Mumbai Indians vs Royal Challengers Bangalore IPL 25th Match Highlights: জসপ্রীত বুমরার ম্যাজিক। ব্যাট হাতে সূর্যকুমারের আকাশ ছোঁয়া ঝড়। জোড়া ধাক্কায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স আরসিবির বিরুদ্ধে হাসতে হাসতে জিতল ২৭ বল বাকি থাকতে। হাতে ৭ উইকেট নিয়ে।
স্কোরবোর্ডে ফাফ দু প্লেসিস, রজত পাতিদার, দীনেশ কার্তিকদের মন মাতানো ইনিংসে আরসিবি স্কোরবোর্ডে ১৯৬ তুলে ফেলার পর ভাবা হয়েছিল মুম্বইকে এই রান তুলতে হলে যথেষ্ট বেগ পেতে হবে।
কিন্তু কোথায় কি! মুম্বইয়ের ব্যাটিংয়ের সামনে স্রেফ উড়ে গেল বেঙ্গালুরু। প্রথম দু-ওভারে উঠেছিল মাত্র ৭ রান। তারপর সেই যে ঈশান কিষানের বল্লা চলল, তা আর থামানো যায়নি। রোহিত পালন করলেন শিট আঙ্করের ভূমিকা। অন্যপ্রান্তে ঝড় তুললেন ঈশান। আকাশদীপ, ম্যাক্সওয়েলদের পিটিয়ে ছাতু করলেন ঈশান। ৩৪ বলে ৬৯ রানের ইনিংসে যে ঝড় তুললেন তাতেই ম্যাচ অর্ধেক খতম হয়ে গিয়েছিল।
MI vs RCB IPL 22nd Match Report 2024
মুম্বইকে ১০১ রানের পার্টনারশিপ এনে দেওয়ার পরেই ঈশান কিষান আউট হয়ে যান আকাশ দীপকে হাঁকাতে গিয়ে। এরপরে তান্ডব শুরু সূর্যকুমার যাদব। ফিটনেস সমস্যা রয়েছে স্কাইয়ের। বৃহস্পতিবারও ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে নামলেন আকাশ মাধওয়ালের জায়গায়। তারপর ম্যাচে বাকিদের ম্লান করে দিলেন একাই। আরসিবির হয়ে তিনজন হাফসেঞ্চুরি করে গিয়েছিলেন- দু প্লেসিস, দীনেশ কার্তিক, রজত পাতিদার। প্রতিপক্ষ দলের ব্যাটারদের তো বটেই সাইক্লোন ইনিংসে পিছনের সারিতে ফেলে দিলেন সতীর্থ ঈশান কিষানকেও। আকাশ দীপ হোক বা উইল জ্যাকস- সূর্যের ব্যাটিং স্রেফ বরাবরের মত বিস্ময় হাজির করেছে। ১৭ বলে হাঁকালেন ফিফটি। শেষ পর্যন্ত ১৯ বলে ৫২ রানের ইনিংসে হাঁকালেন পাঁচ বাউন্ডারি, চার ওভার বাউন্ডারি।
সূর্যকুমার আউট হওয়ার পর হার্দিক পান্ডিয়া (৬ বলে ২১) এবং তিলক ভার্মা (১০ বলে ১৬) মুম্বইয়ের বড় জয় নিশ্চিত করে যান।
তার আগে ওয়াংখেড়েতে হার্দিক পান্ডিয়া টসে জিতে আরসিবিকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল। কোহলিরা নিজেদের একাদশে তিন-তিনটে বদল ঘটিয়েছিলেন। ক্যামেরন গ্রিনকে রিজার্ভে পাঠিয়ে উইল জ্যাকসকে অভিষেক ঘটিয়ে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে মহিপাল লোমরোর এবং বিজয়কুমার বৈশখকে ফিরিয়ে নেওয়া হয় প্রথম একাদশে।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে আরসিবি সাত তাড়াতাড়ি বিপদে পড়ে গিয়েছিল জসপ্রীত বুমরার প্রথম ওভারেই। কোহলিকে ফিরিয়ে দেন তিনি। আইপিএল অভিষেকেই ভরসা জাগাচ্ছিলেন উইল জ্যাকস। জোড়া বাউন্ডারিও হাঁকান ইংরেজ তারকা। তবে বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি।
এরপরে আরসিবি ব্যাটিংকে মজবুত জায়গায় নিয়ে যান ক্যাপ্টেন ফাফ দু প্লেসিস এবং রজত পাতিদার। ৮২ রানের পার্টনারশিপে দলকে চালকের আসনে বসিয়ে দেয় এই জুটি। হাফসেঞ্চুরি করার পরেই পাতিদার আউট হয়ে যান। পাতিদার আউট হয়ে গেলেও ইনিংসের হাল ধরার কাজ চালিয়ে যান ক্যাপ্টেন ফাফ। মাঝে জোড়া উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল আরসিবি। তবে দু প্লেসিস।এবং কার্তিক জুটি বেঁধে দলের রান রেট কমতে দেননি।
দু প্লেসিস আউট হয়ে যাওয়ার পর ছোটখাটো ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে আরসিবি। তবে কার্তিকের ঝড় তোলা ইনিংসে ভর করে আরসিবি প্রায় দুশো তুলে দেয় স্কোরবোর্ডে।
মুম্বই বোলারদের হয়ে রিংটোন সেট করে দিয়েছিলেন জসপ্রীত বুমরা। আকাশ মাধওয়ালও প্ৰথম ওভারে উইকেট নিয়ে যান। পাওয়ার প্লেতে মুম্বই বোলিং চাপে ফেলে দিয়েছিল আরসিবিকে। তবে মাঝের ওভারে আরসিবির রান তোলার গতি আটকাতে পারেননি হার্দিকরা। জেরাল্ড কোয়েটজে আক্রমণে ফিরেই দলকে ব্রেক থ্রু দিয়ে যান। এমনকি শ্রেয়স গোপাল দুর্ধর্ষ গুগলিতে ম্যাক্সওয়েলকে ফেরান। জসপ্রিত বুমরা নিজের কোটার শেষ দুই ওভারে আরসিবি বোলিংকে মাটি ধরিয়ে পাঁচ উইকেট সম্পূর্ণ করে যান। তবে আকাশ মাধওয়াল শেষ ওভারে ২০ রান খরচ করে মুম্বইকে বিপদে ফেলে দেন। দীনেশ কার্তিক শেষ ওভারে জোড়া ছক্কা এক বাউন্ডারিতে স্কোরবোর্ডে ২০ রান যোগ করে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন মুম্বইকে।