কেরিয়ারে নয়বার শচীনকে আউট করেছেন শোয়েব আখতার। তবে এর মধ্যে একটি আউট 'ভুল' হয়েছিল।।এমনই স্বীকারোক্তি এবার স্বয়ং শোয়েব আখতারের। ২০০৮ সালের আইপিএলে প্রথম সংস্করণের ঘটনা। সেই সংস্করণেই আখতার শেষবারের মত শচীনকে আউট করে যান। তবে সেই আউট করার স্মৃতি মোটেই সুখকর হয়নি আখতারের।
আখতার পুরনো ঘটনার কথা শেয়ার করে জানিয়েছেন, কীভাবে তাঁর দল কেকেআর ওয়াংখেড়েতে শচীনের মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মুখোমুখি হয়েছিল। তবে সেই ম্যাচে দর্শকদের রোষ থেকে বাঁচতে সৌরভ আখতারের ফিল্ডিং পজিশন বদলে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন।
স্পোর্টসক্রীড়া-কে শোয়েব আখতার জানিয়েছেন, "আমরা খুব-ই কম স্কোর করেছিলাম সেই ম্যাচে। ম্যাচ শুরু হওয়ার সময় দুর্ধর্ষ খেলার মঞ্চ প্রস্তুত ছিল। এটা ছিল শচীনের শহর মুম্বই। গোটা স্টেডিয়াম কানায় কানায় পূর্ণ ছিল। ম্যাচের আগে আমাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ কথোপকথন হয়। শচীন এবং আমি দুজনেই দুজনকে শুভেচ্ছা জানাই।"
আরও পড়ুন: কামিন্সকে টেনে রোহিতকে কুরুচিকর টুইট! ক্রিকেট জনতার প্রবল আক্রমণে ছিন্নভিন্ন শেওয়াগ
"সুন্দর মাঠে উত্তেজক খেলার সমস্ত উপকরণ প্রস্তুত ছিল। তবে আমি শচীনকে প্ৰথম ওভারেই আউট করে দিই। এটাই মস্ত বড় ভুল হয়ে যায়। ফাইন লেগে ফিল্ডিং করার সময় দর্শকাসন থেকে আমার উদ্দেশ্য চোখা চোখা গালি উড়ে আসছিল। সেই সময় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় আমাকে মিড উইকেটে ফিল্ডিং করতে পাঠায়। ও বলে, 'দর্শকরা তোমাকে খুন করে ফেলবে। শচীনকে আউট করতে কে বলেছিল, তা-ও আবার মুম্বইয়ে।"
তবে একবার ম্যাচ শেষ হওয়ার পরে কোনও মুম্বই দর্শকই খারাপ শব্দ প্রয়োগ করেননি। সেবারেই আইপিএলে একমাত্র পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা অংশ নিতে পেরেছিলেন। এরপরে ২০১১ ওয়ার্ল্ড কাপ খেলতে ভারতে এলেও ওয়াংখেড়েতে আর খেলা হয়নি শোয়েবের।
শোয়েব বলছিলেন, "মুম্বইয়ে প্রচুর কাজ করেছি। অনেক ভালোবাসাও পেয়েছি। ওয়াংখেড়েতে খেলতে ভালো লেগেছিল। কারণ কেউই দেশ অথবা আমার জাত-পাত নিয়ে গালাগালি করেনি। যদি আরও বেশি ম্যাচ ওয়াংখেড়েতে খেলতে পারতাম, ভালো হত!"