/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/05/dhoni-rayudu.jpg)
ক্যাপ্টেন হয়ে সর্বাধিক ট্রফি জয়ের নিরিখে ধোনি ছুঁয়ে ফেললেন রোহিত শর্মাকে। পাঁচবার করে দুজনেই নেতা হিসেবে চ্যাম্পিয়ন। বৃষ্টিবিঘ্নিত ফাইনালে মাঝরাতে ধোনির রাত স্মরণীয় হয়ে থাকল। শেষ বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ধোনিকে জয় এনে দিলেন তাঁর চির বিশ্বস্ত সৈনিক রবীন্দ্র জাদেজা। গুজরাটের দূর্গেই উড়ল হলুদ রং।
আর ধোনির সঙ্গেই আইপিএল ফাইনাল স্বপ্নের মত হয়ে থাকল আম্বাতি রায়ডুর কাছে। আইপিএল ফাইনাল-ই যে তাঁর শেষ ম্যাচ হাতে চলেছে আগেই ঘোষণা করে দিয়েছিলেন বর্ষীয়ান তারকা। ব্যাট হাতে মোক্ষম সময়ে জ্বলে উঠলেন। দল-ও চ্যাম্পিয়ন হল।
আর রায়ডুর শেষ ম্যাচ আরও রঙিন করে দিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। তিনি নিজে বোর্ড সভাপতির কাছ থেকে ট্রফি সংগ্রহ করার বদলে রায়ডুকে বললেন ট্রফি নিজে হাতে তুলে নিতে। ক্রিকেটার হিসেবে সবথেকে বেশিবার ট্রফি জয়ের কীর্তিও গড়লেন রায়ডু। এই নিয়ে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলে মোট ছয়বার আইপিএল জিতেছেন। ছুঁয়ে ফেললেন এই তালিকায় শীর্ষে থাকা রোহিত শর্মাকে। যিনি মুম্বইয়ের নেতা হিসেবে পাঁচবার এবং ডেকান চার্জার্সের হয়ে একবার ট্রফি জিতে এতদিন এই তালিকায় এককভাবে শীর্ষে ছিলেন।
যাইহোক, হর্ষ ভোগলের কাছে রায়ডুকে নিয়ে প্রশংসার সময় হালকা করে অনুযোগ-ও করলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। বলে দিলেন, রায়ডু দলে থাকলে ফেয়ার প্লে পুরস্কার কখনও পাবেন না তিনি। আসলে রায়ডু বরাবর আগ্রাসী। মাঠে সবসময় আগ্রাসনকে অস্ত্র করে খেলতে চান রায়ডু। সেই কারণেই ধোনির এমন মূল্যায়ন।
আইপিএল পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে বিজয়ীর ট্রফি সংগ্রহ করার সময়ে ধোনি মঞ্চে ডেকে নেন রায়ডু এবং জাদেজাকে। রায়ডু মঞ্চের মাঝখানে দাঁড়িয়েছিলেন। তারকাদের দুই পাশে ছিলেন বোর্ড সচিব জয় শাহ এবং সভাপতি রজার বিনি। রায়ডু ট্রফি সংগ্রহ করার পরেই সকলে সিএসকের তারকা মঞ্চে চলে আসেন। শুরু হয়ে যায় উদযাপন। ধোনি যথারীতি মঞ্চের একপাশে সরে গিয়ে সতীর্থদের লাগামছাড়া উদযাপন করতে দেন।
𝗖.𝗛.𝗔.𝗠.𝗣.𝗜.𝗢.𝗡.𝗦! 🏆
Chennai Super Kings Captain MS Dhoni receives the #TATAIPL Trophy from BCCI President Roger Binny and BCCI Honorary Secretary @JayShah 👏👏 #CSKvGT | #Final | @msdhonipic.twitter.com/WP8f3a9mMc— IndianPremierLeague (@IPL) May 29, 2023
রায়ডুকে নিয়ে ম্যাচের পর হর্ষ ভোগলেকে ধোনি বলে যান, "রায়ডুর সবথেকে ভালো ব্যাপার হল, ও মাঠে থাকলে সবসময় নিজেদের সেরাটা দেয়। তবে ও দলে থাকলে আমি কখনই ফেয়ারপ্লে পুরস্কার পাব না। দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয়-এ দল থেকে ওঁর সঙ্গে খেলেছি। ও পেস এবং স্পিন দুটোই সমানভাবে ভালো খেলে। এটা সত্যিই বিশেষ দক্ষতা। আমার মনে হয়েছিল ও এদিন স্পেশ্যাল কিছু করে দেখাবে। ও অনেকটা আমার-ই মত। ফোন-টোন বিশেষ ব্যবহার করে না। আশা করি জীবনের পরবর্তী অধ্যায় ওঁর ভাল কাটবে।”
Read the full article in HINDI