Advertisment

বোল্ড হয়ে ড্রেসিংরুমে না গিয়ে সিঁড়িতে কেন রাসেল! অবশেষে কারণ জানালেন তারকা

কেকেআর দীপক চাহারের দাপটে ৩১ রানের মধ্যেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল। তারপরেই দীনেশ কার্তিক, আন্দ্রে রাসেল এবং প্যাট কামিন্স কেকেআরকে প্রায় রুদ্ধশ্বাস জয় এনে দিয়েছিলেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

স্যাম কুরানের বলে আউট হয়ে যাওয়ার পরে আন্দ্রে রাসেলের কিচ্ছুটি করতে ভাল লাগছিল না। ধীর পায়ে সাজঘরে না গিয়ে সিঁড়িতেই বসে পড়েন। চোখে মুখে হতাশা ঘিরে ধরছিল। তারপর প্যাট কামিন্স যখন মারমার কাটকাট ব্যাটিং করছেন, তখনও সিঁড়ি থেকে ওঠেননি। বসে থেকেছেন দীর্ঘক্ষণ।

Advertisment

আর রাসেলের সেই হতাশাগ্রস্ত ছবিই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল চেন্নাই ম্যাচে। তবে কেন সাজঘরে যাননি তিনি ফাঁস করলেন অবশেষে। দ্রে রাস জানালেন, ড্রেসিংরুমে গিয়ে সতীর্থদের মুখোমুখি হওয়ার সাহস তাঁর ছিল না।

আরো পড়ুন: আইপিএল শেষ রাজস্থানের এক নম্বর পেসারের! একসঙ্গে তিন তারকাকে হারাল সঞ্জু স্যামসনের দল

২২১ রানের পাহাড় প্রমাণ টার্গেট তাড়া করতে নেমে কেকেআর একসময় ৩১ রানের মধ্যেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল। তারপর পাল্টা লড়াই শুরু হয় রাসেল-কার্তিকের ব্যাটে। ছয় ছক্কায় মাত্র ২১ বলে ফিফটি করে কেকেআরকে ভরসা জুগিয়েছিলেন রাসেল। তবে শেষমেশ কুরানের বলে লেগস্ট্যাম্পে বোল্ড হয়ে যান।

কেকেআর ওয়েবসাইটকে আন্দ্রে রাসেল জানিয়েছেন, "আউট হওয়ার পর প্রচণ্ড আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ি। ওরকম বলে বোল্ড আউট হওয়ার পরে কীভাবে ড্রেসিংরুমে গিয়ে সতীর্থদের মুখোমুখি হব, সেটা ভাবছিলাম। তখনও ম্যাচ শেষে হয়নি। আমি চেয়েছিলাম দলকে ফিনিশিং লাইন পেরিয়ে দিতে। তাই সেই সময় আবেগ টাবেগ সব একাকার হয়ে গিয়েছিল।"

রাসেল আউট হওয়ার পরেও কেকেআর লড়াই চালিয়ে যায় প্যাট কামিন্স এবং দীনেশ কার্তিকের ব্যাটে ভর করে। তবে শেষমেশ ২০২ রানে অলআউট হয়ে যায় নাইটরা।

রাসেল জানিয়ে দিয়েছেন, আস্কিং রেট যতই থাকুক, তিনি ব্যাট করলে দলের জয়ের আশা থাকেই। "আমি ক্রিজে থাকলে যেকোনো কিছু সম্ভব। আগেও একাধিকবার।এরকম ইনিংস খেলেছি। তাই সমর্থকরাও জানেন, ২০ বলে ১০০ করার হলেও সুযোগ থাকে। কে বলতে পারে ২০ বলে ২০টা ছক্কা হবে না!" বলেছেন ক্যারিবীয় সুপারস্টার।

ম্যাচের পরেই সাংবাদিক সম্মেলনে ক্যাপ্টেন মর্গ্যান জানিয়ে দিয়েছিলেন, রাসেল আউট হওয়ার পরে তিনি সবসময় তাঁর থেকে দূরে থাকেন। সেই প্রসঙ্গেই রাসেল জানান, "যখন আমি আউট হয়ে যাই, যদি ম্যাচ তখনো অসমাপ্ত থাকে, তখন হতাশার শিকার হওয়াটা স্বাভাবিক। সেই সময় হতাশায় বিস্ফোরণ ঘটে যেতে পারে। তবে চেন্নাই ম্যাচটা আলাদা। আউট হওয়ার পর রীতিমত হতাশ এবং বিষাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলাম। আমি দলকে জেতানোর জন্য সর্বস্ব চেষ্টা করেছিলাম। আমার হৃদয়টাই ভেঙে গিয়েছিল।"

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

KKR Andre Russell
Advertisment