KKR's Venkatesh Iyer strategy in IPL auction 2025 explained: জেড্ডায় দু-দিন ধরে আইপিএলের ১০ ফ্র্যাঞ্চাইজি মিলে ১৮২ ক্রিকেটার কিনতে খরচ করল ৬৩৯.১৫ কোটি টাকা। শৈশব পেরিয়ে লিগ এখন অনেকটাই সাবালক হয়েছে। প্রত্যেক ফ্র্যাঞ্চাইজিরই লক্ষ্য ছিল দলের মূল ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া পুল ধরে রাখা। একমাত্র লক্ষ্য ছিল দলের কোর গ্রুপের যে তারকাদের রিটেন করা সম্ভব হয়নি, তাঁদের নিলাম থেকে কেনা।
এই স্ট্রাটেজি আগে সিএসকে এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে করতে দেখা গিয়েছিল। এবার সেই কৌশলই অবলম্বন করলে কেকেআর। ২৩.৭৫ কোটি টাকা খরচ করে ভেঙ্কটেশ আইয়ারকে নিলাম থেকে কেনা, এই ঘটনার সার্থক উদাহরণ। গত সিজনে মিচেল স্টার্ককে কিনতে ২৪.৭৫ কোটি টাকা খরচ করার পর এবারেও কেকেআর বড় অঙ্ক খরচে প্রস্তুত ছিল। তবে যে ব্যাটিং অর্ডারে যে কোনও পজিশনে ব্যাট করার পাশাপাশি মিলিটারি গতিতে মিডিয়াম পেস বল করতে পারে এমন একজন তারকাকে কিনতে তাদের পার্সের অর্ধেক টাকাই যে খরচ করে ফেলবে, সেটা ভাবা যায়নি।
ভেঙ্কটেশ আইয়ারকে কেন বিশাল অর্থ খরচ করে কেনার পথে হাঁটল কেকেআর? নাইটদের সিইও ভেংকি মাইশোর নিলামের পরেই বলে দিয়েছেন, দলের লক্ষ্য ছিল ভারসাম্য বজায় রাখাকে অগ্রাধিকার দেওয়া। "নিলামের বিষয় আগে থেকে পূর্বাভাস করা যায় না। পুরোটাই নির্ভর করে কোন ধরণের ক্রিকেটার দল চাইছে এবং কীভাবে তা দলের স্ট্র্যাটেজিতে ফিট হবে। দাম অবশ্যই একটা নির্দিষ্ট মাত্রা পর্যন্ত অর্থবহ। তবে নিলাম বরাবর চমকের পথে হেঁটেছে।" বলেছেন তিনি।
এমনিতে ভেঙ্কটেশ আইয়ারের নাম ছিল অলরাউন্ডারদের ক্যাটাগরিতে। তবে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম চালু হওয়ার পর অলরাউন্ডারদের গুরুত্ব অনেকটাই কমে গিয়েছে। আইপিএলে তাঁদের দর অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়মের অবতারণা। অলরাউন্ডার শার্দূল ঠাকুরের দল না পাওয়া এই সর্বোত্তম উদাহরণ। ওয়াশিংটন সুন্দর (৩.২ কোটি), মিচেল মার্শ (৩.৪ কোটি), শাহবাজ আহমেদ (১.৯ কোটি), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (৪ ২ কোটি), গ্লেন ফিলিপস (২ কোটি), স্যাম কুরানরা (২.৪০ কোটি) আইপিএলে কোনওরকমে দল পেলেও চুক্তির অঙ্ক কমে গিয়েছে অনেকটাই।
আরও পড়ুন: IPL-কে টেক্কা দিয়ে কয়েকশ কোটির নতুন লিগ? তেলে ভাসমান ধনকুবের দেশ থেকে এল বিরাট আপডেট
তাই রিটেনশনে যে কেকেআর ভেঙ্কটেশ আইয়ারকে কেকেআর রাখেনি, সেটা মোটেও অপ্রত্যাশিত ছিল না। গত সিজনে মাত্র ১ ওভার বল করেছিলেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার। ভেঙ্কটেশ আইয়ারকে রিটেন না করার পিছনে কেকেআরের ভাবনা ছিল নিলামে অনেক কম অর্থেই তাঁকে হয়ত পাওয়া যাবে। কারণ কেকেআরের প্ল্যান ছিল তাঁদের রিটেন করা রিঙ্কু সিং, সুনীল নারিন, আন্দ্রে রাসেল, বরুণ চক্রবর্তী, হর্ষিত রানা, রামনদীপ সিংদের নিলামে ছাড়লে, দাম বাড়বে চড়চড় করে। তখন অতিরিক্ত দাম দিয়েই তাঁদের ফেরানো হতে পারে।
তবে নিলামে কেকেআরের এই আগাম পূর্বাভাস খাটেনি। ভেঙ্কটেশের নাম নিলামে উঠতেই লখনৌ এমনকি আরসিবিও বিড জমা দিতে থাকে। তবে পিছু হঠেনি নাইট শিবির। শেষে দাম দিতে হয়েছে আকাশছোঁয়া। ভেংকি মাইশোর এই স্ট্র্যাটেজির ব্যাখ্যা করতে গিয়ে পরবর্তীতে বলেছেন, "স্যালারি ক্যাপ বেড়ে যাওয়ায় প্লেয়ার কিনতে বেশি খরচ হবে, এটা স্বাভাবিক। তবে আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল দলের কোর বজায় রাখা। আমরা ছয়জনকে রিটেন করেছি। তিনজনকে নিলামের টেবিল থেকে ফিরিয়েছি। এটাই প্রধান লক্ষ্য ছিল।"
ভেঙ্কটেশকে ফিরিয়ে আনার অর্থ গত সিজনে যে এগারো তারকা নাইটদের কাপ জিতিয়েছিল তাঁদের মধ্যে নয়জন এবারেও কেকেআরের জার্সি গায়ে চাপাবেন। পুরোনো ক্রিকেটারদের ধরে রাখার সংখ্যায় যা চলতি নিলামের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। কোর ক্রিকেটারদের কিনে নেওয়ার বাসনাতেই কেকেআর বিসিসিআইয়ের কাছে মুম্বই, সিএসকে, রাজস্থান, হায়দরাবাদ, গুজরাটের সঙ্গে সমস্বরে আওয়াজ তুলেছিল আরও বেশি সংখ্যক আরটিএম কার্ড ব্যবহারের নিয়মের জন্য।
কেকেআরের সঙ্গে এই ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোও নিজেদের কোর তারকাদের নিলামে টার্গেট করেছে। নিলামের আগে রিটেনশনে নিজেদের দেশীয় ক্রিকেটারদের গ্রুপ ধরে রাখার জন্য বিরাট অর্থাৎ খরচ করে বসেছিল মুম্বই। সেই কারণেই ভালো তারকাদের নিলামে টার্গেট করতে পারেনি তারা।
READ THE FULL ARTICLE IN ENGLISH