রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে গুজরাট টাইটান্স-কে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সিএসকে। শেষ বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে পঞ্চমবার ট্রফিজয় নিশ্চিত করেছে চেন্নাই সুপার কিংস। শেষ ওভারে জয়ের জন্য সিএসকের দরকার ছিল ১৩রান। গুজরাটের হয়ে বল হাতে আক্রমণে ছিলেন মোহিত শর্মা। ক্রিজে চেন্নাইকে জেতানোর জন্য ব্যাট করছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা এবং শিবম দুবে। প্ৰথম চার বলে মাত্র ৩ রান খরচ করে মোহিত শর্মা কার্যত জিতিয়ে দিয়েছিলেন গুজরাটকে। তবে শেষ দুই বলে ওভার বাউন্ডারি এবং বাউন্ডারি হাঁকিয়ে চেন্নাইকে জিতিয়ে দেন রবীন্দ্র জাদেজা।
জয়ের পরেই গোটা ক্রিকেটবিশ্বে নন্দিত স্যার জাদেজা। তবে এর মধ্যেই।বিতর্ক আমদানি করলেন তামিলনাড়ু রাজ্যের বিজেপি প্রেসিডেন্ট আন্নামালাই। তিনি এক টিভি চ্যানেলে বলে দিলেন, বাঁ হাতি অলরাউন্ডার একজন বিজেপি কার্যকর্তা। সক্রিয় বিজেপি কর্মী বলেই আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন জাদেজা। এমনটাই দাবি তাঁর। নিজের টুইটার একাউন্টে জাদেজা এবং তাঁর পত্নী রিভাবার সঙ্গে মোদির ছবিও শেয়ার করেছেন তিনি।
তামিলনাড়ু রাজ্য বিজেপির অফিসিয়াল টুইটার থেকে তামিলে লেখা হয়, "ক্রিকেটার জাদেজা একজন বিজেপি কর্মী। ওঁর স্ত্রী রিভাবা একজন বিজেপি বিধায়ক গুজরাটের জামনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে। এবং ও একজন গুজরাটি। বিজেপি কর্মী জাদেজা চেন্নাইয়ে জয় এনে দিয়েছে।"
এদিকে জাদেজার সঙ্গে তামিলনাড়ু বিজেপি সভাপতি আন্নামালাই সাই সুদর্শনের প্ৰশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন। গুজরাটের হয়ে প্ৰথমে ব্যাট করতে নেমে সুদর্শন ৪৭ বলে ৯৬ রানের ঝড় তুলে গিয়েছিলেন। সেইজন্যই স্কোরবোর্ডে গুজরাট ২১৫ রানের পাহাড় খাড়া করেছিল। আন্নামালাই টিভি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, "একজন তামিল ক্রিকেটার ৯৬ করল ফাইনালে। আমরা এই ঘটনাও সেলিব্রেট করব। সিএসকে দলে কোনও তামিল প্লেয়ার ছিল না। তা সত্ত্বেও আমরা সিএসকের জয় উদযাপন করছি স্রেফ মহেন্দ্র সিং ধোনির জন্য। আমরা গর্বিত যে বিজেপি কর্মীর ব্যাট থেকেই উইনিং রান এল।"
যাইহোক, জাদেজার স্ত্রী একজন সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মী। গত বছর গুজরাট বিধানসভায় জামনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে ভোটে দাঁড়িয়ে নির্বাচিত হন জাদেজা পত্নী রিভাবা। ২০১৯-এ উনি বিজেপিতে সরকারিভাবে যোগ দেন। বিধানসভা নির্বাচনের আগে স্ত্রীর সঙ্গে প্রচারেও দেখতে পাওয়া গিয়েছিল জাদেজাকে। ৮০ হাজারের বেশি ভোটে রিভাবা জয়লাভ করেন।
Read the full article in HINDI