জাতীয় দলের জার্সিতে ১২ বছর আগে ২০০৭-এ বিশ্বকাপ জিতেছিলেন। তারপরে প্রায় হারিয়েই গিয়েছিলেন ইরফান পাঠান। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে পাঠান আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে এই বছরেই অবসর নিচ্ছেন। সূত্রের খবর এমনটাই। ৪৮ ঘণ্টা আগেই পাঠান শিরোনামে উঠে এসেছিলেন প্রথম ভারতীয় হিসেবে বিদেশের কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের ড্রাফটিংয়ে নাম পাঠানোর কারণে। সেই কারণেই সম্ভবত বিদায় জানাতে চলেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে।
ধোনি, কোহলিদের ছাপিয়ে বেনজির রেকর্ড গড়ার মুখে পাঠান, নয়া কীর্তির সামনে তিনি
বিসিসিআইয়ের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও বর্তমান ভারতীয় ক্রিকেটার বিদেশের কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে অংশ নিতে পারেন না। পাঠান জাতীয় দলের বৃত্তের বহু বাইরে, অনেক বছর আগেই। সক্রিয় ক্রিকেট থেকে নিজেও সরে দাঁড়িয়েছেন। সেই কারণেই তিনি সম্ভবত ভেবেছিলেন ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে অংশ নিলে সমস্যা হবে না। তবে পাঠান নাকি সম্পূর্ণ বিভ্রান্ত হয়েছে বোর্ডের কিছু আধিকারিকদের পরামর্শ মেনেই।
সিপিএল ড্রাফটিংয়ে নাম পাঠানোর আগে তারকা অলরাউন্ডারকে নাকি বোর্ডের এক কর্তার সঙ্গে পরামর্শ সেরেছিলেন। সেখানেই তাকে বলা হয়, সিপিএলে অংশ নিলে আগে অবসরের ঘোষণা করতে হবে। বোর্ডের এক আধিকারিক জাতীয় স্তরের এক প্রচারমাধ্যমে জানান, "বর্তমানে ক্রিকেট কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের কোনও ধারনাই নেই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের অংশগ্রহণের বিষয়ে। যেভাবে তাঁরা বোর্ড চালাচ্ছেন, তাতে বর্তমান ও প্রাক্তন- দুই ক্রিকেটারদের কেরিয়ারই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।"
বোর্ডের সেই আধিকারিক নাকি পাঠানকে বুঝিয়েছিলেন, সিপিএলে অংশ নিতে কোনও বাধা নেই। তবে ড্রাফটিংয়ে নাম পাঠানোর পরেই নাকি আবার পাঠানকে বোঝানো হয়, তাঁকে অবসর নিয়েই অংশ লিগে অংশগ্রহণ করতে হবে। এমন সমস্যার মুখে পাঠান খুব শীঘ্রই অবসর নিয়ে নিলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
জাতীয় দলে একসময়ে চুটিয়ে খেলা তারকা জাতীয় দলের হয়ে শেষ খেলেছেন সাত বছর আগে- ২০১২তে। তারপর ক্রমাগত ব্রাত্য থাকতে হয়েছে তাঁকে। এমনকি বরোদা দলেও সুযোগ পান না তিনি।
সদ্য সমাপ্ত আইপিএলে ধারাভাষ্যকারের ভূমিকাতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। মাঝে জম্মু কাশ্মীর ক্রিকেট দলের মেন্টরের ভূমিকাও পালন করেছেন। চলতি লোকসভা ভোটেও রাজনীতিতে জড়ানোর সূক্ষ্ম ইঙ্গিত মিলেছে তাঁর কথায়। নিজের আইপিএল কেরিয়ারে আলাদা আলাদা মরশুমে হাফডজন ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলেছেন তিনি- কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব, দিল্লি ডেয়ারডেভিলস, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, চেন্নাই সুপার কিংস, রাইজিং পুণে সুপার জায়ান্টস, গুজরাট লায়ন্স।
এমন বর্ণময় কেরিয়ারে ফুলস্টপ পড়তে চলেছে বোর্ডের আধিকারিকদের পরামর্শে। এটাই ব্যথা দিচ্ছে ভক্তদের। প্রশ্ন হল, সেই আধিকারিক কে? ডায়ানা এডুলজি নাকি বিনোদ রাই! সেই বিষয় কিন্তু জানা যায়নি।