রবীন্দ্র জাদেজা কি চেন্নাই সুপার কিংসে খুশি নন। ধোনির সঙ্গে কি শীতল সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছেন তিনি। এমনই প্রশ্নে আপাতত উত্তাল আইপিএল দুনিয়া। সেই আলোচনার খোরাক জুগিয়ে গিয়েছেন জাদেজা নিজেই। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় জাদেজা চেন্নাইতে যে একদমই খুশি নন, সেই বিষয়ে একটি পোস্ট করা হয়েছিল। ধোনি এবং সিএসকে বিরোধী সেই টুইট-ই লাইক করেছেন জাদেজা। এতেই ধোনি-জাদেজার সম্পর্ক নিয়ে তৈরি হয়েছে রহস্যের বাতাবরণ।
গত বছর রবীন্দ্র জাদেজাকে হঠাৎ করেই মরশুমের মাঝপথে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সিএসকেতে জাদেজাকে ধোনির উত্তরসূরি হিসাবে ভাবা হচ্ছিল। তবে টানা হারের পর মরশুমের মাঝপথে ফ্র্যাঞ্চাইজির তরফে তাঁকে যেভাবে ছাঁটাই করা হয়েছিল, তা মোটেই ভালভাবে মেনে নিতে পারেননি তিনি। জাদেজার সিএসকে ছাড়া নিয়েও জল্পনা ছড়িয়েছিল।
তবে একাধিক জাতীয় স্তরের প্রচারমাধ্যমে বলা হয়েছিল, সিএসকে সিইও স্বয়ং জাদেজার মান ভাঙাতে উদ্যোগী হন। ধোনি-জাদেজা এবং কাশি বিশ্বনাথন একত্রে আলোচনার পরে বরফ গলে।
চলতি সিজনে জাদেজা তাই পুরোনো ফর্মে। ব্যাট-বল দুই বিভাগেই ফুল ফোটাচ্ছেন। চেন্নাইয়ের হয়ে ১২ ম্যাচে জাদেজার নামের পাশে ১৬ উইকেট। দিল্লি ম্যাচে সিএসকের হয়ে দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্স করে গিয়েছিলেন জাদেজা।
এমন সময়েই হঠাৎ করেই অন্যভাবে আলোচনার শিরোনামে জাদেজা-ধোনি সম্পর্ক। একটি টুইটে লেখা হয়েছিল, "জাড্ডু হাসি মুখে কথা বলছেন। তবে হৃদয়ে অনেক যন্ত্রণা রয়েছে। বিশ্বাস করুন ও ট্রমার মধ্যে রয়েছে। স্রেফ ভাবো নিজের দলের সমর্থকরা তোমার উইকেট চাইছে। তিনটে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পাওয়ার পরও ও সমালোচনার শিকার হচ্ছে।" ধোনি এবং সিএসকের অন্দরমহলের এই চিড় ধরার পোস্টেই লাইক করেছেন জাদেজা। যাতে জন্ম দিয়েছে একরাশ প্রশ্নের।
ঘটনাচক্রে, জাদেজা যে পজিশনে ব্যাট করেন, ঠিক তারপরেই ব্যাট করেন ধোনি। যখনই জাদেজা ব্যাট করতে নামেন। তখনই সমর্থকরা তাঁর আউট হওয়ার প্রার্থনা করেন, যাতে ধোনিকে ব্যাট হাতে দেখা যায়। এই অস্বস্তিকর মুহূর্ত প্রকাশ্যে স্বীকারও করে নিয়েছেন জাদেজা। দিল্লি ম্যাচের পরেই হালকা ছলে জাদেজা বলে দেন, "ব্যাট করতে নামলে মাহি ভাইয়ের নামে সমর্থকদের আকুতি শুনতে পাই। যদি ধোনির আগে ব্যাট করি, তাহলে সমর্থকরা আমার আউটের প্রতীক্ষা করছেন। যতদিন দল জিতছে, আমি খুশি।"
অভিমান যেন উথলে পড়ছিল জাদেজার গলায়। সেই বিবৃতির পরেই এবার টুইট লাইক পর্ব। জাদেজা-ধোনির সম্পর্ক যে আগের মত নেই, হলফ করে বলাই যায়।