Sunrisers Hyderabad vs Chennai Super Kings IPL 18th Match Highlights: হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ৩৬ হাজার দর্শকের সামনে ৬ উইকেটে চেন্নাই সুপার কিংসকে হারাল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয়েছেন অভিষেক শর্মা।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে ওপেন করতে নামেন অভিষেক শর্মা ও ট্রাভিস হেড। ১২ বলে ৩৭ রানের মাথায় চাহারের বলে জাদেজার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান অভিষেক। হায়দরাবাদের রান তখন ৪৬। নামেন এইডেন মার্করাম। এরপর মহেশ থিকসানার বলে ২৪ বলে ৩১ রান করে ফিরে যান ট্রাভিস হেড। হায়দরাবাদের রান তখন ১০৬। এরপর মার্করামের সঙ্গ দেন শাহবাজ আহমেদ। কিন্তু, মার্করাম মইন আলির বলে ৩৬ বলে ৫০ রান করে এলবিডব্লিউ। মার্করাম ৪টি চার এবং ১টি ছয় মারেন। এরপর মইন আলির বলেই ১৯ বলে ১৮ রান করে এলবিডব্লিউ হন শাহবাজ আহমেদ। তিনি ১টা ছয় মেরেছেন। চেন্নাইয়ের রান তখন ১৪৩। হেনরি ক্লাসেন এবং নীতীশ রেড্ডি জয়ের বাকিটা ছিনিয়ে আনেন।
এর আগে হায়দরাবাদ স্টেডিয়ামে সানরাইজার্স (এসআরএইচ) হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে বড় রানের ইনিংস গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয় সিএসকে (চেন্নাই সুপার কিংস)। মাত্র ১৬৬ রানেই থামতে বাধ্য হয় ধোনির দল। অধিনায়ক ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের দলে একমাত্র হাতখুলে ব্যাটিং করেছেন শিবম দুবে। ৪৫ রান করেন শিবম।
শুক্রবার, ৫ এপ্রিল- টস জিতে ঋতুরাজদের ব্যাটিং করতে পাঠিয়েছিলেন চেন্নাইয়ের অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। সেই সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। দলের ২৫ রানের মাথায় চেন্নাই প্রথম উইকেট হারায়। ৯ বলে ১২ রান করে চতুর্থ ওভারে ভুবনেশ্বর কুমারের বলে আউট হন রাচিন রবীন্দ্র। অধিনায়ক ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ও ২১ বলে ২৬ রান করে আউট হয়ে যান।
এরপরই মাঠে নেমে হাতখুলে ব্যাটিং শুরু করেন শিবম দুবে। চেন্নাইয়ের এই অলরাউন্ডার চারটি ছক্কা মারেন। শিবমের ব্যাটিংয়ের সময় অন্যপ্রাপ্ত ধরে রেখেছিলেন অজিঙ্কা রাহানে। কিন্তু, প্যাট কামিন্সের বাউন্সার মারতে গিয়ে ৪৫ রানের মাথায় ভুবনেশ্বর কুমারের হাতে ক্যাচ তুলে দেন শিবম। এরপর রাহানেও ৩০ বলে ৩৫ রান করে জয়দেব উনাদকাটের বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান।
আরও পড়ুন- হ্যারিস-শাহিনদের দেখেই উন্নতি হচ্ছে মায়াঙ্কের, পাক সাংবাদিকের অদ্ভুত দাবিতে চাঞ্চল্য IPL-এ
ড্যারিল মিচেল এবং রবীন্দ্র জাদেজা কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন। দু'জনে মিলে ২৭ বলে ৩৩ রান করেন। শেষ তিন বল বাকি থাকতে নামেন ধোনি। ধোনি নামতেই গোটা স্টেডিয়াম চেন্নাই সমর্থক হয়ে যায়। তিনি অবশ্য মাত্র ১ রান করেন। শেষ পর্যন্ত চেন্নাই এক্সপ্রেসের গতি থেমে যায় ১৬৫ রানে।
পরাজয়ের কারণ হিসেবে চেন্নাই অধিনায়ক ঋতুরাজ গায়কোয়াড় বলেন, 'পিচ ধীরগতির ছিল। ব্যাক এন্ডে ওরা খুব ভালো বোলিং করেছে। শেষ পাঁচ ওভারে আমরা তেমন কিছু করতে পারিনি। ম্যাচ যত এগিয়েছে, ম্যাচের গতি ততই ধীর হয়েছে। ওরা এই পরিস্থিতিকে বেশ ভালোভাবে ব্যবহার করেছে। পাওয়ারপ্লেতেও আমরা ভালো বোলিং করিনি।'