কেকেআর: ১৭১/৪
রাজস্থান রয়্যালস: ৮৫/১০
কার্যত প্লে অফে পৌঁছে গেল কেকেআর। দুর্ধর্ষ ক্রিকেট উপহার দিয়ে। রাজস্থানকে ৮৬ রানে হারিয়ে প্লে অফের শেষ চারে নাইটরা প্রায় নিশ্চিত। শুক্রবার গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে মুম্বই নামছে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে রোহিতরা জিতলে কেকেআর এবং মুম্বই দুই দলের পয়েন্ট দাঁড়াবে ১৪-এ। তখন রান রেট খতিয়ে দেখা হবে।
তবে খুব বড় অঘটন না ঘটলে কেকেআরই দিল্লি, চেন্নাই, আরসিবির সঙ্গে প্লে অফে নামছে। কারণ এই মুহূর্তে ৮৬ রানে জয়ের পরে কেকেআরের রান রেট (০.৫৬)। অন্যদিকে, মুম্বইয়ের রান রেট -০.০৪৮। অর্থাৎ হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ১৭১ রানের ব্যবধানে জিততে হবে মুম্বইকে।
আরও পড়ুন: পাশে থাকবে তো আজীবন! ম্যাচের পরেই গার্লফ্রেন্ডকে প্রপোজ চাহারের, দেখুন ভিডিও
বল হাতে শিবম মাভি-লকি ফার্গুসন এবং ব্যাটিংয়ে শুভমান গিল কেকেআরের দুরন্ত জয়ের নায়ক হয়ে রইলেন। কেকেআরের ১৭১/৪ তাড়া করতে নেমে রাজস্থান একসময় ৩৫/৭ হয়ে গিয়েছিল। আইপিএলে সর্বনিম্ন রানের লজ্জার নজির হাতছানি দিয়ে যেন ডাকছিল রয়্যালসদের। এর আগে কেকেআরের বিপক্ষেই আরসিবি ৪৯ রানে গুটিয়ে গিয়ে সর্বনিম্ন স্কোরের মহালজ্জা গড়েছিল।
এদিন রাজস্থানকে সেই বিপদ থেকে উদ্ধার করলেন গত আইপিএলে এক ওভারে পাঁচ ছক্কা হাঁকানো রাহুল তেওটিয়া। কেকেআরের হয়ে নতুন বলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সাকিব আল হাসানকে। প্রথম ওভারেই যশস্বী জয়সোয়ালকে তুলে নিয়ে রাজস্থান ইনিংসের পতনের সূচনা করেন বাংলাদেশি অলরাউন্ডার। তার পরেই সঞ্জু স্যামসনকে নিজের বলের প্রথম বলে ফেরান শিবম মাভি। চলতি আইপিএলে ব্যাট হাতে গোটা টুর্নামেন্টে সঞ্জু ১৩৬.৭২ স্ট্রাইক রেটে করে গেলেন ৪৮৪ রান।
আরও পড়ুন: রাহুলের মরুঝড়ে উড়ে গেল চেন্নাই! বিধ্বংসী ইনিংসে সুপারহিট আইপিএল
তারপরেই ক্রমাগত উইকেট হারিয়ে রাজস্থান একসময় ৩৬/৭ হয়ে যায়। শেষদিকে রাহুল তেওটিয়ার ৩৬ বলে ৪৪ না থাকলে আরও বড় বিপত্তির মুখে পড়ত মরু শহরের ফ্র্যাঞ্চাইজি। শিবম মাভি ২১ রানের বিনিময়ে তুলে নেন ৪ উইকেট। ফার্গুসনের শিকার রাজস্থানের ৩ জন।
শারজার স্লো পিচে চলতি টুর্নামেন্টে প্রতিটি দলই ব্যাট করতে নেমে সমস্যায় পড়েছে। তবে সেই সমস্যাকে তুড়ি মেরেই শারজার সেরা স্কোর বোর্ডে তুলে গেল কেকেআর। কেকেআরের ১৭১ তোলার পিছনে অবদান প্রায় সকলেরই। ভেঙ্কটেশ আইয়ার এবং শুভমান গিল শুরুর দিকে সমস্যায় পড়েছিলেন। তবে বাধাকে অতিক্রম করে পরে রান করে যান। গিলের ব্যাট থেকে বেরোল ৪৪ বলে ঝকঝকে ৫৬ রানের ইনিংস। অন্যদিকে আইয়ার করেন ৩৫ বলে ৩৮। শেষ ১০ ওভারে কেকেআর স্কোরবোর্ডে ১০২ তুলে যায় শারজার শ্লথ পিচে। ম্যাচে ওখানেই ফারাক হয়ে যায়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন