আইপিএলের শুরুটা মোটেই ভাল হয়নি মুম্বইয়ের। প্ৰথম তিনটে ম্যাচে পরপর হেরে হ্যাটট্রিক সম্পন্ন করে ফেলেছে রোহিত শর্মার দল। ফ্র্যাঞ্চাইজি তো বটেই মুম্বই সমর্থককুলও দলের এমন পারফরম্যান্সে যারপরনাই হতাশ। ব্যাটিং হোক বোলিং দলের একাধিক তারকা নিজেদের সুনাম অনুযায়ী খেলতে পারছেন না।
কঠিন পিচে ১৬১-র মত চ্যালেঞ্জিং স্কোর খাড়া করার পরেও কেরিয়ারের অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স মেলে ধরে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে নাইট রাইডার্স। কেকেআরের বিরুদ্ধে জেতা ম্যাচ হাতছাড়া হওয়ার পরে মুম্বই অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে দৃশ্যতই হতাশ মনে হল। ম্যাচের পরে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কিছুটা মেজাজও হারাতে দেখা গেল সুপারস্টারকে।
আরও পড়ুন: রাসেলের মত নাচতে ইচ্ছা করছে! কামিন্সের তান্ডব দেখে কিং খান মুখ খুললেন প্রকাশ্যে
বিস্ময়কর পারফরম্যান্স মেলে ধরে কামিন্স যেভাবে শেষদিকে কেকেআরকে একার হাতে জিতিয়ে দিল তা দেখেই রোহিত শর্মার অভিব্যক্তিতে স্পষ্ট হয়ে উঠল অখুশি ভাব। এমন হতাশাজনক মুহূর্তে স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষকে সরাসরি একহাত নিলেন রোহিত, সাউন্ড সিস্টেম লো রাখার জন্য।
লাইভ টিভিতে রোহিতকে বলতে শোনা যায়, "আরে ভাই আওয়াজ তো বাড়াও!" ম্যাচের বিষয়ে বলতে গিয়ে রোহিত সরাসরি জানিয়ে দেন, কামিন্স যে এরকম খেলে দেবেন, ভাবতে পারনেনি তিনি। নাইট রাইডার্সের তারকা অলরাউন্ডার ১৫ বলে ৫৬ হাঁকিয়ে চার ওভার বাকি থাকতে ম্যাচ ফিনিশ করে যান। ম্যাচের পরে তিনি জানিয়ে দেন, “ও যে এরকম খেলে যাবে, আমরা ভাবতে পারিনি। যেভাবে ও খেলল, তাতে ওঁকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। ব্যাট হাতে আমরা ভালো শুরু করতে পারিনি। তবে শেষ চার ওভারের ঝড়ে ১৬০+ স্কোর যথেষ্ট ভালো ছিল।”
আরও পড়ুন: ব্যাটিং বিস্ফোরণে IPL-এ দ্রুততম ফিফটি কামিন্সের! সেরার সেরা তালিকায় আর কারা
“১৫ ওভার পর্যন্ত আমরা ম্যাচে ছিলাম। তবে যেভাবে প্যাট খেলে গেল… আমরা ভেবেই নিয়েছিলাম, হয়ত আমাদেরই ম্যাচ হতে চলেছে। স্কোরবোর্ডে বেশি রান থাকা সবসময় সুবিধাজনক। ওঁদের ৫ উইকেট ফেলেও দিয়েছিলাম আমরা। স্রেফ ভেঙ্কি এবং প্যাট কামিন্সকে আউট করা বাকি ছিল। পরে হয়ত নামত নারিন, যে-ও কিনা হাঁকাতে পারে। তবে এই হার হজম করে শক্ত। যেভাবে শেষের ওভারে ম্যাচ হাতছাড়া হল, আমাদের অনেক বিষয়ে উন্নতি করতে হবে।”
হারের হ্যাটট্রিকের সঙ্গে রোহিতের মুম্বই আপাতত লিগ টেবিলে নয় নম্বরে নেমে গিয়েছে। যদিও এর আগেও মুম্বই এরকম অবস্থার সম্মুখীন হয়েছিল। শনিবার মুম্বইয়ের পরের ম্যাচ আরসিবির বিরুদ্ধে।