Operation Sindoor: গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁও এলাকায় যে জঙ্গি হামলা (Pahalgam Terror Attack) চালানো হয়েছিল, ভারত ইতিমধ্যে তার যোগ্য জবাব দিয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে (৭ মে) পাকিস্তানের উপর 'অপারেশন সিন্দুর' চালানো হয়েছে। এই অভিযানে ভারতীয় সেনাবাহিনী ৯ জঙ্গি ঘাঁটি কার্যত ধূলিস্যাৎ করে দিয়েছে। এই অপারেশনের পর অনেকেই আশঙ্কা করেছিলেন যে আইপিএল টুর্নামেন্টের উপর প্রত্যক্ষ প্রমাণ পড়তে পারে। শেষপর্যন্ত তাই হল।
সূত্রের খবর, এই অভিযানের পর আইপিএল টুর্নামেন্টে (IPL 2025) একটি ম্য়াচের ভেন্যু বদল করা হতে পারে। আর এই বদলের কারণে কপাল খুলতে পারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলের। অন্যদিকে বড়সড় ধাক্কা খেতে পারে পঞ্জাব কিংস।
India Air Strike: এয়ার স্ট্রাইকে পুড়ে ছাই হয়েছিল পাকিস্তানি বিমানঘাঁটি, দুঃসাহসিক স্কোয়াড্রন লিডারের গল্প শুনলে অবাক হবেন
কপাল খুলতে পারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের
স্পোর্টস তক-য়ে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং পঞ্জাব কিংসের (Mumbai Indians vs Punjab Kings) মধ্যে যে ম্যাচটা ধরমশালা স্টেডিয়ামে (Dharamshala Stadium) আয়োজন করার কথা ছিল, সেই ম্য়াচের ভেন্যু বদল করা হতে পারে। ম্যাচটি মুম্বইয়ে শিফট করা হতে পারে। এর পিছনে অবশ্য একটি বিশেষ কারণ রয়েছে। আসলে, অপারেশন সিন্দুর-এর পর দেশের সীমান্ত এলাকায় বেশ কয়েকটি বিমানবন্দর বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বাতিল করে দেওয়া হয়েছে ২০০-র বেশি বিমানযাত্রা। এই কঠিন পরিস্থিতিতে এয়ার ইন্ডিয়া, ইন্ডিগো, স্পাইসজেট, এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস, আকাশ এয়ারের মতো বিমান সংস্থাগুলো যাবতীয় পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে। আর সেকারণে ধর্মশালা বিমানবন্দরও আপাতত কয়েকদিন বন্ধ রাখা হবে বলে জানা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দল ওখানে খেলতে যেতে পারবে না। আর সেকথা মাথায় রেখেই ম্য়াচের ভেন্যু পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
Operation Sindoor Explained: অপারেশন Sindoor জাগিয়ে তুলেছে বালাকোটের স্মৃতি! জানেন কী ঘটেছিল ২০১৯-এর সেই এয়ার স্ট্রাইকে?
এই ব্যাপারে কী জানিয়েছে বিসিসিআই?
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, বিসিসিআই এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার আগে কয়েকদিন সময় নেবে। প্রসঙ্গত, পঞ্জাব কিংস বনাম মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ম্য়াচটি আগামী ১১ মে আয়োজন করা হবে। এই ম্যাচে অপারেশন সিন্দুর-এর প্রভাব পড়তে পারে। এই ব্যাপারে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, 'এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে আমাদের এখনও অপেক্ষা করতে হবে। গোটা ব্যাপারটা আমরা নজরে রাখছি। আমাদের কাছে কোনও রাস্তা খোলা নেই। কারণ চণ্ডীগড় বিমানবন্দর বন্ধ রয়েছে। ফলে কী করা যায়, সেটাই আমরা দেখছি। দুটো দল আগে থেকেই এখানে রয়েছে। যেহেতু মুম্বই আগামী ১১ মে খেলতে নামবে, সেকারণে সপ্তাহের শেষদিকে আসার কথা ছিল। কাছাকাছি অপশন বলতে দিল্লি বিমানবন্দর রয়েছে। কিন্তু, সেক্ষেত্রে সড়কপথে অনেকটা যাত্রা করতে হবে। সরকারের নির্দেশের উপর আমরা নজর রাখছি। কেন্দ্রীয় সরকার যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে, সেটাই আমরা মাথা পেতে গ্রহণ করব। এরপর বাকি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।'