দিল্লি ক্যাপিটালস: ১৩৫/৫
কেকেআর: ১৩৬/৭
এভাবেও ফাইনালে পৌঁছে যাওয়া যায়। দেখিয়ে দিল কেকেআর। সহজ ম্যাচ রক্তচাপ বাড়িয়ে, টানটান থ্রিলারের উদ্ভাবন করে ম্যাচ বের করল নাইটরা। সহজ একপেশে জয় নিশ্চিত থাকা অবস্থায় কেকেআরের জয় এল মাত্র ১ বল বাকি থাকতে।
দিল্লি ক্যাপিটালসের দুরন্ত ক্রিকেট থামিয়ে, অসাধারণ পারফরম্যান্স বজায় রেখে নাইট রাইডার্স ফের একবার বাজিগর। প্ৰথম কোয়ালিফায়ারে কোহলির আরসিবিকে বাড়ি ফেরার টিকিট কেটে দিয়েছিল নাইট বাহিনী। ৪৮ ঘন্টা পরে নাইটদের ব্যাটে-বলে থমকে গেল দুরন্ত দিল্লির জয়রথ। দিল্লি বধ ৩ উইকেটে।
শারজায় সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমে গিল-আইয়ারের ওপেনিং জুটিতেই উঠে গিয়েছিল ৯৬ রান। আইয়ার ফিফটি করে ফেরার পরে নাইটদের জয়ের জন্য সেই সময় দরকার ছিল মাত্র ৪০ রান। হাতে ছিল প্রায় আট ওভার। সেই ম্যাচই যে এভাবে রোমহর্ষকভাবে জিতবে কেকেআর ভাবা যায়নি।
আরও পড়ুন: ধোনির মতই ট্যাকটিক্যালি নিখুঁত! এই তারকাকে আরসিবির নেতা বাছার পরামর্শ ভনের
দলীয় ১২৩ রানে গিল যখন ফিরে যান তখন জয় প্রায় ছিনিয়ে নিয়েছে নাইট বাহিনী। তবে ১২২/১ থেকে কেকেআর যে শীঘ্রই ১৩০/৭ হয়ে যাবে কে ভাবতে পেরেছিল। ১৬ ওভারের পর তালগোল পাকিয়ে ফাইনালে ওঠা থেকেই প্রায় ছিটকে গিয়েছিল কেকেআর।
গিলের সঙ্গেসঙ্গেই পরপর আউট হয়ে যান নীতিশ রানা (১৩), দীনেশ কার্তিক (০), ইয়ন মর্গ্যান (০), সাকিব আল হাসান (০), সুনীল নারিনরা (০)। আট রানের মধ্যে ছয় উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল কেকেআর।
নর্টজে ১৯তম ওভারে তিনটে ডট বল সমেত প্রথমে ফেরান মর্গ্যানকে। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৭ রান। শেষ ওভারে অশ্বিন হ্যাট্রিকের সম্ভাবনা তৈরি করে তৃতীয় এবং চতুর্থ বলে আউট করে দেন সাকিব আল হাসান এবং সুনীল নারিনকে। তবে পঞ্চম বলে রাহুল ত্রিপাঠি ছক্কা হাঁকিয়ে রাইডার্সকে জয় এনে দেন।
আরও পড়ুন: ওঁকে আর শ্রদ্ধা করি না! কিংবদন্তি এমব্রোজের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন গেইল
প্ৰথমে ব্যাট করতে দিল্লি শারজার স্লো পিচে ১৩৫ রানে আটকে যাওয়ার পরেই বোঝা গিয়েছিল কেকেআরের ফাইনালে পৌঁছনো স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। তবে খেলাটা আরও একবার একপেশে করে দিলেন সেই ভেঙ্কটেশ আইয়ার। ওপেনিং জুটিতে শুভমান গিলের সঙ্গে ৯৬ তুলে দিয়ে ম্যাচ একেবারে সহজ হয়ে যায়।
দুরন্ত ভেঙ্কটেশ আইয়ার আরও একটা হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়ে গেলেন দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে। ১৩৬ রান তাড়া করতে নেমে আইয়ারের এদিনের অবদান ৪১ বলে ৫৫। গিল অন্যপ্রান্তে ৪৬ বলে ৪৬ করে ফিফটির ঠিক আগেই আউট হয়ে যান।
তার আগে বুধবার টসে জিতে কেকেআর দিল্লিকে ব্যাট করতে পাঠায়। মার্কাস স্টোয়িনিসকে এদিন ফেরানো হয়েছিল টম কুরানের জায়গায়। তবে ব্যাটে দিল্লির কোনও ব্যাটসম্যানই সেভাবে নাইট বোলারদের সামনে ফনা তুলতে পারেননি। শিখর ধাওয়ান (৩৯ বলে ৩৬) এবং শেষের দিকে শ্রেয়স আইয়ারের ২৭ বলে ৩০ রানের ক্যামিও ইনিংস না থাকলে আরও সমস্যায় পড়ত দিল্লি।
কেকেআরের সমস্ত বোলারই যথারীতি টাইট বোলিং করে নাভিশ্বাস তুলেছেন দিল্লি ব্যাটসম্যানদের। আগের ম্যাচের হিরো সুনীল নারিন এদিন উইকেট পাননি। তবে বরুণ চক্রবর্তী নিজের কোটায় দুই শিকার করেছেন। লকি ফার্গুসন এবং শিবম মভির সংগ্রহে একটি করে উইকেট।
কেকেআর একাদশ:
শুভমান গিল, ভেঙ্কটেশ আইয়ার, রাহুল ত্রিপাঠি, নীতিশ রানা, ইয়ন মর্গ্যান, দীনেশ কার্তিক, সুনীল নারিন, সাকিব আল হাসান, লকি ফার্গুসন, শিবম মাভি, বরুণ চক্রবর্তী
দিল্লি ক্যাপিটালস একাদশ:
পৃথ্বী শ, শিখর ধাওয়ান, শ্রেয়স আইয়ার, ঋষভ পন্থ, শিমরণ হেটমায়ার, মার্কাস স্টোয়িনিস, অক্ষর প্যাটেল, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, কাগিসো রাবাদা, আবেশ খান, আনরিখ নর্জে
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন