মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস- ২ (কামিংস (পেনাল্টি), আপুইয়া)
জামশেদপুর এফসি- ০
ISL 2025 MBSG vs JFC: বদলার সেমিফাইনালে যুবভারতীর রং সবুজ-মেরুন। যুবভারতীতে খালিদ জামিলের টিমকে হারিয়ে টানা তৃতীয়বারের জন্য ISL ফাইনালে মলিনার মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। ফিরতি লেগে ২-০ গোলে জিতে ফাইনালে সুনীল ছেত্রীর বেঙ্গালুরুর মুখোমুখি সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। গত সিজনে তীরে এসে তরী ডুবেছিল বাগানের। মুম্বই এফসির কাছে হেরে লিগ শিল্ডের পর ট্রফি ঘরে তোলা হয়নি শুভাশিসদের। এবার সেই শাপমোচনের পালা। বেঙ্গালুরুকে ফাইনালে হারিয়ে ফের আইএসএল ট্রফি ঘরে তুলতে মরিয়া মেরিনার্সরা।
প্রথম লেগে জামশেদপুরের ঘরের মাঠে ইনজুরি টাইমের গোলে পালতোলা নৌকা ডুবিয়েছিল খালিদ জামিলের দল। সেই হারের বদলা নেওয়ার ম্য়াচ ছিল দ্বিতীয় লেগ। যুবভারতীতে প্রায় ৫০ হাজারেরও বেশি সমর্থকদের সামনে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড একটাই লক্ষ্য নিয়ে নেমেছিল। আক্রমণ এবং আরও বেশি করে আক্রমণ। হোসে মলিনার দল শুরু থেকেই গোলের জন্য ঝাঁপায় এদিন। কারণ নক আউট ম্যাচ বলে উপায়ও ছিল না। ২-১ পিছিয়ে থাকা অবস্থায় যেভাবে হোক ২ গোলে জিততে হত ফিরতি লেগ।
প্রথমার্ধে একের পর এক আক্রমণ আছড়ে পড়ে জামশেদপুরের বক্সে। এবং অলৌকিক ভাবে একাধিক সেভ করে দলকে লড়াইয়ে রাখেন জামশেদপুরের গোলকিপার অ্যালভিনো গোমস। জেসন কামিংস বেশ কিছু নিশ্চিত গোলের সুযোগ তৈরি করলেও গোমস বাঁচিয়ে দেন জামশেদপুরকে। প্রথমার্ধে গোলের মুখ খুলতে ব্যর্থ হয় বাগান।
দ্বিতীয়ার্ধে ৫১ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে ম্যাচের প্রথম গোলের জন্য। কামিংসের কর্নার থেকে বক্সের মধ্যে হ্যান্ডবল করেন প্রণয় হালদার। সারা ম্যাচে কোনও ভুল না করেও এই ক্ষেত্রে মোক্ষম ভুল করেন জামশেদপুরের রক্ষণভাগের ভরসা। পেনাল্টি পায় বাগান। সেই স্পটকিক থেকে কোনও ভুল করেননি কামিংস। পেনাল্টি থেকে গোলে অ্যাগ্রিগেট ২-২ করেন অজি বিশ্বকাপার। এরপর বার বার আক্রমণ করেও খালিদ জামিলের দলের ডিফেন্স ভাঙতে পারছিলেন না কোলাসো, ম্যাকলারেনরা। শেষপর্যন্ত ৯৩ মিনিটের মাথায় আসে জয়ের গোল। বাগানের মিডফিল্ডার আপুইয়া বিশ্বমানের গোলে জেতে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।
আরও পড়ুন 'আমরা মোহনবাগানি, আমাদের জবাব...', জামশেদপুর ম্যাচের আগে স্পষ্ট বার্তা সমর্থকদের
ইনজুরি টাইমে খালিদ জামিলের জামশেদপুরের দুর্ভেদ্য রক্ষণ শেষপর্যন্ত ভাঙল। আপুইয়ার গোলার মতো শট যখন জালে জড়াল, তখন সাইডলাইনের ধারে পাগলের মতো আনন্দে ছুটছেন মলিনা এবং তাঁর ছাত্ররা। মোহনবাগানের হয়ে এই মরশুমে এটাই প্রথম গোল আপুইয়ার। তাও আবার এল যখন ম্যাজিক্যাল কিছু দরকার ছিল বাগানের।