ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে রান ডিফেন্ড করা রীতিমত মুশকিল। ওয়াংখেড়েতে চার ম্যাচেই প্ৰথমে ব্যাট করা দল হেরে বসেছে। রাজস্থান বনাম লখনৌ ম্যাচে শেষ ওভারের থ্রিলারের আগে জয়ের জন্য ফেভারিট ছিল লখনৌ-ই। ৬ বলে জয়ের জন্য দরকার ছিল মাত্র ১৫ রান। আর ক্রিজে ছিলেন টি২০-র অন্যতম সেরা ফিনিশার মার্কাস স্টোয়িনিস।
রাজস্থান রয়্যালস নিজেদের প্রিমিয়াম বোলারদের কোটা আগেই শেষ করে ফেলেছিল। সঞ্জু স্যামসন কার্যত ফাটকাই খেলেছিলেন অজ্ঞাতকুলশীল কুলদীপ সেনকে। মধ্যপ্রদেশের রাওয়া জেলার ২৫ বছরের কুলদীপ রবিবারই প্ৰথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন আইপিএলে। আর আইপিএল অভিষেকেই অগ্নিপরীক্ষার সামনে পড়েছিলেন তারকা। আর সেই পরীক্ষায় সসম্মানে উত্তীর্ণ তিনি। স্টোয়িনিস কুলদীপের ওভারে তুলতে পারলেন মাত্র ১২ রান। তিন রানে ম্যাচ জিতে শীর্ষে পৌঁছে গেল রাজস্থান।
আরও পড়ুন: টানা চার হার আইপিএলে, মুম্বইকে বাঁচাতে এবার ‘মাঠে নামলেন’ নীতা আম্বানি
চার বছর আগে প্ৰথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে কুলদীপের। অভিষেকের কয়েক ম্যাচ পরেই পাঁচ উইকেট তুলে নেন তারকা। ২০১৮/১৯ মরশুমে কুলদীপকে রাজ্যের টি২০ দলে জায়গা করে নেন সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে। গত বছর আইপিএলের মেগা নিলামের আগে কুলদীপ পাঁচ ইনিংসে চার উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। ইকোনমি রেট ৭.৭৫।
রুদ্ধশ্বাস শেষ ওভারে কুলদীপের বল শুরুতে ফেস করতে হয়েছিল আবেশ খানকে। প্ৰথম বলে আবেশ খান সিঙ্গলস নেওয়ায় স্ট্রাইকিং এন্ডে যান মার্কাস স্টোয়িনিস। শেষ সময় জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৫ রান। দ্বিতীয় বলে কুলদীপ ওয়াইড লেংথে পিচ করেন। স্টোয়িনিস বল কানেক্ট করতে পারেননি। তখনও ৪ বল বাকি ছিল।
কুলদীপ আগেই নিজের প্ল্যানিং সেরে ফেলেছিলেন। তা আগেভাগে আঁচ করেই অফস্ট্যাম্পে সরে গিয়ে কুলদীপ স্কুপ করতে যান। তবে পেসের তারতম্য ঘটিয়ে কুলদীপ বিভ্রান্ত করেন অজি অলরাউন্ডারকে। নিজের প্ল্যান অনুযায়ী বল করে কুলদীপ টানা তিনটে ডট বল করে যান। কার্যত জয়ের দোরগোড়ায় ছিল রাজস্থান।
শেষ দু-বলে স্টোয়িনিস একটা বাউন্ডারি এবং ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়েও জয় ছিনিয়ে নিতে পারেননি। সবমিলিয়ে গোটা ওভারে ১১ রান খরচ করে নায়কের মর্যাদায় অবতীর্ণ হন কুলদীপ।
ম্যাচের পরে রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্বীকার করলেন শেষ ওভারে কুলদীপকে দেওয়ার পরিকল্পনা আগে থেকেই ছিল। ম্যাচের পরে সঞ্জু জানিয়ে দেন, "জানতাম ও আগে ভালো করেছে। ও যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। অফ সিজনে ওয়াইড ইয়র্কার নিয়ে অনেক পরিশ্রম করেছে। সৈয়দ মুস্তাক আলিতে ওঁকে দেখেছি। দারুন সমস্ত ওয়াইড ইয়র্কার দিচ্ছিল।"