ইস্টবেঙ্গল: ০
বেঙ্গালুরু এফসি: ১ (সুনীল ছেত্রী)
হতাশার মরশুম হতাশাতেই শেষ হল ইস্টবেঙ্গলের। লিগের শেষ ম্যাচে বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে ০-১ হেরে টেবিলের লাস্ট বয় হওয়া নিশ্চিত করে ফেলল লাল হলুদ ব্রিগেড। ২০ ম্যাচ খেলে ১১ পয়েন্ট নিয়ে শেষ করল মারিও রিভেরার দল।
গোটা মরশুমে মাত্র একটা জয়। তিন বার কোচ বদল। বিতর্কের মরশুমের শেষটা অন্তত জয় দিয়ে হোক, সেটাই চেয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। তাতে অন্তত নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডকে শেষের দিক থেকে পয়েন্ট তালিকায় ছোঁয়ার সুযোগ থাকত। শেষে থাকার গ্লানিরও ভাগিদার থাকত।
আরও পড়ুন: ওয়ার্ন নেই, বিশ্বাস-ই হচ্ছে না সৌরভের! তীব্র শোকে বিরাট বার্তা মহারাজের
তবে বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে সেই একই ফুটবল। সুনীল ছেত্রী ২৬ মিনিটেই ম্যাচের একমাত্র গোল করে যান। আইএসএলের ইতিহাসে প্ৰথমবারের মত কোনও নেপালি তারকা খেলতে নেমেছিলেন এদিন। ইস্টবেঙ্গল নামিয়ে দিয়েছিল কয়েকদিন আগে সই করানো অনন্ত তামাংকে।
আর লাল হলুদ জার্সিতে প্ৰথম ম্যাচেই বিরাট ভুলে দলকে গোল হজম করালেন। একটা লং বল পুরোপুরি পড়তে পারেননি। বক্সের মধ্যে তামাংকে মাটি ধরিয়ে গোল করতে বিন্দুমাত্র অসুবিধা হয়নি সুনীল ছেত্রীর।
তবে গোলের প্ৰথম সুযোগ পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গলই। ফ্রিকিক থেকে পেরোসেভিচের গোলে এগিয়ে যেতে পারত লাল হলুদ। তবে সেভ করে দেন গোলকিপার লারা শর্মা।
বিরতির আগে আবার বেঙ্গালুরু ২-০ করে ফেলতে পারত। উদান্ত সিংয়ের দুরপাল্লার শট ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হয়। দুই দলই বিরতির আগে প্রতিপক্ষের অর্ধে গোলমুখী আক্রমণ শানালেও আর গোল আসেনি।
ইস্টবেঙ্গলের কাছে বিরতির কাছে চরম ধাক্কা হিসাবে হাজির হয় পেরোসেভিচের গোড়ালিতে চোট। তাঁর পরিবর্তে নামানো হয় মার্সেলো রিবেইরোকে।
দ্বিতীয়ার্ধেও একের পর এক গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল মার্কো পিজ্জাউলির দল। দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি সময়ে হাওকিপ গোলের দুরন্ত সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে ক্রশবারের ওপর দিয়ে বল হাঁকিয়ে সেই সুযোগ হেলায় হাতছাড়া করেন তিনি।
আরও পড়ুন: মোহনবাগানের জার্সিতে ব্যাটে ঝড় তোলেন কোহলি! বিরাটের বাঙালি কোচ এখনও সুখ-স্মৃতিতে ডুবে
সুনীল ছেত্রী খেলা শেষ হওয়ার আগে হ্যাটট্রিক করে ফেলতে পারতেন। প্ৰথম ক্ষেত্রে তাঁর জোরালো শট বাঁচিয়ে দেন গোলকিপার শুভম সেন। কিছুক্ষণ পরে অনন্ত তামাং এবং শুভম ছেত্রীর দ্বিতীয় গোল সেভ করে দেন।
২৯ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে ফিনিশ করল বেঙ্গালুরু এফসি।
ইস্টবেঙ্গল: শুভম সেন, রাজু গায়কোয়াড, অনন্ত তামাং, ফ্রানজ প্রেসি, নাওচা সিং, নাওরেম মহেশ, সৌরভ দাস, আঙ্গুসানা, হামতে, পেরসেভিচ, শুভ ঘোষ