দুটো ম্যাচও গড়াল না। তারপরেই আইএসএল-এর রেফারিংয়ের কঙ্কালসার অবস্থা প্রকট হয়ে গেল। নবম সংস্করণে একাধিকবার দুর্বল রেফারিং শিরোনামে উঠে এসেছিল। শনিবার রাতে বেঙ্গালুরু-নর্থ ইস্ট ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণ করে দিলেন রেফারি। এমনটাই মনে করছে ফুটবল মহল।
ঘরের মাঠ ক্রান্তিবীরা স্টেডিয়ামে একগোলে এগিয়ে থাকা অবস্থায় বেঙ্গালুরু ভেবে নিয়েছিল তিন পয়েন্ট নিয়েই ম্যাচ জিতবে তারা। তবে তার পর যা ঘটল, তা ভারতীয় ফুটবলের রেফারিংয়ের কদর্য দিকটাই তুলে ধরল।
চার মিনিটের অতিরিক্ত সময়ের মধ্যে দু-মিনিটই গড়িয়ে গিয়েছিল। ডান দিকের কর্ণারের কাছ থেকে নর্থ ইস্ট সেই সময়েই থ্রো-ইন আদায় করে নিয়েছিল। সেই থ্রো ইন বেঙ্গালুরু বক্সে উড়ে আসার পর স্রেফ ক্লিয়ার করার অপেক্ষা ছিল।
তবে উড়ে আসা সেই বল ধরেই নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের জন গাজতাঙ্গা বুক দিয়ে দারুণভাবে বল রিসিভ করে ভলিতে বেঙ্গালুরু ডিফেন্স এবং গোলকিপার গুরপ্রীত সিং সান্ধুকে পেরিয়ে জালে জড়িয়ে দেন। তারপরেই টাচলাইনের ধারে নর্থ ইস্ট ফুটবলাররা গাজতানাগাকে মধ্যমণি করে সেলিব্রেশনে মেতে ওঠেন। গোটা স্টেডিয়াম সেই সময় পিন পতনের নিস্তব্ধতা।
আরও পড়ুন: পোগবাই হয়ত বাইরে, চেন্নাইয়িনের বিরুদ্ধে কেমন একাদশ সাজাচ্ছেন বাগান বস ফেরান্দো
তারপরেই রেফারি বাঁশি বাজিয়ে সেই নৈঃশব্দ্য খানখান করে দেন। সহকারী রেফারি আসলে ইঙ্গিত করেন গোল করার সময়ে নর্থ ইস্টের একজন অফসাইড পজিশনে ছিলেন। সহকারী রেফারির সিদ্ধান্তই বহাল রাখেন রেফারি।
পরে যদিও রিপ্লেতে দেখা যায়, সংশ্লিষ্ট ফুটবলার মোটেই অফসাইডে ছিলেন না। বলের সঙ্গে কোনও সংস্রবও ছিল না তাঁর। ন্যায্য গোল থেকে বঞ্চিত হয় মার্কো বুলবুলের নর্থ ইস্ট। প্রতিবাদ দেখানোয় বরং নর্থ ইস্টের ইজরায়েলি কোচকে লাল কার্ড দেখানো হয়।
আরও পড়ুন: ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচ ডে’তেই মুখ খুললেন বাগানের তিরি! মনখারাপ করা বার্তায় গলিয়ে দিলেন হৃদয়
এমন ঘটনার পরেই সাংবাদিক সম্মেলনে এসে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আবেদন জানান নর্থ ইস্টের সহকারী কোচ পল গ্রোভস, "সকলেই রিপ্লে দেখেছে। রেফারিং নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না। আমরা আমাদের মত ফুটবল খেলেছি। আশা করি আরও উন্নতি করতে পারব। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দেখুক এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিক।"
আরও পড়ুন: রয় কৃষ্ণের বিকল্প হয়ে উঠতে কি পারবেন! চেন্নাইয়িন ম্যাচের আগেই বড় বার্তা বাগানের পেত্রাতোসের
আর্থিক কারণে আইএসএল-এ এখনও ভার সিস্টেম প্রযুক্ত হচ্ছে না। এর আগে ভালো মানের রেফারিংয়ের জন্য একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এফডিএসএল কর্তৃপক্ষের তরফে। তিন বছর ধরে রেফারিংয়ের উন্নতির জন্য ১০ কোটি টাকা বিনিয়োগের সিদ্ধান্তও নিয়েছে ফেডারেশন। তবে এখনও ভারতীয় ফুটবলে রেফারিং যে অথৈ জলে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।