অজি তারকা স্টিভ স্মিথকে কার্যত জলের দরে পেয়ে গিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। নিলামের টেবিলে স্মিথের জন্য প্রথম দর হাঁকা শুরু করেছিল আরসিবি। তবে দিল্লি ক্যাপিটালস পাল্টা বিড করতেই লড়াই থেকে চম্পট দেয় কোহলির দল।
নিজের বেস প্রাইসের থেকে সামান্য বেশি মূল্যে স্মিথকে ঘরে নেয় দিল্লি। মঙ্গলবারই আরসিবি একটি ভিডিও প্ৰকাশ করে, যেখানে দেখা যাচ্ছে স্মিথের জন্য কার্যত কোমড় বেঁধেই নেমেছিল ব্যাঙ্গালোর। নিলামের আগে মক-অকশন আয়োজন করে পরীক্ষার সমস্ত প্রস্তুতি নিয়েই মাঠে নামে তারা। আর পুরো বিষয়টি পরিচালনা করেন আরসিবির ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট মাইক হেসন।
আরো পড়ুন: এত কম টাকায় খেলবেন না! আইপিএল থেকে সরে দাঁড়ানোর পথে স্মিথ
সেই ভিডিওর শুরুতেই দেখা যাচ্ছে মাইক হেসন বুঝিয়ে দিচ্ছেন, স্মিথকে কোনোভাবেই দলে নেওয়া হবে না। কারণ এতে বোলিংয়ের অপশন বাড়বে না। পরে তিনি আরো প্রাঞ্জলভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেন, তারা এমন একজনকে খুঁজছেন যিনি মূলত ব্যাটসম্যান তবে অল্পস্বল্প বোলিংটাও করতে পারবেন। কারণ তাতে বোলিং বিভাগে বৈচিত্র্য এবং অপশন বাড়বে। সেই কারণেই শুরু থেকে ম্যাক্সওয়েলকে নেওয়া কার্যত স্থির করেই ফেলে তাঁরা।
সিএসকের সঙ্গে যুদ্ধে নিলামে ১৪.২৫ কোটি টাকা খরচ করে ম্যাক্সওয়েলকে কেনে বিরাট কোহলির দল। হেসন বলছিলেন, "স্মিথের জন্য কোনো দল বিড করবে কিনা, সেই বিষয়ে আমি নিশ্চিত ছিলাম না। আমাদের লক্ষ্যই ছিল শুরুতে স্মিথের জন্য বিড করেই সেখান থেকে পিছন হাঁটা। যাতে নিলামে স্মিথের হয়ে বিড দেওয়া দলের পরে আর ম্যাক্সওয়েলকে কেনার জন্য অর্থ বেঁচে না থাকে। সিএসকে যদি স্মিথের জন্য বিড করে তাহলে ম্যাক্সওয়েলকে আর কিনতে পারবে না। নিলামে একমাত্র সিএসকেই আমাদের ম্যাক্সওয়েলকে পাওয়ার ব্যাপারে হারাতে পারত। আর স্মিথের জন্য নয় কোনো দল আমাদের পাল্টা বিড না করলে আমরা ২ কোটি টাকায় ওঁকে পেতাম। এতে আমাদের কোনো ক্ষতি হত না।"
ম্যাক্সওয়েলকে কেনার জন্য এতটাই মরিয়া ছিল যে আরসিবি মক-নিলাম করে হিসেব করে ফেলেছিল আগেই। সেখানেই আরসিবি বুঝে যায়, স্মিথের দাম কোনোভাবেই ৪ কোটি টাকার বেশি উঠবে না। আর এত হিসাবে করেই ম্যাক্সওয়েলের পাশাপাশি আরসিবি দলে নিয়েছে নিউজিল্যান্ডের উঠতি তারকা কাইল জেমিসনকে (১৫ কোটি)।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন