ইস্টবেঙ্গল: ৩ (ক্লেইটন, দোহার্তি, কিরিয়াকু)
নর্থইস্ট ইউনাইটেড: ১ (ম্যাট ডার্বিশায়ার)
প্ৰথম দুই আইএসএল সিজনে জয়ের জন্য মাথা খুঁড়ে মরেছিল ইস্টবেঙ্গল। তবে স্টিফেন কনস্টানটাইন তৃতীয় ম্যাচেই জয়ের সন্ধান পেয়ে গেল। গুয়াহাটিতে বিপক্ষের ঘরের মাঠে নর্থইস্টকে ৩-১ ব্যবধানে চূর্ণ করল ইস্টবেঙ্গল। দুই অর্ধ মিলিয়েই এল গোল। ম্যাচের প্রায় শুরুতেই ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে গিয়েছিল ক্লেইটন সিলভার গোলে। দ্বিতীয়ার্ধে চারিস কিরিয়াকু স্কোরলাইন ২-০ করেন। শেষদিকে জর্ডন দোহার্তি নর্থইস্টের কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে ৩-০ করেন। সংযোজিত সময়ে নর্থইস্টের ম্যাট ডার্বিশায়ার একটি গোলশোধ করলেও তা দিনের শেষে স্বান্ত্বনা হয়ে থাকল।
এর আগে চারবার মুখোমুখি সাক্ষাতে একবারও ইস্টবেঙ্গল জয় ছিনিয়ে নিতে পারেনি নর্থইস্টের বিরুদ্ধে। জোড়া হার দিয়ে মরশুম শুরু করেছিল স্টিফেন কনস্টানটাইনের ইস্টবেঙ্গল। প্ৰথম ম্যাচে কেরালা ব্লাস্টার্সের কাছে ১-৩'এ বিধ্বস্ত হওয়ার পরে দ্বিতীয় ম্যাচে লাল-হলুদ রং বিবর্ণ করে দিয়েছিল এফসি গোয়া।
আরও পড়ুন: ইস্টবেঙ্গলে বাতিল কোস্তা এবার বিখ্যাত ক্লাবের দায়িত্বে, হেড কোচ হিসেবে শুরুতেই দেখালেন ম্যাজিক
বৃহস্পতিবার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ইস্টবেঙ্গল অবশ্য পাশার দান উল্টে দিয়ে জয় পেল নর্থইস্টের বিপক্ষে। ১১ মিনিটে ইস্টবেঙ্গল লিড নেয় ক্লেইটন সিলভার গোলে। বাঁ প্রান্তে ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণের তোড়ে বল নিজেদের দখলে রাখতে পারেননি মহম্মদ ইরশাদ। নাওরেম সিং বল জিতে নেন। তারপরে ক্লেইটনের পায়ে বল যেতেই ঠান্ডা মাথায় ব্রাজিলীয় লিড এনে দেন ইস্টবেঙ্গলকে।
ম্যাচের প্রথমার্ধে প্রায় পুরোটাই দাপটে খেলল ইস্টবেঙ্গল। সিলভার গোলের পর বেশ কয়েকটা দূরপাল্লার শটে গোল করার চেষ্টা করেছিলেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা। তবে সফল হননি। বিরতির ঠিক আগে বেশ কয়েকবার ইস্টবেঙ্গল অর্ধে হানা দিয়েছিল নর্থইস্ট। তবে সুবিধা করতে পারেনি তারা।
দ্বিতীয়ার্ধের প্রায় শুরুতেই ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ২-০ করে যান সাইপ্রাসের তারকা চারিস কিরিয়াকু। কাউন্টার এটাক থেকে গোলের সুযোগ তৈরি করে ইস্টবেঙ্গল। ডান প্রান্তে সুহের বল দখল করে দারুণভাবে পাস বাড়ান আগুয়ান কিরিয়াকুকে। ডান পায়ে তাঁর শট আছড়ে পড়ে জালে।
আরও পড়ুন: অবসর ঘোষণা ফাউলারের ইস্টবেঙ্গলের তারকা বিদেশির! চোখের জলে জানালেন বিদায়
৮৪ মিনিটে ৩-০ করে যান জর্ডন দোহার্তি। নর্থইস্টের কর্ণার থেকে বল দখল নিয়ে আক্রমণ শানায় লাল-হলুদ বাহিনী। হাফলাইন থেকে মোবাসির রহমান বিপক্ষের গোললাইন বরাবর দৌড় দেন। তারপরে স্পেস পেয়েই জর্ডন ও'দোহার্তিকে বল বাড়ান। অরিন্দমকে পেরিয়ে গোল করতে বিন্দুমাত্র ভুল করেননি অজি মিডফিল্ডার। সংযোজিত সময়ে ম্যাট ডার্বিশায়ার একটি স্বান্ত্বনা সূচক গোল করলেও, ম্যাচের ফলাফলে কোনও প্রভাব পড়েনি।
ইস্টবেঙ্গল: কমলজিৎ সিং, সার্থক গোলুই, নুঙ্গা, ইভান গঞ্জালেজ, কিরিয়াকু, জেরি, জর্ডন ও'দোহার্তি, মহেশ নাওরেম, হাওকিপ, ক্লেইটন, ভিপি সুহের