আইপিএলের বায়ো বাবলের নিরাপত্তা নিয়ে আগেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। এবার সেই সমালোচনার সুর স্বয়ং ঋদ্ধিমান সাহার গলায়। সাফ জানিয়ে দিলেন গতবছর সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে যে নিশ্ছিদ্র ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তা এবারে ধরে রাখা হয়নি।
আইপিএল মাঝপথে বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঠিক আগেই ঋদ্ধিমান সাহা করোনা আক্রান্ত হন। তারপর সুস্থ হয়ে দিল্লি থেকে কলকাতায় পাড়ি দিয়েছেন। সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলার তারকা ক্রিকেটার জানিয়ে দিয়েছেন, "টুর্নামেন্টের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা প্রত্যেক শেয়ারহোল্ডার নিশ্চয় বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন। তবে আমি স্রেফ এটাই বলব, গতবছর আমিরশাহিতে কিন্তু ট্রেনিং সেশনে আমরা বাদে অন্য কেউ থাকতেন না। এখানে মাঠে বিভিন্ন লোকের আনাগোনা লেগেই থাকত- দেওয়ালের ফুটো দিয়ে বাচ্চাদের নজরদারি হোক বা অন্যরা।! বেশি কিছু বলব না। তবে সকলেই দেখেছেন কীভাবে গতবার মসৃণভাবে আইপিএল আয়োজিত হয়েছিল। আর এখানে কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধির মুখেই টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হল।"
আরো পড়ুন: ভারত সিরিজ বয়কটের পথে লঙ্কান ক্রিকেটাররা! বিশাল ডামাডোলে তপ্ত শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট
দিল্লিতে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরে আইসোলেশনে ছিলেন দু-সপ্তাহ। তারপর বাকি ক্রিকেটাররা মুম্বইয়ে জড়ো হলেও তিনি বোর্ডের বিশেষ অনুমতি নিয়ে পরিবারের সঙ্গে কাটাতে কলকাতা চলে এসেছেন। আগামী সপ্তাহেই মুম্বই পাড়ি দেবেন তিনি।
তবে বায়ো বাবলের সুরক্ষা নিয়ে মুখ খুলতে কার্পণ্য করছেন না তিনি। বাড়ি থেকেই তিনি জানিয়ে দিলেন, "আইপিএলে কী যে হল, সেটা এখনো বুঝতে পারছি না। তবে আমার মনে হচ্ছে, এবারও আমিরশাহিতে আইপিএল হলে হয়ত ভালো হত! এটা নিশ্চয় শেয়ারহোল্ডাররা খতিয়ে দেখবেন।"
যেদিন আইপিএল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল, সেদিনই কোভিড টেস্টে পজেটিভ ধরা পড়েন তিনি। আপাতত তিনি পুরোপুরি সুস্থ। জানিয়েছেন, "স্বাভাবিক রয়েছি। কোনো ক্লান্তি, দুর্বলতা বা গা ম্যাজম্যাজ ভাব নেই। তবে অনুশীলনে নামলেই বুঝতে পারব, শরীর কতটা মানিয়ে নিতে পারছে।"
ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার প্রসঙ্গে উঠলে তিনি এখনও আঁতকে ওঠেন। বলে দিচ্ছেন, "প্রথম দু-একদিন সামান্য জ্বর এসেছিল। পাঁচদিন পর স্বাদ-গন্ধের অনুভূতিও চলে গিয়েছিল। তবে আর দিন চারেকের মধ্যেই সব স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছিল। সেই সময় পরিবার, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে গল্পগুজব করে কাটাতাম। হালকা ছলের সিনেমা দেখতাম। যাতে মানসিকভাবে আরো চাঙ্গা থাকতে পারি। মানসিকভাবে কখনো ভেঙে পড়িনি। সবসময়েই স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করে গিয়েছি। এখন ঘরেই কিছু ফিটনেস ট্রেনিং করছি। তবে মুম্বইয়ে দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার পরেই আসল ট্রেনিং শুরু হবে।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন