নাইটদের বহু প্রত্যাশিত জয় এনে দিয়েছেন রিঙ্কু সিং। সাত উইকেটে কেকেআর মাস্ট উইন ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে সোমবারের ওয়াংখেড়েতে। আর সেই ম্যাচেই দুরন্ত ব্যাটিং করে নাইটদের জয় এনে দিয়েছেন রিঙ্কু সিং।
ম্যাচের পরে নাইটদের নতুন নায়ক জানিয়ে দিলেন, "আলিগড় থেকে অনেকেই রঞ্জি খেলেছে। তবে কেউই আইপিএল খেলেনি। আমি প্রথম যে আইপিএল খেললাম। এটা অনেক বড় লিগ। তাই স্বাভাবিকভাবেই চাপ থাকবে। গত পাঁচ বছর ধরে সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম। অনেক পরিশ্রম করেছি। ইনজুরি থেকে ফিরে এসে ঘরোয়া ক্রিকেটেও ভাল পারফর্ম করেছি এর আগে।"
ম্যাচ জেতানো ইনিংসের পরে রিঙ্কু সিং কৃতজ্ঞতায় ভাসিয়ে দিয়েছেন দলের সতীর্থদের এবং কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামকে। "যখন আমি ব্যাটিং করছিলাম ভাইয়া (রানা) এবং বাজ (ম্যাককালাম) শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থেকে ফিনিশ করে আসতে বলেছিল।" বলে দিয়েছেন রিঙ্কু।
আরও পড়ুন: ক্যাপ্টেনশিপ চামচ দিয়ে খাইয়ে দেওয়া যায় না! জাদেজার কাছ থেকে নেতৃত্ব নিয়েই বিষ্ফোরক ধোনি
টানা পাঁচ ম্যাচ হারের পরে প্লে অফে ওঠার জন্য নাইটদের শেষ পাঁচ ম্যাচ জিততেই হত। এমন সমীকরণের সামনে কেকেআর জয়ে ফিরেছে রাজস্থানকে হারিয়ে। শেষদিকে নীতিশ রানা এবং রিঙ্কু সিংয়ের দুরন্ত পার্টনারশিপে ভর করে কেকেআর জয় ছিনিয়ে নিয়েছে। কেকেআর যেমন এই নিয়ে চলতি লিগে চতুর্থ জয় পেল তেমনই রাজস্থান চলতি লিগে দ্বিতীয় হার হজম করল
সঞ্জু স্যামসনের টস-ভাগ্য সোমবারেও সহায় হয়নি। শ্রেয়স আইয়ার টসে জিতে রাজস্থানকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল। ভেঙ্কটেশ আইয়ারকে বাদ দিয়ে কেকেআর দল সাজিয়েছিল। নাইটদের প্ৰথম ব্রেক থ্রু এনে দেন উমেশ যাদব। দেবদূত পাড়িক্কলকে মাত্র ২ রানে ফিরিয়ে। জস বাটলারও নিজের সেরা ফর্মের ধারেকাছে ছিলেন না। ২৫ বলে ২২ করার পরে শেষমেশ টিম সাউদির বলে শিকার হন তিনি।
অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন একপ্রান্ত আগলে দলকে উদ্ধার করেন। যদিও তাঁর হাফসেঞ্চুরি ইনিংস তাঁর স্বভাবজাত মারকুটে ভঙ্গিতে আসেনি। লো স্ট্রাইকরেট (১১০.২০) নিয়ে নিজের হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। তাড়াতাড়ি আউট হয়ে যান রিয়ান পরাগ, করুণ নায়ারও। শিমরন হেটমায়ার নিজের দুর্ধর্ষ ফর্ম জারি রেখে সোমবারও ১৩ বলে ২৭ রানের ক্যামিও ইনিংসে দলকে ১৫২ পর্যন্ত পৌঁছে দেন। টিম সাউদি জোড়া উইকেট নেন। শিভম মাভি, অনুকূল রায় এবং উমেশ জসদব একটি কটর উইকেট পেয়েছেন।
রান তাড়া করতে নেমে কেকেআরের শুরুটা শোচনীয় হয়েছিল। ফিঞ্চের খারাপ ফর্ম অব্যাহত রইল সোমবারও। কুলদীপ সেনের বলে আউট হওয়ার আগে করলেন মাত্র ২ রান। ফিঞ্চের নতুন ওপেনিং পার্টনার বাবা ইন্দ্রজিৎ ১৬ বলে ১৫ করে আউট হন।
নাইটদের ম্যাচে ফেরান অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার, ৩২ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলে। তাঁর ইনিংস খতম হয় ট্রেন্ট বোল্টের লেগ সাইডের বল ব্যাটের কানায় লেগে। এরপরে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বোলিংয়ে পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে কেকেআরের মোমেন্টাম ফিরিয়ে আনেন।
শ্রেয়স আইয়ার আউট হওয়ার পরে নীতিশ রানার সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান রিঙ্কু সিং। কেকেআরের বিরুদ্ধে রাজস্থানের হেভিওয়েট স্পিনার জুটি অশ্বিন-চাহাল উইকেট শূন্য থাকলেন। রানা-রিঙ্কু শেষ পর্যন্ত হাফসেঞ্চুরি পার্টনারশিপে দলকে নিরাপদে লক্ষ্যে পৌঁছে দেয় পাঁচ বল বাকি থাকতে। চাপের মুখে ঠান্ডা মাথায় ব্যাটিং করে গেলেন রিঙ্কু-রানা।