কেকেআরে কি এবার সাকিব আল হাসানকে দেখা যাবে, তা নিয়ে যথেষ্ট জটিলতা তৈরি হল। বিসিবি-র সঙ্গে সংঘাতে তারকা অলরাউন্ডারের আইপিএল খেলা নিয়ে সংশয় চূড়ান্ত মাত্রায়। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেই বিপাকে পড়লেন সাকিব।
বাংলাদেশ আইপিএলে খেলার জন্য সাকিবকে এনওসি সংশাপত্র দিয়ে দিয়েছিল। তবে বোর্ডকে তুলোধোনা করার পরেই বিসিবি-র ক্রিকেট অপারেশন প্রধান আক্রম খান পাল্টা সংবাদমাধ্যমে বলে দিয়েছেন, সাকিবের এনওসি নতুন করে বিবেচনা করা হবে। এরপরেই চাপে পরে গিয়েছেন সাকিব।
আরো পড়ুন: বিশ্বকাপে কি বাদ পড়ছেন ‘ফ্লপ’ রাহুল! সাফ জবাব দিলেন রোহিত শর্মা
কী কারণে সমস্যার সূত্রপাত? সাকিব প্রথমেই আইপিএল খেলার জন্য শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে আসন্ন টেস্ট সিরিজ থেকে 'ছুটি' চেয়েছিলেন। সেই আবেদনে কর্ণপাত করে বিসিবি-র তরফে তারকা ক্রিকেটারকে সবুজ সংকেতও দিয়ে দেওয়া হয়। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেট মহলে কার্যত ভিলেন বনে যান তিনি। ক্রিকেট মহলে প্রশ্ন ওঠে, দেশকে সরিয়ে আইপিএল খেলাকেই তিনি কিনা অগ্রাধিকার দিলেন।
চূড়ান্ত সমালোচিত হওয়ার পরে সাকিব বাংলাদেশের মিডিয়ায় চলতি সপ্তাহেই বলে দেন, তাঁর আইপিএল খেলাকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। তিনি মোটেই টেস্ট খেলতে আগ্রহী নন, এমনটা মোটেই নয়। তবে এই বছরেই যেহেতু টি২০ বিশ্বকাপ, সেই কারণে আরো ভালো প্রস্তুতির জন্য আইপিএলকে বেছে নিয়েছেন তিনি। সাকিব ক্ষোভ উগরে দেন কর্তা আক্রম খানের ওপর। বলে দেন, উনি নাকি পাঠানো চিঠি ভালোভাবে পড়েই দেখেননি। তাঁর বক্তব্যের অপব্যাখ্যা করেছেন আক্রম খান। সাকিব আরো বলেন, তিনি ভবিষ্যতে বিসিবি-র সভাপতি হতে চান।
এমন বিস্ফোরণের পরেই নড়েচড়ে বসে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। সাকিবের তোপের মুখে পড়া আক্রম খান পাল্টা চাপের কৌশল খেলেন আক্রম খান। ঢাকায় সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের বাড়িতে বৈঠকের পর আক্রম খান সাফ বলে দেন, "শুনলাম ও নাকি বলেছে আমি চিঠি পড়িনি। হয়ত আমি ওঁর চিঠির ভুল ব্যাখ্যা করেছি। ও যা বলেছে, তাতে স্পষ্ট ও টেস্ট খেলতে চায়। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ওঁর এনওসি নিয়ে নতুন করে আলোচনায় বসব। ও যদি টেস্ট খেলতে রাজি হয়, তাহলে শ্রীলঙ্কায় টেস্ট খেলবে। পুরো সাক্ষাৎকার শুনে আমরা বাকিটা ঠিক করব।"
এই মুহূর্তে সাকিবের কাছে দুটো অপশন রয়েছে- এক, যদি এনওসি না পাওয়া যায়, তাহলে জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়ে আইপিএলের জার্সি চাপাতে হবে। দুই, শ্রীলঙ্কার বিরূদ্ধে বিসিবি টেস্ট স্কোয়াডে তাঁর নাম রাখলেও এনওসি বাতিল করল না। সেক্ষেত্রে সাকিব জাতীয় দলের খেলা স্কিপ করে কেকেআর দলে খেলতে পারবেন।
ঘটনা যাই হোক, পদ্মাপাড়ের ক্রিকেটে ডামাডোলে ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছে কেকেআর। নিলামে তারকা অলরাউন্ডারকে অনেক আশা করেই কিনেছে নাইটরা। এখন সাকিবকে হঠাৎ না পাওয়া গেলে এখন থেকেই বিকল্প তৈরি করে রাখতে হবে নাইট শিবিরকে। মুম্বইয়ে কেকেআর ক্রিকেটারদের কোয়ারেন্টাইন পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন