সমর্থকদের হতাশ করে মাঝপথেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে আইপিএল। একের পর এক ফ্র্যাঞ্চাইজিতে বায়ো বাবল ভেদ করে করোনার প্রকোপ বাড়তে থাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে আইপিএল। আর টুর্নামেন্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সবথেকে হতাশ আরসিবি ফ্র্যাঞ্চাইজি।
বারেবারেই টুর্নামেন্টের ডার্ক হর্স আরসিবি এবার আইপিএলে কাপ জয়ের অন্যতম ফেভারিট ছিল। একের পর এক দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্স করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অন্যতম দাবিদারও হয়ে উঠেছিল তারা।
আরো পড়ুন: IPL-এ নাম লেখাচ্ছেন আমির! নিষিদ্ধ পাকিস্তানি হয়েও কীভাবে খেলবেন, জানুন পরিকল্পনা
বোর্ডের তরফে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বছরের শেষের দিকে টুর্নামেন্টের বাকি পর্ব আয়োজন করা হবে বিদেশে। তবে উৎসাহী এক ফ্যান দুরন্ত কীর্তি করে বসলেন। প্রযুক্তির মাধ্যমে টুর্নামেন্টের বাকি না হওয়া ম্যাচ বিশ্লেষণ করে জানিয়ে দিলেন, এবারে চ্যাম্পিয়ন হত আরসিবি-ই! আদিশ জৈন নামের এক রেডিট ব্যবহারকারী এই বিশ্লেষণ করেছেন প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ পাইথনের সাহায্যে। সমস্ত ক্রিকেটীয় ফ্যাক্টর যেমন পিচ, সাম্প্রতিক ফর্ম, ম্যাচ-আপস, দলগুলির এবং ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করে বাকি থাকা ম্যাচের প্রতি বল সিমুলেশন করা হয়।
তিনি রেডিট-এর এই বিষয়ের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে জানান, "প্লে অফ বাদ দিয়ে আমি পাইথনের সাহায্যে পুরো আইপিএলের সিমুলেশন করেছিলাম। পুরোনো পরিসংখ্যান, আগাম বিশ্লেষণ এবং গড়পড়তা টেকনিক ব্যবহার করে পুরোটা তৈরি করি। দুরন্ত স্কোরকার্ড থেকে হঠাৎ ব্যাটিং বিপর্যয়- সমস্তই এই বিশ্লেষণে ফুটে এসেছে। তাই এটা সকলের সঙ্গে শেয়ার করতে চেয়েছিলাম। জানি এটা আরসিবি ফ্যানরা পছন্দ করবেন।"
কীভাবে এটা করলেন, তা ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে উইজডেন-এ তিনি আরো জানিয়েছেন, "প্রতিটি দলের প্রত্যেক ব্যাটসম্যান এবং বোলারের শেষ পাঁচ বছরের ডেটা বের করেছিলাম। সংশ্লিস্ট ব্যাটসম্যান কীভাবে রান করেন- এক রান, দু-রান, বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি তে, বোলার কীভাবে রান খরচ করেন, কোন বোলারের বিরুদ্ধে কোন ব্যাটসম্যানের রেকর্ড ভালো, ব্যাটসম্যান কোন ওভারে (পাওয়ার প্লে, স্লগ ওভার) বেশি রান তুলতে সক্ষম- সমস্ত কিছুই ধরা হয়েছে। এমনকি, কোনো ফিল্ডার কত রান সেভ করতে পারেন, সেই বিষয়টিও রাখা হয়েছে।"
এই সেই বিশ্লেষণেই দেখা গিয়েছে পুরো মরশুম খেলা হলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার শিরোপা এবার পেত আরসিবি-ই। প্রথমবারের মত। বন্ধ হয়ে যাওয়া টুর্নামেন্টে সবথেকে প্রভাব সৃষ্টিকারী দল ছিল কোহলির ব্রিগেড। ৭ ম্যাচের মধ্যে ৫টিতেই জিতে লিগ টেবিলের ৩ নম্বরে ছিল তাঁরা। দিল্লি ক্যাপিটালস ২-এ থাকলেও আরসিবির থেকে একটা ম্যাচ বেশি খেলেছিল। শীর্ষে থাকা সিএসকে কেবল নেট রান রেটের বিচারে এগিয়ে ছিল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন