৪৪ হাজার ৭৫ কোটি টাকায় আইপিএলের মিডিয়া রাইটস বিক্রি করে আগের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিল বিসিসিআই। ভারতীয় উপমহাদেশে আইপিএলের সম্প্রচার স্বত্ত্ব বিক্রি হল বিশাল এই টাকায়।
বোর্ডের এক সূত্র সংবাদসংস্থা পিটিআই কে জানিয়েছেন, "আগামী টিভি সম্প্রচার স্বত্ত্ব ধরে রেখেছে স্টার। ভারতীয় উপমহাদেশে টিভি এবং ডিজিটাল মিডিয়া রাইটস থেকে ম্যাচ পিছু বোর্ডের আয় হবে ১০৭.৫ কোটি টাকা।"
২০২৩-২০২৭ আইপিএলের উইন্ডোয় ৪১০টি ম্যাচের জন্য মিডিয়া স্বত্ত্ব (টিভি) বিক্রি হয়েছে ২৩,৫৭৫ কোটি টাকায়। ম্যাচ পিছু অঙ্কের হিসাবে যা ৫৭.৫ কোটি টাকা।২০২৩, ২০২৪ মরসুমে ৭৪টি করে ম্যাচ, ২০২৫, ২০২৬ সিজনে ৮৪টি করে ম্যাচ এবং ২০২৭-এ ৯৪ টি ম্যাচের ব্রেক-আপ ধরে এই ই-নিলাম সম্পন্ন হল।
আরও পড়ুন: সেক্যুলাররা এখন কোথায়! নূপুর-তাণ্ডবে গা গরম করা মন্তব্য গম্ভীরের, পাল্টা পাঠানেরও
তবে স্টার নয়, ই-টেন্ডারে ডিজিটাল স্বত্ত্ব কিনে নিয়েছে ভায়াকম-১৮। উদয় শঙ্কর এবং জেমস মারডখের লুপা সিস্টেম যৌথভাবে ডিজিটাল স্বত্ত্বের জন্য ম্যাচ পিছু ৫০ কোটি টাকার প্রস্তাব দেয়। স্টারের বিডিংও ধোপে টেকেনি। ডিজিটাল স্বত্ত্ব বাবদ বিসিসিআইয়ের পকেটে ঢুকছে আরও ২০,৫০০ কোটি টাকা। এখনও বোর্ডের তরফে সরকারিভাবে ই-নিলামের ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি। তবে এই প্রতিবেদনের বিষয় সত্যি হলে, স্টারের মালিকানাধীন হটস্টারে আর আইপিএল দেখা যাবে না আগামী পাঁচ বছরে। নতুন ঠিকানা হিসাবে আবির্ভাব ঘটছে রিল্যায়েন্সের ভায়াকম-১৮।
ম্যাচ পিছু টিভি এবং ডিজিটালের সম্প্রচার স্বত্ত্ব কেনার জন্য বেস প্রাইস ছিল ৪৯ এবং ৩৩ কোটি টাকা যথাক্রমে। এই মুহূর্তে এ (টিভি রাইটস) এবং বি (ডিজিটাল রাইটস) প্যাকেজ বিক্রি করে বোর্ডের আয়ের অঙ্ক ছুঁয়েছে ৪৬,০০০ হাজার কোটি টাকায়। ২০১৮-য় নিলামের ভ্যালুর (১৬,৩৪৭ কোটি) থেকে যা আড়াই গুণ বেশি।
বোর্ডের সক কর্তা সংবাদসংস্থাকে জানান, "দুটো প্যাকেজ ৫.৫ বিলিয়ন মার্কের দিকে আমরা এগোচ্ছি। তবে ডিজিটাল স্বত্ত্ব ৫০ কোটি স্পর্শ করার বিষয়টি দুরন্ত। বেস প্রাইস থেকে ৫১ শতাংশের বার্ষিক দর বৃদ্ধি অসাধারণ বিষয়।"
আরও পড়ুন: হাজার হাজার কোটিতে পকেট ভরল IPL-এর! টাকার সমুদ্রে ভাসছেন সৌরভ-জয় শাহরা
"সোমবার সন্ধ্যে ৬ টায় বিডিং বন্ধ হয়েছে। নন-এক্সক্লুসিভ ডিজিটাল ক্যাটাগরিতে আগামী পাঁচ বছরের জন্য ৯৮টি ম্যাচের প্যাকেজ নিলাম বাকি রয়েছে। প্ৰথম দুই সেশনে ১৮টি করে, পরের দুই সেশনে ২০টি করে এবং ফাইনাল সেশনে ২৪টি ম্যাচের নিলাম বাকি রয়েছে। তারপরে প্যাকেজ ডি (বিদেশে টিভি এবং ডিজিটাল সম্প্রচার স্বত্ত্ব) চূড়ান্ত হবে।"
ই-নিলামের নিয়ম অনুযায়ী, অংশগ্রহণকারী সংস্থার প্রতিনিধিদের একটি করে গোপন কোড দেওয়া হবে। বোর্ডের কোনও পদাধিকারী বা কর্মচারী এই নিলামে অংশ নিতে পারবেন না।
সূত্রের খবর, টিভি সম্প্রচার স্বত্ত্বের জন্য লড়াই তুঙ্গে উঠেছিল সোনি এবং ওয়াল্ট ডিজনির (স্টার)। আর ডিজিটাল রাইটসের জন্য রিলায়েন্স উদয় শঙ্কর এবং জেমস মারডখের লুপা সিস্টেমের সঙ্গে জুটি বেঁধে নেমেছিল ময়দানে।
আপাতত রিলায়েন্সের ভায়াকম প্যাকেজ সি মার্কি ম্যাচের সম্প্রচারের জন্যও ঝাঁপাবে মঙ্গলবার। গ্রুপ সি প্যাকেজ কোনওভাবেই হাতছাড়া করতে চায় না রিল্যায়েন্স। বিদেশে সম্প্রচার স্বত্ত্ব পাওয়ার বিষয়ে ফেভারিট জি। যাদের 'নেতৃত্ব' দিচ্ছেন বোর্ডের প্রাক্তন সিইও রাহুল জোহরি।
নিলামের সঙ্গে যুক্ত এক কর্তার দাবি, "সোনি প্যাকেজ এ এবং জি প্যাকেজ ডি হস্তগত করলে জি-সোনির পার্টনারশিপে আইপিএলে নয়া দিগন্ত শুরু হতে পারে। আপাতত মঙ্গলবারের অপেক্ষায় রয়েছে সকলে।"