আইপিএলে দুর্ধর্ষ এক মরশুম কাটল রাজস্থান রয়্যালসের। ২০০৮ সালের পর প্ৰথমবার ফাইনাল খেলল মরু শহরের ফ্র্যাঞ্চাইজি। গ্রুপ পর্বে দ্বিতীয় স্থানে ফিনিশ করেছিল রাজস্থান। প্লে অফে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে সঞ্জু স্যামসন ব্রিগেড আরসিবিকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে যায়। চুড়ান্ত লড়াইয়ে গুজরাটের কাছে হারলেও রাজস্থান রয়্যালস একাধিক সদর্থক বিষয় নিয়ে মরশুম ফিনিশ করছে।
বরাবরের মত প্রত্যেক মরশুম শেষে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের কাছে অপশন থাকে অফ ফর্মের তারকাদের রিলিজ করে নতুনভাবে দল গুছিয়ে নেওয়ার।
আরও পড়ুন: সৌরভের ভবিষ্যৎ জানিয়ে দিলেন জয় শাহ, সমস্ত আগুনে জল ঢাললেন এক বার্তাতেই
২০২৩ আইপিএলের আগে রাজস্থান রয়্যালস এই তিন তারকাকে রিলিজ করার পথে হাঁটতে পারে। এমনটাই বলা হচ্ছে টাইমস নাও-য়ের প্রতিবেদনে।
রিয়ান পরাগ: তরুণ অলরাউন্ডার রিয়ান পরাগ মোটেই দলের আস্থা অর্জন করতে পারেননি। ১৭ ম্যাচে ব্যাট হাতে তাঁর অবদান মাত্র ১৮৩ রান। টিম ম্যানেজমেন্ট রিয়ান পরাগের ওপর পূর্ণ ভরসা রেখেছিল। টুর্নামেন্টের ১৭টি ম্যাচেই খেলানো হয় তাঁকে। তবে রিয়ান দলের আস্থার মর্যাদা দিতে পারেননি। মাত্র একটি ৫০+ স্কোর করেছেন।
৩.৮০ কোটি টাকায় রিয়ান পরাগের ওপর খরচ করেছে রাজস্থান। নিলামের আগে রিয়ানকে ছেড়ে দিয়ে কম অর্থে পুনরায় তারকাকে কিনে অর্থ বাঁচানোর পথে হাঁটতে পারে রয়্যালস ম্যানেজমেন্ট। রিলিজ করা তারকাকে নিলামে কম অর্থে পুনরায় কিনে নেওয়ার নজির আইপিএলে নতুন নয়। সেই স্ট্র্যাটেজি দেখা যেতে পারে রয়্যালসদের ক্ষেত্রেও।
আরও পড়ুন: গুজরাটের জয়ে নেচে-কুঁদে অস্থির জয় শাহ! বোর্ডের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ব্যাপক বিতর্ক
দেবদূত পাড়িক্কল: আরসিবির ছেড়ে দেওয়া দেবদূত পাড়িক্কলকে নিলামে ৭.৭৫ কোটিতে কিনেছিল রাজস্থান। টুর্নামেন্টের প্রত্যেকটি ম্যাচে খেলিয়ে পাড়িক্কলকে দল ব্যাক করেছিল। তবে পাড়িক্কল প্রত্যাশার ধারেকাছে পৌঁছতে পারেননি। ১৭ ম্যাচে করেছেন মাত্র ৩৭৬ রান। স্ট্রাইক রেট মাত্র ১২২.৮৮। যা যথেষ্ট উদ্বেগের।
একের পর এক তারকার টপ অর্ডারের উপস্থিতিতে পাড়িক্কলকে মিডল অর্ডারে নামতে হয়েছিল। তবে মিডল অর্ডারে সফল হতে পারেননি তারকা। মাত্র একটা হাফসেঞ্চুরি তাঁর নামের পাশে। ওপেনিং কম্বিনেশন চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ায় পাড়িক্কলকে সম্ভবত রিলিজ করে দিতে পারে রাজস্থান।
জিমি নিশাম/ ড্যারেল মিচেল: নিলামে রাজস্থান দুই কিউয়ি অলরাউন্ডার জিমি নিশাম এবং ড্যারেল মিচেলকে সই করিয়েছিল। তবে কেউই প্রথম একাদশে নিয়মিত সুযোগ পাননি। দুজনে খেলেছেন মাত্র ২ টো করে ম্যাচ। দুজনে একই ধাঁচের অলরাউন্ডার হওয়ায় একজনকে রিলিজ করে দিতে পারে রয়্যালসরা। ড্যারেল মিচেল দলের পরিকল্পনার অংশ না হওয়ায় আগেভাগেই দল ছেড়ে জাতীয় দলের আসন্ন ইংল্যান্ড সফরের প্রস্তুতিতে নিজেকে ডুবিয়ে দিয়েছিলেন। তবে রাজস্থান যদি দুই তারকাকে একসঙ্গে রিলিজ করে দেয়, অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।