ISL: Hyderabad FC vs Mohammedan SC: আইএসএলে হায়দরাবাদের কাছে ৩-১ গোলে পরাজিত হল কলকাতার মহামেডান স্পোটিং ক্লাব। ম্যাচের ২৪ মিনিটে হায়দরাবাদের হয়ে প্রথমে গোল করেন ৯ নম্বর জার্সির অ্যালান ডি'সুজা মিরান্ডা। ৪৫ মিনিটের একটু পরেই ব্যবধান বাড়ান ১০ নম্বর জার্সির রামহলুঞ্চহুঙ্গা। ম্যাচের ৭৮ মিনিটে গোল শোধ করেন মহামেডানের মাকান ছোটে। কিন্তু, ফের ব্যবধান বাড়ান হায়দরাবাদের পরিবর্ত খেলোয়াড়, ২৩ নম্বর জার্সির জোসেফ সানি।
গাচিবাউলির জিএমসি বালাযোগী অ্যাথলেটিক স্টেডিয়ামের এই ম্যাচে হায়দরাবাদ খেলেছে ৪-২-৩-১ ছকে। আর, মহামেডান খেলেছে ৪-৩-৩ ছকে। দুই দলই চার করে খেলোয়াড় পরিবর্তন করেছে। হায়দরাবাদ নামিয়েছিল পরাগ শ্রীবাস, আয়ুশ অধিকারী, জোসেফ সানি ও দেবেন্দ্র মুরগাঁওকরকে। এর মধ্যে মিডফিল্ডার রামহলুঞ্চহুঙ্গার পরিবর্ত হিসেবে নামানো হয়েছিল দেবেন্দ্র মুরগাঁওকরকে। মনোজ মহম্মদের বদলে নামানো হয়েছিল পরাগ শ্রীবাসকে। সিওয়াই গদ্দার্দের বদলে নেমেছিলেন জোসেফ সানি। আর, আইজ্যাক ভানমালসাওয়ামার বদলে আয়ুশ অধিকারী।
হায়দরাবাদের প্রথম গোলে মিরান্ডাকে সাহায্য করেছিলেন মহম্মদ রফি। দ্বিতীয় গোলটা রামহলুঞ্চহুঙ্গার নিজের কৃতিত্ব। তৃতীয় গোলটায় সানিকে বলটা বাড়িয়েছিলেন মিরান্ডা। মহামেডানের গোলটায় ছোটেকে সাহায্য করেছিলেন গোমেজ। এই ম্যাচে হেরে গেলেও মহামেডান রীতিমতো লড়াই করেছে। হায়দরাবাদ যেখানে গোল লক্ষ্য করে ৫ বার শট নিয়েছে, মহামেডান সেখানে নিয়েছে ৮ বার। কিন্তু, ম্যাচ যত এগিয়েছে হায়দরাবাদ ততই আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়েছে। খেলোয়াড় পরিবর্তনের ক্ষেত্রেও তারা সেদিকেই নজর দিয়েছিল।
তা সত্ত্বেও ম্যাচে বল বেশি ছিল মহামেডানের দখলে। হায়দরাবাদের যেখানে ৪৩%, মহামেডানের সেখানে ছিল ৫৭%। পাসও মহামেডানের খেলোয়াড়রা হায়দরাবাদের চেয়ে বেশি খেলেছে। হায়দরাবাদ পাস বাড়িয়েছে ৩৫৬ বার। আর, মহামেডানের খেলোয়াড়রা সেখানে ৪৫৫ বার। আর, সঠিক পাস বাড়ানোর ক্ষেত্রেও মহামেডান হায়দরাবাদের থেকে কিছু শতাংশ হলেও এগিয়ে ছিল। কিন্তু, তারপরও কাজের কাজটা হায়দরাবাদের খেলোয়াড়রাই করে বেরিয়ে যান।
আরও পড়ুন- কোহলি নামছেন দ্বিতীয় ওয়ানডেতে, কটকে নামার আগে বলে দিচ্ছেন কোটাক
অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে হওয়া ওই ম্যাচে প্রথম ১৫ মিনিটের মধ্যেই ৩টি গোল করেছিল হায়দরাবাদ। তাদের ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড অ্যালান ডি'সুজা জোড়া গোল করেছিলেন। পাশাপাশি, গোল করেছিলেন সার্বিয়ান ডিফেন্ডার স্তেফান সাপিচও। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে অসাধারণ গোল করেছিলেন পরাগ শ্রীবাস। গত ম্যাচে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে লালকার্ড দেখায় শনিবারের ম্যাচে খেলতে পারেননি মহামেডানের উজবেক মিডফিল্ডার মির্জালল কাসিমভ। কিন্তু, তাঁর অভাবের চেয়েও এদিন মহামেডানকে যেন বেশি করে ডুবিয়ে দিল তাদের ডিফেন্সের ব্যর্থতা।