মান্ডবীর তীরে স্বপ্নভঙ্গ! সবুজ-মেরুন ঝড় থামিয়ে চ্যাম্পিয়ন মুম্বই

এটিকে মোহনবাগান এবং মুম্বই সিটি এফসি, দুই দলেই তারকার ছড়াছড়ি। প্লে মেকার থেকে স্ট্রাইকার- দুই দলের তারকারাই আলো ছড়িয়েছেন চলতি আইএসএলে।

এটিকে মোহনবাগান এবং মুম্বই সিটি এফসি, দুই দলেই তারকার ছড়াছড়ি। প্লে মেকার থেকে স্ট্রাইকার- দুই দলের তারকারাই আলো ছড়িয়েছেন চলতি আইএসএলে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

এটিকে মোহনবাগান: ১ (ডেভিড উইলিয়ামস)
মুম্বই সিটি এফসি: ২ (তিরি-আত্মঘাতী, বিপিন)

Advertisment

হল না। হাবাসের টানা দুবার ট্রফি জেতা হল না। অভিষেকেই এটিকে মোহনবাগান আইএসএল ট্রফি কলকাতায় আনতে ব্যর্থ। উত্তেজক ফাইনালে মুম্বই সিটি এফসির কাছে ১-২ গোলও হেরে বসল মেরিনার্সরা। বিরতির আগেই ডেভিড উইলিয়ামসের দুরন্ত গোলে লিড নিয়েছিল এটিকে এমবি। তবে সেই লিড খুইয়ে বসে কিছুক্ষণের মধ্যে। তিরি আরো একবার আত্মঘাতী গোল করে দলকে ডুবিয়ে দেন। এরপর ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের একদম শেষ লগ্নে বিপিন মুম্বইয়ের হয়ে জয়সূচক গোল করে যান।

উত্তেজক ফুটবল, প্রতিপক্ষকে এক ইঞ্চিও না ছেড়ে দেওয়ার হুঙ্কার, পাসিং ফুটবল, বুদ্ধিদীপ্ত প্ল্যানিং- ফতোরদায় এদিন যাবতীয় রসদ মজুত ছিল। তবে হাবাসকে স্বদেশীয় মুম্বই কোচ সের্জিও লবেরা মাত করে দিলেন পাসিং নির্ভর ফুটবল খেলে। আর হাবাস প্রতি আক্রমণে গোলের সন্ধানে উঠলেও মাঝমাঠ দখল করে মুম্বই আগে থেকেই মোহনবাগানের সাপ্লাই লাইন কেটে দিয়েছিল।

এর মধ্যেই ১৮ মিনিটে খেলার গতির বিরুদ্ধেই এটিকে মেরিনার্সদের গোল করে এগিয়ে দিয়েছিলেন অজি স্ট্রাইকার ডেভিড উইলিয়ামস। রয় কৃষ্ণের প্রেসিং ফুটবলে তালমিল হারিয়ে ফেলেছিলেন মুর্তদা ফল, আহমেদ জানু এবং অমেয় রানাওয়াডে শ্লথগতির ডিফেন্ডিংয়ের সুযোগ নিয়ে কুশলী পাস বাড়িয়েছিলেন কৃষ্ণ। জোরালো শটে বল জালে জড়িয়ে দেন ডেভিড উইলিয়ামস।

Advertisment

publive-image

সেই গোলের রেশ বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি এটিকে এমবি। ২৯ মিনিটে নিজেদের অর্ধ থেকে আহমেদ জানু লম্বা বল বাড়িয়েছলেন। সেই বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে হেডে নিজের জালেই বল জড়িয়ে দেন তিরি। আগুয়ান গোলকিপার অরিন্দম সেই শট রুখতে পারেননি। এই নিয়ে চলতি মরশুমে দুবার আত্মঘাতী গোল করে বসলেন স্প্যানিশ স্টপার।

দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শেষ হওয়ার আগেই ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা। মনবীর সিংয়ের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে চৈতন্য হারিয়ে ফেলেন মুম্বই ডিফেন্ডার অমেয় রানাওযাডে। শেষ পর্যন্ত হাসপাতালে নিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় তরুণ তারকাকে। এরজন্য খেলা প্রায় ১০ মিনিট বন্ধ থাকে।

দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে একাধিকবার প্রতিপক্ষ বক্সে হানা দিলেও গোলের দরজা খুলতে পারেনি। তবে খেলা শেষ হওয়ার আগেই মুম্বইকে চ্যাম্পিয়ন করার চাবিকাঠি দিয়ে যান পরিবর্ত হিসাবে নামা ওগবেচে। মাঝমাঠ থেকে লম্বা বল ভেসে এসেছিল এটিকে বক্সে। তিরি এবং সন্দেশ জিনঘান দুজনেই বলের কাছে ছিলেন। তবে ওগবেচের চাপে তালমিল হারিয়ে ফেলেন দুজনে। গোলকিপার অরিন্দমের জন্য বল ক্লিয়ার করার ভার ছেড়ে দেন তাঁরা। তবে অরিন্দম বল ক্লিয়ার করতে পারেননি। বরং ওগবেচে অরিন্দম এবং তিরিকে ড্রিবল করে বল বাড়িয়ে দেন আগুয়ান বিপিনের জন্য। সেখান থেকেই দারুণ ফিনিশিং বিপিন সিংয়ের।

আরো পড়ুন: মাঠেই অজ্ঞান মুম্বই ফুটবলার রানাওয়াডে, ISL ফাইনালে মৃত্যুভয়ের হাতছানি

মুম্বই সিটি এফসি-র প্রথম একাদশ: অমরিন্দর সিং (গোলরক্ষক), অমেয় রানাওয়াডে, মুর্তাদা ফল, হার্নান সান্তানা, ডি ভিগ্নেশ, আমেদ জাহু, রাওলিন বোর্জেস, রেইনিয়ের ফার্নান্ডেজ, হুগো বুমৌস, বিপিন সিংহ, অ্যাডাম লে ফন্দ্রে

এটিকে মোহনবাগানের প্রথম একাদশ: অরিন্দম ভট্টাচার্য (গোলরক্ষক), প্রীতম কোটাল, সন্দেশ ঝিঙ্গন, তিরি, শুভাশিস বসু, কার্ল ম্যাকহিউ, হাভি হার্নান্ডেজ, লেনি রড্রিগেজ, মনবীর সিংহ, ডেভিড উইলিয়ামস, রয় কৃষ্ণ।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

ISL atk-mohun-bagan