নিজের কেরিয়ারের সেরা টি২০ ইনিংস খেললেন। আর আর সেই সেরার চোটেই কার্যত রূপকথা তৈরি হতে চলছিল বুধবারের ওয়াংখেড়ের পিচে। প্যাট কামিন্সের টাইফুন উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছিল সিএসকেকে। একাই ৩৪ বলে ৬৬ রান করে অসম্ভব জয় ছিনিয়ে নিচ্ছিলেন প্রায়। চারটে বাউন্ডারি আর হাফডজন ওভার বাউন্ডারিতেও অবশ্য কেকেআর শেষ পর্যন্ত ১৮ রানে হার হজম করল। পাঁচ বল বাকি থাকলেও ইনিংসের অন্য প্রান্তে পর্যাপ্ত সহায়তার অভাবে কেকেআর থমকে গেল ২০২ রানেই।
৬৬ রানের ইনিংসের পথেই কামিন্স স্যাম কুরানের এক ওভারে তুললেন ৩০ রান। চারটে ওভার বাউন্ডারি হাঁকালেন। হ্যাটট্রিক ওভার বাউন্ডারি সহ। আইপিএলে এক ওভারে ৩০ রান তোলা ব্যাটসম্যানদের বিরল তালিকায় বুধবারই নিজের নাম তুলে ফেললেন অজি সুপারস্টার। এই তালিকায় গেইল (১ ওভারে ৩৬), রাহুল তেওটিয়া, সুরেশ রায়না (৩২ রান), শন মার্শ, বীরেন্দ্র শেওয়াগের মত তারকারা রয়েছেন। গেইল তো ওভারে ৩০ তোলার নিরিখে এই তালিকায় দুবার নাম লিখিয়েছেন।
আরো পড়ুন: কামিন্স-রাসেলের হিরোগিরিও পারল না! সিএসকের কাছে হারের হ্যাটট্রিক কেকেআরের
কুরানের বলে ছক্কা হাঁকানোর আগেও কামিন্স অবশ্য জসপ্রীত বুমরার ওপর চড়াও হয়েছিলেন। গত আইপিএলেই বুমরার এক ওভারে আগে কামিন্স চারটে ছক্কা পরপর হাঁকিয়েছিলেন। এক ওভারে চার ছক্কা হাঁকানোর নজির কামিন্সের দু-বার হলেও, এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন ইউনিভার্সাল বস ক্রিস গেইল। আইপিএলে এই কীর্তি তিনি গড়েছেন সাতবার। হার্দিক পান্ডিয়াও এমন কান্ড করেছেন দু-বার।
কামিন্স অবশ্য ম্যাচের শেষ বলে পর্যন্ত ইনিংস টানতে পারলেন না। তাঁকে স্ট্রাইক দিতে গিয়ে বরুণ চক্রবর্তী এবং প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ রান আউট হয়ে যান।
প্যাট কামিন্সের অসাধারণ ইনিংস দেখে মুগ্ধ ক্রিকেট মহল। আগের ম্যাচের হার দেখে যে শাহরুখ খান অভিমানে কিছুই বলেননি। তিনি এদিন ম্যাচের পরেই টুইট করেন কেকেআরের উদ্দেশ্যে, "হতে পারত, হয়ে যেত, উচিত ছিল- এসব কথাবার্তা আজ পিছনের সিটে বসতে পারে। আমার মনে হয়েছে কেকেআর এদিন দুরন্ত ছিল। ওহ, ব্যাটিং পাওয়ার প্লে-টা যদি ভোলা যেত! দারুণ খেলেছ ছেলেরা। আন্দ্রে রাসেল, প্যাট কামিন্স, দীনেশ কার্তিক- এমন ইনিংস নিয়মিত খেলার চেষ্টা কর। আমরা ফিরছি।" শাহরুখের সঙ্গেই কামিন্সের ইনিংসে মুগ্ধতার বার্তা দিয়েছেন বীরেন্দ্র শেওয়াগ, প্রসাদরা। অস্ট্রেলীয় অলরাউন্ডারকে কুর্নিশ করছে ক্রিকেট মহল।
ব্যাট হাতে বিধ্বংসী পারফরম্যান্স মেলে ধরলেও কামিন্স অবশ্য বল হাতে সেভাবে নজর কাড়তে পারেননি। সিএসকে ব্যাটসম্যানদের সামনে অজি তারকা কোটার চার ওভারে খরচ করেছিলেন ৫৮। নিজের স্পেলে সাতটা ওয়াইড বলও করেন। কার্যত সেটাই যেন ম্যাচের ফারাক গড়ে দিল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন