IPL 2025 retentions: শ্রেয়াস আইয়ারকে ধরে না রাখলে সেটা কলকাতা নাইট রাইডার্সের জন্য 'সত্যিকারের একটা বড় ক্ষতি হয়ে যাবে'। এমনটাই মনে করছেন প্রাক্তন ভারতীয় বোলার ইরফান পাঠান। তাঁর আশা, ঋষভ পন্থ এবং দিল্লি ক্যাপিটালসও শেষ পর্যন্ত সমঝোতায় পৌঁছবে। আর, পন্থ এবারও দিল্লির হয়েই খেলবেন।
কলকাতা নাইট রাইডার্স ২০২৪ সালে ১০ বছর পর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ জিতেছে। তবে, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এর আগে রিপোর্টে জানিয়েছে যে ফ্র্যাঞ্চাইজি কেকেআর ও আইপিএল জয়ী অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ারের মধ্যে আলোচনায় সুষ্ঠু সমাধান হয়নি। তাই ২৯ বছরের শ্রেয়সকে এবার দলে না-ও রাখতে পারে কেকেআর। এই ইস্যুতে সোশ্যাল মিডিয়া এক্স (পূর্বতন টুইটার)-এ প্রতিক্রিয়ায় ইরফান বলেছেন, 'যদি দলকে আইপিএল ট্রফি দেওয়ার পরও শ্রেয়সকে দলে রাখা না হয়, তবে সেটা কেকেআরের জন্য এক সত্যিকারের বড় ক্ষতি হতে যাচ্ছে।'
আইয়ারকে কেকেআর ২০২২ সালে ১২.২৫ কোটি টাকায় কিনেছিল। তবে, তিনি ইনজুরির জন্য গোটা ২০২৩-এ খেলতে পারেননি। ২০২৪-এ দলে ফিরে দলকে চ্যাম্পিয়ন করেছেন। তার আগের বছর, অর্থাৎ ২০২২ সালে কেকেআর লিগে সপ্তম স্থানে দৌড় শেষ করেছিল। এই পরিস্থিতিতে, ঋষভ পন্থকে দিল্লি ক্যাপিটালস ধরে রাখবে কি না, তা নিয়েও শুরু হয়েছে জল্পনা। পাঠান সেই প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, 'আশা করছি দিল্লিও ঋষভ পন্থকে ধরে রাখবে। খেলোয়াড় এবং অধিনায়ক হিসেবে ওঁর বিরাট ভূমিকা আছে।'
পন্থকে ২০২২ সালে ক্যাপিটালসের অধিনায়ক করা হয়েছিল। কিন্তু, উইকেটরক্ষক ব্যাটার ইনজুরির জন্য ২০২৩ মরশুমে খেলতে পারেননি। তবে তিনি ২০২৪-এ দলে ফিরেছেন। অধিনায়ক হিসেবে ব্যাটে একেবারে খারাপ রান না করলেও তাঁর নেতৃত্বে দিল্লি প্লে অফ পর্যায়ে উঠতে ব্যর্থ হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পন্থ সিএসকে দলে যেতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছিল। এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়াম চেন্নাইয়ের ঘরের মাঠ। পন্থকে পেতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে সিএসকে। তবে, সিএসকে এবার অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়, স্টার প্লেয়ার তথা প্রাক্তন অধিনায়ক ধোনি ও মাহিশা পাথিরানাকে ধরে রাখতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। রবীন্দ্র জাদেজার ক্ষেত্রে অবশ্য তাদের অবস্থান এখনও স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন- ভোটের মুখে বড় দায়িত্বে ধোনি! বিশ্বজয়ী অধিনায়ককে দেওয়া হল বিশাল ভূমিকা
কারণ, সিএসকে জানে যে এই সব প্লেয়ারদের ধরে রাখতে হলে তাদের ২০ কোটি টাকার চেয়েও অনেক বেশি অর্থ খরচা হয়ে যাবে। সেকথা মাথায় রেখেই তারা জাদেজাকে নিলামের জন্য ছেড়ে দিতে পারে। আর, রাইট টু ম্যাচ (RTM) ব্যবহার করে তাকে দলে ফিরিয়ে আনতে পারে।