শেষ কয়েকবছর ধরেই হোমগ্রাউন্ড নিয়ে সমস্যায় পড়েছিল চেন্নাই সুপার কিংস। তবে নতুন বছরের শুরুতই সিএসকে ফ্যানদের জন্য ভাল খবর থাকছে। আইপিএল শুরুর আগেই স্টেডিয়ামের পুরো গ্যালারি খুলে দেওয়া হবে। যে নিয়ে উচ্ছ্বসিত সিএসকে শিবির।
গোটা বিশ্বেই সিএসকে ক্রিকেটের ব্র্যান্ড হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে। আইপিএল তো বটেই দুনিয়ার সফলতম ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মধ্য়ে অন্যতম ধোনির সিএসকে। সিএসকের হোম গ্রাউন্ড এম চিদাম্বরম স্টেডিয়াম আবার বেশ কয়েকবছর ধরেই সমস্য়া। এই স্টেডিয়াম ক্রিকেট বিশ্বে চিপক নামেও পরিচিত। তামিলনাড়ু রাজ্য ক্রিকেট দলও হোমগ্রাউন্ড হিসেবে চিপকে খেলে থাকে।
ইডেন গার্ডেন্সের পরে দেশের দ্বিতীয় প্রাচীনতম স্টেডিয়ামও চিপক। সেই চিপকেরই আই, জে এবং কে স্ট্যান্ড নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। নিরাপত্তার স্বার্থে সুপ্রিমকোর্টের রায় ছিল এই তিনটে স্ট্যান্ডই ভেঙে ফেলতে হবে। তবে ভাঙার আগে পর্যন্ত দর্শকদের নিরাপত্তার কথা ভেবে পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
২০১৫ সাল থেকেই দর্শকাসন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল সংশ্লিষ্ট এই তিনটে স্ট্যান্ডে। এই কারণে গত বছরে আইপিএলের ফাইনালও আয়োজন করা সম্ভব হয়নি।
তবে এই সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হয়েছে খোদ তামিলনাড়ু ক্রিকেট সংস্থা। স্টেডিয়াম যে ক্লাবের অন্তর্গত সেই মাদ্রাজ ক্রিকেট ক্লাবের সভাপতি আর রমেশ জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই স্টেডিয়ামের জিম ভেঙে ফেলা হবে। তারপরেই দর্শকদের ব্যবহারের জন্য বন্ধ তিনটে স্ট্যান্ড খুলে দেওয়া হবে আইপিএলের আগেই। তিনি জানিয়েছেন ফেব্রুয়ারিতেই এই ভাঙার কাজ শুরু হয়ে যাবে। তারপর ঠিক আইপিএলের আগে স্ট্যান্ডগুলি পুনরায় খোলা হবে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, সিএমডিএ (চেন্নাই মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি) এবং কর্পোরেশনের কাছে শীঘ্রই এই ভাঙার জন্য আবেদন করতে চলেছে মাদ্রাজ ক্রিকেট ক্লাব। স্টেডিয়ামের হেরিটেজ তালিকাভুক্ত না হওয়ার কারণে জিম-ভাঙার এই আর্জি যে সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে মঞ্জুর করা হবে, সেই বিষয়ে নিশ্চিত তিনি।
পুনরায় আন্তর্জাতিক ম্যাচ এবং আইপিএল আয়োজন চিপকে সম্ভব হবে এরপরে, এমনটাই আশা করছেন প্রত্যেকে।