আইপিএল ২০২১-এর পরে আরসিবির নেতৃত্বে আর থাকবেন না তিনি। এমনটা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। কিন্তু কেন? সেই জবাব-ই এবার দিলেন মহাতারকা। জানিয়ে দিলেন, নিজেকে স্পেস দেওয়ার জন্য এবং ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের কথা ভেবেই আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজির নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি।
আরসিবি নেতৃত্বে থেকে প্রস্থানের মঞ্চে কোহলি আরও জানিয়েছিলেন, টি২০ ওয়ার্ল্ড কাপের পরে জাতীয় কুড়ি কুড়ি দলের অধিনায়ক হিসাবেও আর দেখা যাবে না তাঁকে। এরপরে টেস্টের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর আগে বোর্ডের তরফে কোহলিকে একদিনের ক্রিকেট অধিনায়কত্ব থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়।
আরসিবির পডকাস্টে কোহলি বলেছেন, "আমি তেমন ব্যক্তি নই যে এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে কোনও জিনিস দখল করে বসে থাকবে। যদিও আমি বুঝতে পারি, আমি সেই বিষয়ের থেকে বেশি কিছু করার ক্ষমতা থাকি, তবে পুরো প্রসেসে যদি সন্তুষ্ট না হই, তাহলে আমি সেই জিনিস নিয়ে পড়ে থাকব না।"
আরও পড়ুন: ভেঙ্কটেশ আইয়ারের সঙ্গে KKR-এর ওপেনিংয়ে কে! এই তারকারাই হতে পারেন সেরা তিন চয়েস
বিষ্ফোরক ভঙ্গিতে কোহলি আরও জানিয়েছেন, একজন ক্রিকেটার কোন পরিস্থিতিতে এমন সিদ্ধান্ত নেন, তা সাধারণ ক্রিকেট সমর্থকদের বোধগম্য হবে না। "সেই ক্রিকেটারের পরিস্থিতিতে না পড়লে বাকিদের পক্ষে বোঝা মুশকিল কেন এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। বাইরে থেকে সকলের প্রত্যাশা অন্যরকম থাকতে পারে, 'ওহ, এটা ককীভাবে ঘটল? আমি বিস্মিত হয়ে গিয়েছি!',"
এমনটা জানিয়ে কোহলির আরও সংযোজন, "চমকে যাওয়ার মত কিছুই নেই। আমি আগেও সকলকে বলেছি, নিজের জন্য স্পেস দরকার, ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের বিষয় থাকে। এটাই মোদ্দা কথা।"
কয়েকমাস আগে নেওয়া কোহলির সেই সিদ্ধান্তের ঘোর এখনও পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠেনি বিশ্বক্রিকেট। তবে সমস্ত জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে মহাতারকা বলছেন, "নিজের জীবন একদম সাধারণ রাখতে চাই। যখন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ইচ্ছা হয়, সেটা স্রেফ জানিয়ে দিই। তারপরে সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে পুনর্বিবেচনার কোনও ব্যাপারই থাকে না। আরও এক বছর ধরে অনুশোচনার কোনও জায়গা নেই। এই সিদ্ধান্ত আমাকে বা আমি যে পরিবেশে থাকি, তাতে কোনও প্রভাবই ফেলে না। জীবনের মান আমার কাছে সবসময় গুরুত্বপূর্ণ। এর সঙ্গে প্রয়োজন ক্রিকেট খেলার মান।"
আরও পড়ুন: IPL-এ মুম্বই কেন ‘অনৈতিক’ সুবিধা পাবে! বোর্ডের কাছে কড়া আপত্তি বাকি দলগুলোর
"একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত দিন-রাত্রি যা চেয়েছি, তাই করেছি, নিজের সাধ্যমত করেছি। তবে দিনের শেষে বুঝতে হবে, পরিমাণের থেকে মান সবসময় গুরুত্বপূর্ণ।"
"কঠোর পরিশ্রমের ক্ষেত্রে পরিমাপ ফ্যাক্টর হয়। তবে তা প্রয়োগ করার সময় মানকে অগ্রাধিকার দিতেই হবে। এটাই চাবিকাঠি। যদি মাঠে নিজেকে পরিমাণের দিক থেকে নিংড়ে দিই, তাহলে একটা সময়ের পর নিঃশেষিত হয়ে পড়ব। জীবনে যদি নিজের মত হয়ে উঠতে না পারি, মাঠেও নিজেকে মেলে ধরতে পারব না।"
"এই কারণেই আমি আমার মত। এই কারণেই আজ এই স্থানে পৌঁছেছি। এই জন্যই একটা পর্যায় পর্যন্ত মানুষ আমার সঙ্গে নিজেদের কানেক্ট করতে পারেন- আমার প্রিয় মানুষরা, কাছাকাছি যাঁরা রয়েছেন, আমার বন্ধুবান্ধবরা সকলের সঙ্গেই যোগাযোগ রয়েছে। আমি সবসময়েই নিজের মত থাকতে চেয়েছি।"