দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ভারতের মত এত মরণ কামড় দিতে পারেনি। কয়েকদিনের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছিল পরিস্থিতি। তা সত্ত্বেও দক্ষিণ আফ্রিকা সফর বাতিল করে দিয়েছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। অথচ, ভারতে অতিমারীর মধ্যেই চুটিয়ে আইপিএল খেলতে দ্বিধা করল না অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটাররা। এই দ্বিচারিতা নিয়েই এবার গর্জে উঠলেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অধিনায়ক গ্রেম স্মিথ।
এক সাংবাদিক সম্মেলনে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট ডিরেক্টর স্মিথ অজিদের একহাত নিয়ে জানিয়েছেন, "সবাই দেখল, কীভাবে অস্ট্রেলীয়রা আইপিএল খেলল। একদম টুঁ শব্দটিও করল না। নতুন করে সবকিছু দেখা গেল। এই দ্বিচারিতা নিয়ে। এটা তুমুল হতাশার।"
আরো পড়ুন: আইপিএল শেষ হতেই হাসপাতালে রাজস্থানের সাকারিয়া! মারাত্মক দুর্দশায় উঠতি পেসার
অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারদের মানসিকতাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেও স্মিথ অবশ্য আইপিএলের জৈব সুরক্ষা বলয়কে ফুল মার্কস দিচ্ছেন। জানিয়েছেন, "আমরা বিচার করার কেউ নই। তবে কয়েকজন দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, ওঁরা সুরক্ষিত অনুভব করছে। ওঁরা জানিয়েছে, জৈব বলয় বেশ ঠিকঠাক ছিল। কখনই ওঁদের মনে হয়নি ঝুঁকি রয়েছে। তবে এই অনিশ্চয়তাটাই কোভিড হাজির করছে।"
টুর্নামেন্ট চলাকালীন বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার সংক্রমিত হওয়ার পরে অনির্দিষ্টকালের জন্য আইপিএল বন্ধ করে দিতে হয়েছে। গোটা টুর্নামেন্টে সমস্ত ফ্র্যাঞ্চাইজি মিলিয়ে ১১ জন দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার ছিলেন। তাঁরা শুক্রবারই দেশে ফিরছেন। ভারতে বর্তমানে দৈনিক সংক্রমণ ছুঁয়ে ফেলেছে ৪ লক্ষ। মৃত্যুর সংখ্যাও দৈনিক ৪০০০ জন।
এর মধ্যেই আইপিএল আয়োজন করে বিসিসিআই চরম সমালোচিত হলেও, সৌরভদের পাশেই দাঁড়াচ্ছেন তিনি। বলছেন, "আমরা যতই ফুলপ্রুফ বানানোর চেষ্টা করি না কেন, কোথাও না কোথাও ঠিক খামতি রয়ে যায়। একবার ভাইরাস অনুপ্রবেশ করলে, পরবর্তী সময়ে কী ঘটবে, তা আগাম আঁচও করা যায় না।"
আর যেভাবে টুর্নামেন্ট পরিসমাপ্তির পরে বোর্ড সকলের দেশে ফেরার বন্দোবস্ত কর দিয়েছে, সেটাও দৃষ্টান্তমূলক, বলে মনে করছেন স্মিথ। "যেভাবে প্রত্যেক ক্রিকেটারকে আলাদা করে নজর দিয়ে দেশে ফেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে, তা অন্য ব্যবস্থাপকদের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আর আমাদের ক্রিকেটারদের কাছে দেশে ফেরা সহজই ছিল। কারণ আমাদের বর্ডার বন্ধ করা হয়নি।" বলে দিচ্ছেন তিনি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন