শনিবার বড়সড় ঘটনায় চমকে গিয়েছে আইএসএল দুনিয়া। বাগান শিবির করোনায় আক্রান্ত হতেই স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে ওড়িশা এফসি ম্যাচ। সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সবুজ মেরুন শিবিরের একজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সংশ্লিস্ট ফুটবলারের নাম-ও জানানো হয়নি।
তবে শোনা যাচ্ছে, একজন নয়, বাগান শিবিরের একাধিক ফুটবলার করোনার প্রকোপে পড়েছেন। সেই তালিকায় নাকি রয়েছেন রয় কৃষ্ণ, শুভাশিস বোস, কার্ল ম্যাকহিউ, সন্দেশ জিংঘানরা। যদিও সরকারিভাবে কারোর নাম স্বীকার করা হচ্ছে না।
আইএসএল এমনিতে বায়ো বাবলে খেলা হচ্ছে। দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে। প্রত্যেক ফ্র্যাঞ্চাইজিকে রাখা হয়েছে পৃথক পৃথক হোটেলে। তা সত্ত্বেও কীভাবে করোনা আক্রান্ত হলেন এটিকে মোহনবাগানের ফুটবলাররা।
আরও পড়ুন: করোনার ঢেউ এবার বাগানে! শনিবারের বারবেলায় বিরাট দুঃসংবাদ মেরিনার্সদের
ফুটবল মহলের আলোচনায় উঠে আসছে জোড়া ঘটনা। এক, সন্দেশ জিংঘান সম্প্রতি এটিকে মোহনবাগান দলে যোগ দিয়েছেন। ক্রোয়েশিয়ার সিবেনিক থেকে দেশে ফিরে চন্ডীগর থেকে গোয়ায় গিয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী, দলের অনুশীলনে যোগ দেওয়ার আগে সন্দেশকে কোয়ারেন্টিন পর্ব সারতে হবে।
তিনি দলে যোগ দিয়ে কোনও সবুজ মেরুন ফুটবলারের সংস্পর্শে এসেছিলেন কিনা, তা জানা যায়নি। তাছাড়া তিনি ব্যক্তিগত ফিজিও থেরাপিস্টের কাছে ছিলেন দেশে ফিরে। ক্রোয়েশিয়া থেকে চন্ডীগর এবং সেখান থেকে গোয়া- পুরো যাত্রাপথে তিনি আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন। এমনটাই ধারণা ফুটবল মহলের।
দ্বিতীয় যে বিষয়, তা হল হায়দরাবাদ ম্যাচে কার্ল ম্যাকহিউ মারাত্মক চোটের কবলে পড়েছিলেন। ঘাড়ে চোট পেয়ে নিশ্বাস নিতে পারছিলেন না তিনি। আয়োজকদের রীতিমত হৃদকম্প উপহার দিয়ে আইএসএলে ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনের স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছিলেন।
সেই চোট পাওয়ার পরে প্রাথমিক শুশ্রূষা দেওয়া হয় তাঁকে মাঠেই। তারপরে এম্বুলেন্সে করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বায়ো বাবল ভেঙে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে সেখান থেকে সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারেন আইরিশ তারকা। তাঁর মাধ্যমে দলের সতীর্থরাও সংক্রমণের কবলে পড়তে পারেন। এমনটাই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।
আরও পড়ুন: নতুন বছরে বিরাট সুখবর বাগানে! ইউরোপ ফেরত সুপারস্টার ফিরলেন দলে
ঘটনা হল, এটিকে মোহনবাগানের পরবর্তী ম্যাচ রয়েছে ১৫ জানুয়ারি, বিপক্ষে বেঙ্গালুরু এফসি। সেই ম্যাচের আগে দলে নতুন করে কেউ করোনা আক্রান্ত না হলে টুর্নামেন্ট নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হবে। তবে এটিকে মোহনবাগান শিবিরের পরে অন্য দলেও করোনা ছড়িয়ে গেলে টুর্নামেন্ট স্থগিত করে দেওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না লিগ কর্তৃপক্ষের।
শনিবার মোহনবাগানের ম্যাচ বাতিল হয়ে গেলেও গোয়া-চেন্নাইয়ের ম্যাচ নির্ধারিত সূচি মেনেই হয়েছে। কিন্তু কদ্দিন এই সূচি মানা সম্ভব হয়, সেটাই আপাতত প্রশ্ন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন