ইস্টবেঙ্গল: ০
চেন্নাইয়িন এফসি: ০
শেষ ২ ম্যাচে ৯ গোল হজম করার পরে অবশেষে কোনও গোল হজম না করেই মাঠ ছাড়ল ইস্টবেঙ্গল। চেন্নাইয়িন এফসির বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করে এক পয়েন্ট এল লাল হলুদ শিবিরে।
প্রথম ম্যাচে জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ড্র করার পরে টানা দুই ম্যাচে এটিকেএমবি এবং ওড়িশা এফসির কাছে বিধ্বস্ত হয়ে শুক্রবার খেলতে নামে ইস্টবেঙ্গল। অন্যদিকে টানা দু ম্যাচ জিতে আসা চেন্নাইয়িনের বিরুদ্ধে হারের হ্যাটট্রিক বাঁচানোই ছিল মূল লক্ষ্য লাল হলুদের। ম্যাচের শেষে অবশ্য এক পয়েন্টের স্বস্তি জুটল মানোলো দিয়াজের।
আরও পড়ুন: লজ্জার একশেষ! ৫ গোল হজমে ISL-এ কলঙ্কের ইতিহাস সবুজ মেরুনের
চার বিদেশির কোটায় টমিস্লাভ মার্সেলা, সিডোয়েল, আমির এবং চিমাকে রেখেছিলেন স্প্যানিশ বস। গোটা ম্যাচেই দাপটে খেলে গেল চেন্নাইয়িন। স্রেফ গোলটাই যা করতে পারল না। তিন দেশি-এক বিদেশি নিয়ে গড়া রক্ষণভাগই চেন্নাইয়িনের প্রবল আক্রমণ রুখে দিল।
গোটা ম্যাচেই বেশ কয়েকবার গোলের সুযোগ পান রহিম আলিরা। তবে লাল হলুদ রক্ষণ সমর্থকদের ভরসা যোগাল। ইস্টবেঙ্গল কার্যত কোনও আক্রমণই করতে পারেনি।
ডিফেন্স সংগঠন বাহবা কুরোলেও আক্রমণভাগ নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে। প্রথমার্ধেই চেন্নাইয়িন সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে ইস্টবেঙ্গলের কপালে এদিনও দুঃখ লেখা ছিল। পরিসংখ্যান বলছে, বিরতির আগেই ১২বার গোলমুখী শট নিয়েছে বোজিদার ব্যান্দভিচের চেন্নাই। এর মধ্যে চারটিই ছিল গোলমুখী শট। তবে একবারও জালে জড়ায়নি বল।
ইস্টবেঙ্গলের চিমা শুক্রবারও ফ্লপ। শুরু থেকেই তাঁকে একাদশে রেখেছিলেন কোচ মানোলো। তবে গোটা ম্যাচেই নজর কাড়তে ব্যর্থ তিনি। সেই সঙ্গে আমিরের খেলার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে। অধিকাংশ সময়ই বিপক্ষের কাছে বলের লড়াইয়ে পরাস্ত হচ্ছিলেন তিনি।
ইস্টবেঙ্গল: শুভম সেন, ড্যানিয়েল গোমেস, টমিস্লাভ মার্সেলা, জয়নার লোরেনকো, হিরা মন্ডল, ড্যারেন সিডোয়েল, মহম্মদ রফিক, আমির ডেরভিসেভিচ, ড্যানিয়েল চিমা, অমরজিৎ সিং, নাওরেম মহেশ
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন