রাজস্থান রয়্যালস: ১৪৪/৮
আরসিবি: ১১৫/১০
আগের ম্যাচে ৬৮ অলআউটের ক্ষত এখনও দগদগে। তার মধ্যেই ফের অলআউট আরসিবি। এবার ১১৫ রানে। রাজস্থানকে মাত্র ১৪৪ রানে আটকে রেখেও জিততে পারল না আরসিবি। কুলদীপ সেন, রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ- রয়্যালসদের তিন তারকার কাছে কার্যত রান তাড়া করতে গিয়ে তাসের ঘরের মত ধসে পড়ল ডুপ্লেসিসের দল। পুরো ২০ ওভার খেলার আগেই আটকে গেল আরসিবি। অলআউট ১১৫ রানে।
অনুজ রাওয়াতকে বাইরে রেখে আরসিবি মঙ্গলবার কোহলিকে ভরসা জোগানোর জন্য ওপেন করতে পাঠিয়েছিল অধিনায়ক ডুপ্লেসিসের সঙ্গে। আর শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে কোহলির সাকুল্যে অবদান ৯ রান। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণের শিকার হয়ে ফিরলেন তিনি।
আরও পড়ুন: KKR, CSK কিম্বা অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি নয়, সেরার মুকুট মুম্বইয়েরই! স্বীকৃতি মিলল বিশ্বের
চলতি সংস্করণে ৯ ম্যাচে কোহলির নামের পাশে ১২৮ রান। টি২০ বিশ্বকাপে কোহলির জায়গা হওয়া নিয়ে আগেই সংশয় তৈরি হয়েছিল। এবার আরসিবির একাদশেও কোহলি হঠাও দাবি জোরালো হল রাজস্থান ম্যাচের পরে।
শুধু কোহলি একাই নন, ম্যাক্সওয়েল, ক্যাপ্টেন ডুপ্লেসিস, দীনেশ কার্তিক কেউই এদিন কুলদীপ-অশ্বিনদের সামনে দাঁড়াতে পারেননি। ম্যাক্সওয়েল, ডুপ্লেসিস, হাসারাঙ্গা- তিন তারকাই রাজস্থানের উঠতি পেসারের শিকার। শেষদিকে আউট করলেন হর্ষল প্যাটেলকেও। ২০ রান দিয়ে তাঁর নামের পাশে ৪ উইকেট।
অশ্বিন নিজের ৪ ওভারের কোটায় খরচ করলেন মাত্র ১৭ রান। তাঁর দখলেও ৩ উইকেট।
তার আগে প্ৰথমে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থানও বেকায়দায় পড়ে গিয়েছিল সিরাজ-হ্যাজেলউডদের সামনে। পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই ৩ উইকেট হারিয়ে প্রবল চাপে পড়ে যায় সঞ্জ স্যামসনের দল। শেষ পর্যন্ত দলকে উদ্ধার করেন রিয়ান পরাগ (৩১ বলে ৫৬)। এবং কিছুটা সঞ্জু স্যামসন (২১ বলে ২৭)।