New Update
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/02/17/mJRyC3FQ22hSvO3SJoGD.jpg)
East Bengal Win: জয়ের পর সেলফি মুডে ইস্টবেঙ্গলের তিন গোলদাতা। (ছবি- ইস্টবেঙ্গল)
East Bengal Win: জয়ের পর সেলফি মুডে ইস্টবেঙ্গলের তিন গোলদাতা। (ছবি- ইস্টবেঙ্গল)
Coach Oscar Bruzon Barreras reaction: সুযোগ নষ্টের লম্বা তালিকা তৈরি করেও রবিবার গোলের বন্যা ছুটেছে ইস্টবেঙ্গল-মহামেডান ম্যাচে। ইস্টবেঙ্গল করেছে ৩ গোল। মহামেডান দিয়েছে ১ গোল। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ম্যাচের ২৭ মিনিটে বিশ্বমানের গোল করেন নওরেম মহেশ সিং। ৬৫ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান সাউল ক্রেসপো। ৬৮ মিনিটের মাথায় শোধ করেন মহামেডানের ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকার কার্লোস ফ্রাঙ্কা। কিন্তু, এরপর ৮৯ মিনিটের মাথায় গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন ডেভিড লালনসাঙ্গা।
সব সুযোগগুলো গোল হলে এই ম্যাচের ফলাফল হয় ৬-৬। ফলে, সুযোগ নষ্টের বহরটা বোঝাই যাচ্ছে। ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল কর্নার পেয়েছে ৪টি। আর, মহামেডান ৩টি। এককথায় সমানতালে টক্কর চলেছে। লিগের প্রথম ছয়ে যাওয়ার আশা শেষ! তারপরও জয় সবসময়ই আনন্দদায়ক। সমর্থক থেকে কর্তারাও যথারীতি খুশি। সেকথা মাথায় রেখেই ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুঁজো ব্যারেরাস ম্যাচের পর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন, 'আমাদের রিজার্ভ বেঞ্চই ম্যাচের ফয়সালা করে দিল। সাউল রিজার্ভ বেঞ্চ থেকে মাঠে নেমেই গোল করেছে। ডেভিড লালনসাঙ্গাও তাই।'
এরপরই খেদোক্তি প্রকাশ করে ইস্টবেঙ্গল কোচ বলেন, 'আমরা এই ম্যাচে টানা ৯০ মিনিট ভালো খেলতে পারিনি ঠিকই। কিন্তু, আমাদের দল আজকে ভালো খেলেছে। আমরা প্রতিপক্ষকে আটকে রেখেছিলাম। ম্যাচে ভারসাম্য বজায় রেখেছি। টেকনিক্যাল দিকগুলোও ঠিকঠাকই ছিল। ছেলেদের প্রশংসা করতেই হবে। কারণ, ওঁরা খুব ভালো খেলেছে। মহামেডানেরও প্রশংসা করা উচিত। ওঁরা খারাপ একটা সময়ের মধ্যে দিয়ে এখন যাচ্ছে। কিন্তু, তারপরও আজ বেশ ভালো খেলেছে। বেশ লড়াই করেছে। ম্যাচ জেতার চেষ্টা করেছে। মহামেডানের প্রতি পূর্ণ সমবেদনা জানাচ্ছি।'
আরও পড়ুন- মার্চেই ফুটবলের বড় আসর ভারতে, এএফসি এশিয়ান কাপের পরীক্ষায় মানোলো মার্কেজের দল
ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ কোচ বলেন, 'চোট সমস্যা ছিল। সেটা কিছুটা হলেও কমেছে। তাই রিজার্ভ বেঞ্চ থেকে কয়েকজনকে নামাতে পারলাম। এই ম্যাচের সঙ্গে ক্লাবের ঐতিহ্য, সমর্থকদের আবেগ-ভালোবাসা মিশে আছে। গত সপ্তাহটা খারাপ গিয়েছে। কিন্তু, রবিবারে দলের পারফরম্যান্সে আমি খুশি। ক্যামেরুনের মেসি বৌলিও যথেষ্ট আন্তরিকতা নিয়ে খেলেছে। মনেই হয়নি যে ও সদ্য যোগ দিয়েছে। লং বলে ও যথেষ্ট ভালো। বেশ কয়েকবার বাঁ দিক দিয়ে দুর্দান্ত কায়দায় বক্সে ঢুকে পড়েছিল। ওঁর জন্য মহামেডান আরও চাপে পড়ে গিয়েছিল। ওঁর পারফরম্যান্সে আমি খুশি।'