সিএসকে: ২১৮/৪ (২০ ওভার)
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ২১৯/৬ (২০ ওভার)
অবিশ্বাস্য। অকল্পনীয়। ফিরোজ শাহ কোটলায় এবার পোলার্ডের পাশবিক ব্যাটিংয়ে উড়ে গেল সিএসকে। চলতি টুর্নামেন্টের একনম্বর দল যারা। প্রথমে আম্বাতি রায়ডু। তারপর পোলার্ড। দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলায় রানের বন্যা বইল। আর শেষ বলের থ্রিলারে শেষ হাসি মুম্বইয়ের। সিএসকের ২১৮ রানের টার্গেট তাড়া করেও জিতে গেল মুম্বই। সৌজন্যে কায়রণ পোলার্ডের বিধ্বংসী ব্যাটিং। ৩৪ বলে ৮৭ রানের ইনিংসে একাই মুম্বইকে জিতিয়ে দিলেন। হাঁকালেন আট ওভার বাউন্ডারি, হাজডজন বাউন্ডারি!
জয়ের জন্য শেষ ওভারে টার্গেট ছিল ১৬ রান। আর শেষ ওভারের প্রথম বলেই ডট বল করেন লুঙ্গি এনগিডি। তবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে জোড়া বাউন্ডারি হাঁকিয়ে জয়ের আরো কাছে নিয়ে আসেন পোলার্ড। চতুর্থ বলে সিঙ্গলস নেওয়ার সুযোগ থাকলেও পোলার্ড নেননি স্ট্রাইকিং এন্ডে থাকবেন বলে। পঞ্চম বলে ডিপ স্কোয়ার লেগ দিয়ে ছক্কা হাঁকানোর পর শেষ বলে দরকার ছিল দু-রান। লং অনে বল ঠেলে দু-রান পূর্ণ করতে দেরি হয়নি ক্যারিবীয় তারকার।
আরো পড়ুন: করোনা কাড়ল ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’র প্রাণ! মাত্র ৩৪ বছরে চলে গেলেন দেশের গর্ব জগদীশ
সিএসকের ২১৮ রান তাড়া করতে নেমে মুম্বইয়ের এদিন শুরুটা দারুন করে দেন দুই ওপেনার রোহিত শর্মা (২৪ বলে ৩৫) এবং কুইন্টন ডিকক (২৮ বলে ৩৮)। দুজনে পাওয়ার প্লে-তেই ৫৮ রান তুলে দেন। ওপেনিং জুটিতে ওভার পিছু ১০-এর বেশি গতিতে রান তুলে মোমেন্টাম দিয়ে দেন দুজনে। তবে মাত্র ১২ রানের ফাঁকে দুই ওপেনার সহ সূর্যকুমার যাদবকে হারিয়ে সমস্যায় পড়ে গিয়েছিল মুম্বই।
সেখান থেকে মুম্বইকে উদ্ধার করেন কায়রণ পোলার্ড। শুরু হয় পোলার্ডের ধামাকা। চার-ছক্কায় মাঠ মাতাতে থাকেন। মাত্র ১৭ বলে ফিফটি করে দলকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করেন। চলতি টুর্নামেন্টের দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি এদিনের পোলার্ডেরই। অন্যপ্রান্তে ক্রুনাল পান্ডিয়াও (২৩ বলে ৩২) যথাসম্ভব সঙ্গ দিচ্ছিলেন ক্যারিবীয় মাস্টারকে। পোলার্ড-ক্রুনাল পান্ডিয়া জুটি ১২১ রানের পার্টনারশিপে উত্তেজক লড়াইয়ে নিয়ে এসেছিলেন দলকে।
তবে ১৭তম ওভারে খেলার মোড় আবার সিএসকের দিকে নিয়ে যান স্যাম কুরান। ক্রুনাল পান্ডিয়াকে দুরন্ত ইয়র্কারে লেগ বিফোর করে। এরপর হার্দিক এসেও ৭ বলে ১৬ রানের ক্যামিও খেলে যান। এদিনই মুম্বইয়ের জার্সিতে অভিষেক ঘটানো জিমি নিশাম প্রথম বলেই আউট হয়ে যান। তারপর ধবল কুলকার্নিকে নিয়ে ম্যাচের শেষ বলে রুদ্ধশ্বাস পরিসমাপ্তি ঘটান পোলার্ড।
পোলার্ডের ব্যাটিংয়ে আবার ম্লান হয়ে গেল প্রথমার্ধে আম্বাতি রায়ডুর বিস্ফোরক ২৭ বলে ৭২ রানের ইনিংস। ডুপ্লেসিস (২৮ বলে ৫০) এবং মঈন আলি (৩৬ বলে ৫৮)র হাফসেঞ্চুরির পর এদিন সিএসকের জার্সিতে ঝলসে উঠেছিলেন রায়ডু। ২০ বলে হাফসেঞ্চুরি করে একাই মুম্বই বোলারদের তুলোধোনা করেছিলেন। তবে কে আর জানত, তাঁরই পাল্টা ঝড় হয়ে বয়ে আসবেন পোলার্ড!
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন