বায়ো বাবলের সুরক্ষাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আইপিএলে করোনা সংক্রমণ ঘটেছিল। তারপরেই অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে টুর্নামেন্ট। আইপিএল বন্ধের পর এবার একাধিক ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে, যেখানে বোর্ডের পরিচালনগত সমস্যাই ফুটে ওঠে।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইপিএল শুরুর আগেই ক্রিকেটারদের ভ্যাক্সিন দেওয়ার প্রচেষ্টা করেছিল বোর্ড। সেই সময় অধিকাংশ ক্রিকেটারই টিকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কথা ভেবে ভ্যাক্সিন নিতে চাননি। সাধারণত টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসাবে জ্বর, গা ম্যাজম্যাজে ভাব, মাথাব্যথা হতে পারে। এই কারণেই অধিকাংশ ক্রিকেটার প্রথমবারে ভ্যাক্সিন নিতে চাননি। সেই প্রতিবেদনেই জানানো হয়েছে, বিদেশি ক্রিকেটাররা যেখানে টিকা নিতে অসম্মত হননি, সেখানে এদেশীয় ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে টিকার কার্যকারীতা নিয়ে সন্দেহ ছিল।
আরো পড়ুন: করোনায় মৃত জাদেজা! সেরার সেরা অলরাউন্ডারের প্রয়াণে মুষড়ে পড়ল ক্রিকেট জগৎ
বোর্ডের এক সূত্র টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন, "প্রথমবার টিকার প্রস্তাবে ক্রিকেটাররা সরাসরি না করে দিয়েছিলেন। এটা অবশ্য ওদের ভুল ছিল না। সচেতনতার অভাব ছিল। ক্রিকেটাররা ভাবছিল বায়ো বাবল-ই তাদের নিরাপত্তা দিতে সক্ষম। টিকা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা নেই। ফ্র্যাঞ্চাইজিরাও ক্রিকেটারদের বোঝাতে পারেনি। তারপরেই পুরো ঘটনা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল।"
যদিও বেশ কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটারদের টিকা নিতে রাজি করাতে পেরেছিল। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজির অনুরোধে কর্ণপাত করেনি অধিকাংশ ক্রিকেটারই।
আইপিএলের চেন্নাই এবং মুম্বই পর্ব সফলভাবে আয়োজিত হলেও দিল্লি এবং আহমেদাবাদে চার্টার্ড ফ্লাইটে যাওয়ার সময়েই বিপত্তি বাঁধে। করোনা সংক্রমণে নাজেহাল দিল্লিতে ক্রিকেটারদের নিয়ে যাওয়াই বড়সড় ভুল হয়ে গিয়েছিল, মানছেন এখন বোর্ড কর্তারাই।
তবে আইপিএল বন্ধের পরেই ক্রিকেটারদের ইংল্যান্ড সফরে উড়ে যাওয়ার আগে বোর্ডের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেন কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ নিয়ে নেন প্রত্যেক ক্রিকেটাররা। যাতে ইংল্যান্ডে সফর চলাকালীন কোভিশিল্ডেরই দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারেন তারকারা। তারপরেই শিখর ধাওয়ান, বিরাট কোহলি, রবীন্দ্র জাদেজারা টিকা নিয়েছেন।
আইপিএলে এখনো বাকি ৩১টি ম্যাচ। চলতি বছরেই সেপ্টেম্বরের উইন্ডোতে বাকি ম্যাচ সম্পন্ন করে ফেলতে চাইছে বিসিসিআই। টি২০ বিশ্বকাপের আগে নতুন উইন্ডোতে কীভাবে আইপিএল আয়োজন করবে বোর্ড, সেদিকেই তাকিয়ে ক্রিকেট প্রেমীরা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন