Lokasabha Polls and BCCI: দেশে এবছর একইসঙ্গে ক্রিকেট উৎসব আইপিএল আর গণতন্ত্রের উৎসব নির্বাচন। এই দুই উৎসবকে মেলাল বিসিসিআই এবং নির্বাচন কমিশন। যার অঙ্গ হিসেবে শচীন তেণ্ডুলকার-সহ ক্রিকেটাররা ভোটারদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন ভোট দেওয়ার জন্য। আইপিএলের ম্যাচ চলাকালীন দর্শকদের উৎসাহিত করতে স্টেডিয়ামে সেইসব ভিডিওবার্তা শোনানো হচ্ছে।
১৯ এপ্রিল দেশে প্রথম দফার লোকসভা নির্বাচন। তার অনেকে আগে ২২ মার্চ থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে আইপিএল। ম্যাচ দেখার জন্য স্টেডিয়ামগুলোয় ভিড় জমাচ্ছেন দর্শকরা। আর, দর্শক পরিপূর্ণ এই সব স্টেডিয়ামকেই ভোটপ্রচারের সেরা জায়গা বলে মনে করছে কমিশন। কখনও ভিডিওবার্তায় থাকছে হোম টিমের আবেদন। কখনও আবার নির্বাচনের থিম সং বাজানো হচ্ছে। কখনও আবার শচীনের নেতৃত্বে ক্রিকেটারদের দল সেই সব ভিডিওবার্তায় জনগণকে ভোট দিতে আহ্বান জানাচ্ছেন।
১৬ মার্চ, ভোট ঘোষণার পর থেকেই আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি জারি হয়েছে। সরকারের কার্যক্ষমতা কমেছে। প্রশাসন বর্তমানে কমিশনের অধীনস্ত। ১ জুন ভোটের চূড়ান্ত পর্ব। আর, ৪ জুন ফলাফল ঘোষণা। ততদিন পর্যন্ত পরিস্থিতি এমনটাই থাকবে। আর, একথা মাথায় রেখেই মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার ভোটদানে উৎসাহ দেওয়ার প্রচার চালাতে বিসিসিআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।
এর আগে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময়ও আইপিএল চলাকালীন কমিশনকে কিছু সচেতনতামূলক প্রচার চালাতে দেখা গেছে। এবার সমস্ত দলের রেকর্ড করা ভিডিও বার্তা প্রচার করা হচ্ছে। সঙ্গে চলছে ইসির থিম সং, 'ম্যাঁয় ভারত হুঁ' এবং শচীন তেণ্ডুলকারের ভোটদানে আহ্বান। ম্যাচে শুরু হওয়ার আগে এবং বিরতির সময় এই ভিডিওগুলো দেখানো হচ্ছে। তবে, এগুলো সম্প্রচার করা হচ্ছে না। কারণ, তাতে সম্প্রচার সংস্থাগুলোর বিজ্ঞাপনের চুক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সমস্ত আইপিএল এবং উইমেনস প্রিমিয়ার লিগ দলের এই সব ভোটার সচেতনতামূলক ভিডিও কেবল স্টেডিয়ামেই চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি, শেয়ার করা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও। অন্যান্য দলের মত রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুও, খেলোয়াড়দের নিয়ে তৈরি এমনই এক ভিডিওয়, ভোটারদের কাছে দেশের স্বার্থে ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে।
আরও পড়ুন- RCB-র ভারতীয় ক্রিকেটাররা ইংরেজিই বোঝে না, কোহলির দলের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েই ঝড় তুললেন শেওয়াগ
এই ব্যাপারে আইপিএল চেয়ারম্যান অরুণ ধুমাল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, 'নির্বাচন দেশের সবচেয়ে বড় উৎসব। আর, আইপিএল হল ক্রিকেটের উৎসব। ভারত সেই দেশ, যেখানে সবচেয়ে বেশি যুবশ্রেণি আছে। আমরা মনে করি, যুবকরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সুবিধাভোগী। তাই আমরা সচেতনতা তৈরি করতে ইসিআইয়ের সঙ্গে সহযোগিতা করেছি, যাতে আরও বেশিসংখ্যক তরুণ নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে।'