Sanjiv Goenka brutal dig at KL Rahul after LSG's retention: আসন্ন মেগা নিলামের আগে রিটেনশন নিয়ে বিরাট বার্তা দিলেন আইপিএলের অন্যতম ফ্র্যাঞ্চাইজি এলএসজির মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। তিনি বলেছেন, 'যাঁরা ব্যক্তিগত লক্ষ্যের আগে দলকে জায়গা দেয়, আর যাঁদের মধ্যে জয়ের মানসিকতা আছে, এলএসজি এমন খেলোয়াড়দেরকে ধরে রাখতে চেয়েছিল।' ৩১ অক্টোবর, আইপিএলের রিটেনশন তালিকা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল। পাঁচ জন খেলোয়াড়কে ধরে রাখবে বলে এলএসজি জানিয়েছে। তারা এজন্য ৫১ কোটি টাকা খরচ করেছে। এই পরিস্থিতিতে এলএসজি ৬৯ কোটি টাকার তহবিল নিয়ে আসন্ন আইপিএল মেগা নিলামে যোগ দেবে।
২০২৪ আইপিএলে লখনউ সুপার জায়ান্টস (এলএসজি)-এর অধিনায়ক ছিলেন কেএল রাহুল। টুর্নামেন্ট চলাকালীনই রাহুলের সঙ্গে সঞ্জীব গোয়েঙ্কার এক বিতর্কিত ছবি ভাইরাল হয়েছিল। সেখানে দেখা গিয়েছিল, একটি ম্যাচ হারার পরই রাহুলকে বেজায় বকাবকি করছেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। তবে, এলএসজি মালিক পরে ব্যাপারটাকে নানাভাবে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এমনকী, রাহুলকে তাঁর পরিবারের সদস্য বলেও দাবি করেন। কিন্তু, তারপরও সেই বিতর্ক কতটা মিটেছে, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলের মধ্যে ধন্দ ছিলই। এবার এলএসজি তাদের রিটেনশন তালিকা থেকে রাহুলকে বাদ দেওয়ার পরই ব্যাপারটা সামনে চলে এল।
এলএসজি আসন্ন আইপিএলে যাঁদের ধরে রাখল, তাঁরা হলেন- নিকোলাস পুরান, রবি বিষ্ণোই, মায়াঙ্ক যাদব, আয়ুশ বাদোনি ও মহসিন খান। এই ব্যাপারে সঞ্জীব গোয়েঙ্কা বলেছেন, 'নিকোলাস পুরানকে ধরে রাখার ব্যাপারে আমরা দুই মিনিটের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা আমাদের তহবিলের মধ্যে এমন খেলোয়াড়দের ধরে রাখতে চেয়েছিলাম, যাঁদের মধ্যে জেতার খিদে আছে। যাঁরা নিজের চেয়েও দলকে বেশি গুরুত্ব দেয়। আমাদের বোলিং বিভাগ বেশ শক্তিশালী। তাই আমরা আগের মরশুমের তিন বোলার রবি বিষ্ণোই, মায়াঙ্ক যাদব আর মহসিন খানকে ধরে রাখলাম। এঁরা প্রত্যেকেই ভারতীয়। আয়ুশ বাদোনিও ছয় এবং সাত নম্বরে নেমে ভালোই খেলেছেন। তাই তাঁকেও ধরে রাখা হল।'
আরও পড়ুন- শ্রেয়সকে ছেড়ে বড় ভুল করল কেকেআর, বিস্ফোরক এবার ইরফান
এলএসজি ছাড়াও এবারের আইপিএল রিটেনশনে কেকেআর, আরএসবি এবং ডিসিও তাদের অধিনায়কদের রিটেনশনে রাখল না। প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার সুরেশ রায়না এলএসজির রিটেনশন সম্পর্কে বলেছেন, 'জাহির খান টিম ম্যানেজমেন্টে যোগ দেওয়ার পর ওরা ফাস্ট বোলারদের বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। ওরা মার্কাস স্টোইনিস, ক্রুনাল পান্ড্য ও ইয়াশ ঠাকুরকেও দলে ফেরাতে পারে। কারণ, তিন জনেরই ইয়র্কারটা দুর্দান্ত। তারা এবার একজন ভালো অলরাউন্ডারের খোঁজে থাকবে। তাঁরা হুডাকে নিতে পারে। দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত নিলামে কী করে! আমার মনে হয়, ওরা ওদের আরটিএম কার্ড স্টয়নিসের জন্য কাজে লাগাবে।'
READ THE FULL ARTICLE IN ENGLISH