আইপিএলে আবার ধোনি-কোহলি দ্বৈরথ। আর সেই যুদ্ধে বাজিমাত সেই ধোনি। চতুরতায় ধোনি যে কোহলির থেকে শত যোজন এগিয়ে তা আরও একবার প্রমাণ করলেন ধোনি। মর্যাদার যুদ্ধে কোহলি-ধোনি মুখোমুখি হয়েছিলেন। ম্যাচে দুজনেই একে অন্যকে টেক্কা দিতে চাইলেন।
আরসিবি প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ করে দেবদূত পাডিক্কল এবং বিরাট কোহলির পার্টনারশিপের দৌলতে। প্রথম ১০ ওভারেই দুজনে ৯০ তুলে ফেলেন স্কোরবোর্ডে। তারপরে কোহলি এবং পাডিক্কল দুজনেই হাফসেঞ্চুরিও পূর্ণ করে ফেলেন। এমন সময়েই উদ্বেগ ছড়িয়ে গিয়েছিল সিএসকে ক্যাম্পে। আর কোহলিকে আউট করার জন্য ধোনি নিজের অস্তিনের আসল অস্ত্র নিয়ে আসেন আক্রমণে। ধোনি নিজের ট্রাম্প কার্ড ব্র্যাভোকে বোলিংয়ে আনতেই কেল্লাফতে। ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার দলকে বড়সড় ব্রেকথ্রু দেন কোহলিকে ফিরিয়ে।
আরও পড়ুন: ম্যাচ শেষে ধোনিকে গাঢ় আলিঙ্গন কোহলির! উধাও যাবতীয় দূরত্ব, দেখুন দুরন্ত ভিডিও
ইনিংসের অষ্টম ওভারে ব্র্যাভোকে প্রথম আক্রমণে আনেন। তারপরে ফের ক্যারিবীয় তারকাকে বল করানো হয় ১৪ ওভারে। সেই ওভারেই ব্র্যাভোর হাতের তাস ছিল, ওভারের ছয়টা বল-ই আলাদা আলাদা ধরনের।
ম্যাচের শেষে নিজের পরিকল্পনা খোলসা করে বলতে গিয়ে ধোনি জানালেন, "ব্র্যাভো এই মুহূর্তে দারুন ফিট। একদম পরিকল্পনা মাফিক বোলিং করছে। ও স্লোয়ার বল করবে কিনা, তা নিয়ে অধিকাংশ সময়েই আমাদের মধ্যে মতান্তর হয়। তবে এখন সকলেই জেনে গিয়েছে ব্র্যাভো স্লোয়ার বলে পারদর্শী। তাই ওঁকে বলেছিলাম, ওভারের ছয়টা ডেলিভারি আলাদা আলাদা করতে।"
ঘটনাচক্রে সেই ওভারে ব্র্যাভো-কে আক্রমণে আনার কথাই ছিল না। ধোনি তার আগওই মঈন আলিকে নিয়ে আসার যাবতীয় প্ল্যানিং সেরে ফেলেন। তবে একদম শেষ মুহূর্তে প্ল্যানিং বদলে ব্র্যাভোকে নিয়ে আসেন তিনি। আর সেই পরিকল্পনা পুরোপুরি খেটে যায়। ওভারের দ্বিতীয় বলেই আউট হয়ে ফেরেন কোহলি।
আরও পড়ুন: কৃষ্ণের বল ছোঁড়ার ভানে বারবার ফুঁসলেন পোলার্ড! KKR ম্যাচে উত্তেজনা চরমে, ভিডিও দেখুন
ধোনি বলছিলেন, "আমরা শিশির নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলাম। গত মরশুমেও এমনটা ঘটেছিল। আরসিবি শুরুটাও বেশ ভাল করে। তবে ৮-৯ ওভারের পর পিচ একটু স্লো হয়ে যায়। জাদেজার স্পেলটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, বিশেষ করে যেভাবে একপ্রান্তে পাডিক্কল ব্যাটিং করছিল। আমি ড্রিংক্স-এর সময়ে মঈনের সঙ্গে একপ্রস্থ কথাও বলে রেখেছিলাম। তবে তারপরে নিজের পরিকল্পনা বদলে ফেলি। ব্র্যাভোকে সেই সময় বোলিং করানো উচিত ছিল। কারণ ওঁকে আক্রমণে আনতে যত দেরি হবে, ততই ওঁর কাছে বার্তা যাবে কঠিন পরিস্থিতিতে ওঁকে পরপর বোলিং করে যেতে হবে।"
ব্র্যাভো নিজে পরে স্বীকার করে যান, কোহলির উইকেট তাঁর কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। "বিশ্বের কঠিনতম প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় আইপিএলে। কোনও কোনও দিন পরিকল্পনা পুরোপুরি খেটে যায়, কোনও দিন খাটে না। এই কারণেই এই খেলার প্রতি আমার ভালবাসা এবং গর্ব উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। আরসিবি দলতা দারুণ। আর বিরাটের উইকেটটা দারুণ গুরুত্বপূর্ণ ছিল ওই সময়ে।" বলে যান তিনি।
নিজের ৪ ওভারের কোটায় ব্র্যাভো ২৪ রান খরচ করে তুলে নেন ৩ উইকেট। ৩৭ বছর বয়সেও নিয়মিত দুরন্ত পারফর্ম করে চলেছেন সিএসকের তারকা। নয় ম্যাচ শেষে দিল্লি ক্যাপিটালসের সঙ্গেই যুগ্মভাবে শীর্ষে রয়েছে সিএসকে। আরসিবি এখনও প্ৰথম চারের মধ্যে থাকলেও টানা দুটো হারে ব্যাপক চাপে পড়েছেন কোহলিরা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন