এটিকেএমবি: ৩ (রয় কৃষ্ণ-২, মার্সেলিনহো)
কেরালা ব্লাস্টার্স:২ (গ্যারি হুপার, হামইনেশু)
১৪ মিনিটে ১-০। ৫১ মিনিটে ২-০। সেখান থেকে ম্যাচের শেষে ২-৩। চলতি আইএসএলের সেরা ম্যাচ সম্ভবত উপহার দিয়ে গেল কেরালা ব্লাস্টার্স এবং এটিকে মোহনবাগান। দোদুল্যমান ম্যাচে ফিনিক্স পাখির মত ঘুরে দাঁড়িয়ে শেষ হাসি হাসলেন হাবাস। সম্মান ছিনিয়ে নিলেন কিবুও। জোড়া গোল করে ম্যাচের নায়ক সেই রয় কৃষ্ণ।
বিরতিতেই এটিকে এমবি ০-১ গোলে পিছিয়ে পড়েছিল। তারপর ৫১ মিনিটে কেরালা আরো ১ গোল করে ২-০ লিড নিয়ে নেয়। এমন সময়ে ভেবে নেওয়া হয় টুর্নামেন্টের লজ্জার হার হজম করতে চলেছে এটিকে মেরিনার্সরা। তবে যেখান থেকে সবাই হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন। সেখানেই ম্যাচ জমিয়ে দিলেন এটিকেএম্বি তারকারা। ম্যাচের শেষে জয় ৩-২ ফলাফলে।
ডেভিড উইলিয়ামসকে বসিয়ে এদিনই মার্সেলিনহোকে প্রথম নামান কোচ হাবাস। আর শুরুর ম্যাচেই স্প্যানিশ তারকা নজর কেড়ে গেলেন। ম্যাচের শুরুতে কিবু রক্ষণাত্মক স্ট্রাটেজির খোলস ছেড়ে প্রেসিং ফুটবলে জোর দিয়েছিলেন। আর সেই কারণেই গ্যারি হুপার মাত্র ১৪ মিনিটে বিশ্বমানের গোল করে এটিকেকে পিছিয়ে দিয়েছিলেন। সন্দীপ সিংয়ের ক্রস চেস্ট ট্র্যাপ করে বল রিসিভ করে ৪০ গজ দূর থেকে গোল করে দিয়েছিলেন। এই গোলেই আত্মবিশ্বাস যেন দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছিল কেরালার। একের পর এক সুযোগ তৈরি করেছিল তারা।
বিরতির ঠিক পরেই কেরালা দ্বিতীয় গোল করে যায়। আব্দুল সামাদের কর্নার থেকে ২-০ করে যান হামইনেশু। জোড়া গোলে পিছিয়ে পড়ার পরেই ম্যাচে ফেরে এটিকেএম্বি। ৫৯ মিনিটে গোল করেন মারসেলিনহো। মনবীর সিংয়ের পাস থেকে কেরালা ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে গোলকিপারকে মাথার উপর দিয়ে হালকা করে বল জালে জড়িয়ে দেন। ব্যবধান কমানোর ঠিক পাঁচ মিনিট পরেই সমতা ফিরিয়ে দেন সবুজ মেরুন জার্সিধারীরা। হ্যান্ডবল করে বসেছিলেন কারনেইরো। পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরান কৃষ্ণ। ৬৪ মিনিটে গোলশোধ করে দেওয়ার পর জয়সূচক গোলের জন্য আরো ঝাঁপিয়ে পড়েন মেরিনার্সরা। অবশেষে কাঙ্খিত জয়ের গোল আসে ৮৭ মিনিটে রয় কৃষ্ণের পা থেকে। সবমিলিয়ে চলতি টুর্নামেন্টে ৮ গোল হয়ে গেল ফিজিয়ান তারকার।
আরো পড়ুন: ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরি আটকাতে ওয়াইড বল, বিতর্কের আগুনে দগ্ধ ক্রিকেট মহল
এটিকে মোহনবাগান:
অরিন্দম ভট্টাচার্য, প্রীতম কোটাল, তিরি, সন্দেশ জিংঘান, প্রবীর দাস, শেখ সাহিল, জয়েশ রানে, রাঠি, কার্ল ম্যাকহিউ, মার্সেলিনহো, রয় কৃষ্ণ
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন