/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/02/akshay-karnewar-759.jpg)
অক্ষয় কারনেওয়ার (ছবি-টুইটার/বিসিসিআই)
পাকিস্তানের হানিফ মহম্মদ হোক বা ইংল্যান্ডের গ্রাহাম গুচ, এমনকি শ্রীলঙ্কার হাসান তিলকরত্নে। এই তিন ক্রিকেটারই বিরল গুণের অধিকারী। দু'হাতে বল করার জন্যই ক্রিকেট ইতিহাসে আলাদা করে তাঁদের নাম লেখা থাকবে। আর তালিকায় রয়েছেন এক ভারতীয় বোলরাও। তিনি অক্ষয় কারনেওয়ার। বছর ছাব্বিশের এই ক্রিকেটার অতীতেও খবরের শিরোনামে এসেছেন দু'হাতে বল করে চমকে দেওয়ার জন্য। ফের একবার বাইশ গজ মাতল অক্ষয়কে নিয়ে। এ যেন সব্যসাচী! তাও আবার খেলার মাঠে।
বিধর্ভের হয়ে চলতি ইরানি ট্রফিতে অক্ষয় বাঁ-হাতে ও ডান হাতে স্পিন করেই তুলে নিলেন উইকেট। ভারতীয় ক্রিকেট দলের ফেসবুক পেজ থেকেও তাঁর ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। ইন্ডিয়ান ওয়েলে অক্ষয়ের সঙ্গে খেলতেন রোহিত শর্মা। অক্ষয়ের প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে রোহিত তাঁকে ভারতীয় দলের নেট প্র্যাকটিসে ডেকেছিলেন। এমনকি সচিন তেন্ডুলকরও অক্ষয়কে দেখে রীতিমতো চমকে গিয়েছিলেন। যদিও বহুবছর আগের ঘটনা এটা।
আরও পড়ুন: ৩৬০ ডিগ্রি ডেলিভারি! আগে দেখেছেন কি?
মহারাষ্ট্রের পান্ধারকাওড়ার ইয়াভাতমলের ছেলে অক্ষয়। বাবা পেশায় বাস ড্রাইভার ছিলেন। এক দশক আগে তিনি ডান হাতেই স্পিন বল করা শুরু করেন। কিন্তু তাঁর কোচ বালু নাওঘারের পরামর্শে তিনি বাঁ-হাতেও স্পিন করার চেষ্টা করান। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে অক্ষয় জানালেন তাঁর শুরুর দিনের কথা। বললেন, "আমি ডান-হাতি অফ-স্পিনার ছিলাম। কিন্তু বাঁ-হাতেও বল ছুঁড়তে পারতাম। একদিন আমার কোচ এসে বললেন বাঁ-হাতে স্পিন করতে। প্রথম দু'বছর কষ্ট হয়েছিল। কিন্তু এরপর আমি বাঁ-হাতি স্পিনার হয়ে যাই।" অক্ষয় এখন দলের প্রয়োজনেই শুধু ডান হাতে বল করেন। নয়তো বাঁ-হাতে স্পিনটাই করেন।
ইরানি ট্রফিতে বাঁ-হাতি ইশান কিষাণকে অফ স্পিন করেই আউট করেন। তারপর ডান হাতি ব্যাটসম্যানদের জন্য স্বাভাবিক অ্যাকশনে ফেরেন। অক্ষয় বলছেন, "এর আগেও আমি এভাবে বল করেছি। কিন্তু গত বছর প্রথম এটা টিভি-তে খবর হয়েছিল। বিজয় হাজারে ট্রফিতে অফ-স্পিনেই উইকেট পেয়েছি। ইশান কিশান বাঁ-হাতি। ও স্পিনারদের খেলতে পছন্দ করে। আমাদের ক্যাপ্টেন ফইজ ফয়জল বলল ওকে যেন অফ-স্পিন করি। কিন্তু হনুমা বিহারীর জন্য বাঁ-হাতে স্পিন করলাম।" অক্ষয় জানিয়েছেন তাঁর কাছে এই দু'হাতে বল করাটা অত্যন্ত মজার। ক্রিকেটারদের বোকা বানাতে পছন্দ করেন তিনি।
Read the full story in English