক্রিকবাজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, করোনা আক্রান্ত হওয়ায় পরে বেঙ্গালুরুর বাড়িতেই আইসোলেশন সেরেছেন পাডিক্কল। তারপর নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে হোটেলে আর একপ্রস্থ কোয়ারেন্টাইন পর্ব সামলানোর আগেই দলে যোগ দিয়েছেন।
আরো পড়ুন: অদ্ভুত দর্শন বুট পরেই মাঠে নামলেন রোহিত! কারণ জানালেন ম্যাচের শেষে
কোহলির দলকে এতে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হল কিনা, তা নিয়েই প্ৰশ্ন তুলছেন বাকি ফ্র্যাঞ্চাইজির কর্তারা। একজন ফ্র্যাঞ্চাইজি আধিকারিক বলেছেন, "বাড়িতেই যদি কোয়ারেন্টাইন পর্ব কাটানোর সুযোগ থাকত, তাহলে আমাদের দলের অধিকাংশ সদস্য সেটাই করত।"
মার্চের ২২ তারিখ পাডিক্কলের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তারপরেই সরাসরি বাড়ি চলে যান কোয়ারেন্টাইন পর্ব সারতে। তারপর কোভিডের নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে এপ্রিলের ৭ তারিখ দলে যোগ দেন। নিজের বেঙ্গালুরুর বাড়ি থেকে নিজের গাড়ি ড্রাইভ করে চেন্নাই পৌঁছান তিনি। তারপর আরো দুবার কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পরেই সরাসরি বায়ো বাবলে প্রবেশ করেন।
বোর্ডের নির্ধারিত নিয়ম কী বলছে দেখে নেওয়া যাক:
প্রথমত, কোভিড পজিটিভ থেকে নেগেটিভ হওয়ার পরে আরও সাতদিন আইসোলেশন কাটাতে হবে। এই সময় দলের কোনো গ্রুপ মিটিং, ট্রেনিং তো বটেই কার্যত মুখ দর্শন করা যাবে না সতীর্থদের। তারপরে তিনবার কোভিড টেস্ট করা হবে। সেই তিনটে রিপোর্ট পজিটিভ হলেই একমাত্র বায়ো বাবলে প্রবেশ করা যাবে।
আরসিবি এই নিয়ম ভেঙেই বাকি ফ্র্যাঞ্চাইজিদের ক্ষুব্ধ করে দিয়েছে। দলে থাকলেও প্ৰথম ম্যাচে পাডিক্কলকে প্রথম একাদশে রাখা হয়নি। কোহলির সঙ্গে ওপেন করতে নেমেছিলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। জানা গিয়েছে, পরের ম্যাচেও প্রথম একাদশে খেলানো হবে না পাডিক্কলকে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন