এটিকে মোহনবাগান: ১ (রয় কৃষ্ণ)
ওড়িশা এফসি: ০
জয়ের হ্যাটট্রিক হল ফতোরদায় । কেরালা ব্লাস্টার্স এবং ইস্টবেঙ্গলকে টানা দু ম্যাচ হারানোর পর হাবাসের এটিকে মোহনবাগান প্রায় আটকে গিয়েছিল ব্যাক্সটারের ওড়িশা এফসির কাছে। তবে একদম শেষলগ্নে ত্রাতা সেই কৃষ্ণ। মূল্যবান তিন পয়েন্ট এনে দিলেন ক্লাবকে। একাধিক সুযোগ পেয়েও দুই দল স্কোর করতে এদিন ব্যর্থ হয়েছিল প্রথমার্ধে।
তিরি, সন্দেশ জিংঘান এবং প্রীতম কোটালকে নিয়ে গড়া এটিকেএমবি-র রক্ষণ এবারে টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা। সেই সঙ্গে রয়েছে রয় কৃষ্ণের মত সুযোগ সন্ধানী বক্স স্ট্রাইকার। প্রতি আক্রমণভিত্তিক ফুটবলেই বিপক্ষকে চূর্ণ করে হাবাসের দল। তবে ওড়িশার বিরুদ্ধে এদিন হাবাসের সমস্ত পরিকল্পনাই প্রায় আটকে গিয়েছিল।
বল পজিশনে সারাক্ষণ এগিয়ে থাকল এটিকেএমবি। তবে ওড়িশার রক্ষণ ভেদ করতে ব্যর্থ। প্রথমার্ধের ৩৫ মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলেন ওড়িশার জেকব। দিয়েগো মৌরিসিওর বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে কর্নার পায় ওড়িশা। কর্নার থেকে দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন জেকব। তবে তিনি লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। বিরতির পরেই পেনাল্টি পেতে পারত এটিকেএমবি। বক্সের সামান্য বাইরে প্রবীর দাসকে ফাউল করেন হেন্দ্রি। ফাউল অবশ্য কাজে লাগাতে পারেননি এটিকে।
এরপর আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়ায় ওড়িশা। হাবাস জোড়া পরিবর্তন করেন ৬৬ মিনিটে জয়েশ রানে এবং মনবীরকে তুলে নামিয়ে দেন গ্লেন মার্টিন্স এবং ব্রেডেন ইনমানকে।
খেলা যখন শেষের দিকে।যখন সবাই ধরেই নিয়েছে ড্র হবে। সেই সময়েই ঝলসে উঠলেন রয় কৃষ্ণ। বিরতিতে একদম শেষ মিনিটে গোল করে যান তিনি। তিন ম্যাচ জয়ের পরে আপাতত ৯ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকার শীর্ষে এটিকেএমবি। তিন ম্যাচে ৪ গোল করে ফেললেন ফিজির তারকা।
এটিকে-মোহনবাগান একাদশ:
অরিন্দম ভট্টাচার্য, সন্দেশ জিংঘান, শুভাশিস বোস, প্রীতম কোটাল, প্রবীর দাস, তিরি, কার্ল ম্যাকহিউ, জয়েশ রানে (গ্লেন মার্টিন্স), হাভিয়ের হার্নান্দেজ, মনবীর সিং (ব্রেডেন ইনমান), রয় কৃষ্ণ
ওড়িশা এফসি:
কমলজিৎ সিং, হেন্দ্রি এন্টনি, গৌরব বোরা, শুভম সারাঙ্গি, জেকব, স্টিভেন টেলর, কোল আলেকজান্ডার, নন্দকুমার শেখর, লাইসরাম সিং, দিয়েগো মৌরিসিও (ম্যানুয়েল অনু), মার্সেলো পেরেইরা (স্যামুয়েল লালমুইনপুইয়া)
আরো পড়ুন: আইএসএলে রেকর্ড ইস্ট-মোহন ডার্বির, ইতিহাসেও এমনটা আগে ঘটেনি
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন