এখনই অবসরের কথা ভাবছেন না বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। অবসরের শর্ত একটাই তা হল, বাংলাদেশের বিশ্বকাপ জয়। ২০১৯ সালে স্বপ্নের ফর্মে ছিলেন অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার। বাংলাদেশ শেষ চারে উঠতে ব্যর্থ হলেও, সাকিব মাতিয়ে দিয়েছিলেন টুর্নামেন্ট। ৮৬.৫৭ গড়ে ৬০৬ রান করেছিলেন। পাঁচটি হাফসেঞ্চুরির সঙ্গেই হাঁকিয়েছিলেন জোড়া শতরান। নামের পাশে ছিল ১১ উইকেটও। ছিল ইনিংসে পাঁচ উইকেট প্রাপ্তিও। যদিও টুর্নামেন্টের সেরা স্বীকৃতি পাননি। কেন উইলিয়ামসন হন ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্ট।
আইপিএলের আগেই নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে খুল্লমখুল্লা সাকিব। দারাজ-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ অলরাউন্ডার বলে দিয়েছেন, "২০২৩ বিশ্বকাপই আমার কেরিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ হতে চলেছে। যদি বাংলাদেশ না জেতে, তাহলে ২০২৭ পর্যন্ত খেলা চালিয়ে যাব।"
আরো পড়ুন: কোহলির দলের তারকার ব্যাটে কচুকাটা বাংলাদেশ! লজ্জার হারে কালো অন্ধকারে টাইগাররা
বাংলাদেশের যশোরের মাগুরায় বেড়ে ওঠা তারকা বলে দিয়েছেন, এখনই অবসরের কোনো চিন্তা নেই তাঁর। গত মাসেই ৩৪ বছরে পা দিয়েছেন তিনি। সাকিব বলেছেন, "এই মুহূর্তে অবসরের কোনো চিন্তা নেই। যখন বুঝব, খেলা আর উপভোগ করছি না, তখনই বুটজোড়া তুলে রাখব। যতদিন খেলা উপভোগ করছি, চালিয়ে যাবো।"
সাক্ষাৎকারে তিনি আরো জানিয়েছেন, তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেট মানসিকতায় বদল আনতে চান। নিউজিল্যান্ডের কাছে ২৪ ঘন্টা আগেই বাংলাদেশ বিশ্রীভাবে হেরে বসেছে। তারপরেই তারকা বলে দিয়েছেন, "যদি সুযোগ হয় দলের মানসিকতা বদলাতে চাইবো। তবে এই মুহূর্তে এর কোনো ব্যাখ্যা দেব না।"
কিছুদিন আগেই আইপিএলে খেলাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন তারকা অলরাউন্ডার। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ না খেলে আইপিএলে খেলার জন্য বিসিবির কাছ থেকে এনওসি আদায় করে নিয়েছিলেন। তারপরে ফেসবুক লাইভে এসে বিসিবি কর্তা আক্রম খানকে একহাত নেন। এমন পরিস্থিতিতেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের তরফে বলা হয়েছিল, সাকিবের এনওসি পুনরায় পর্যালোচনা করা হবে। যদিও শেষ পর্যন্ত বোর্ডের ছাড়পত্র নিয়েই ভারতে আইপিএল খেলতে উড়ে এসেছেন সাকিব। ২.২ কোটি টাকায় সাকিবকে ফেব্রুয়ারির নিলামে কিনেছিল কেকেআর। আপাতত তিনি আইপিএলে খেলে বিশ্বকাপের জন্য সেরা প্রস্তুতি সারতে চান।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন